ভূ-কম্পনের স্থায়িত্ব মাত্র কয়েক সেকেন্ডের হলেও দেশের বিভিন্ন এলাকার বহু ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে, কোথাও আবার খসে পড়েছে পলেস্তারা।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নরসিংদী।

শিশুর চাচা জাকির জানান, ভূমিকম্পের সময় তারা বাবা-ছেলে বাসায় ছিলেন। ওই সময় বাসার দেয়াল চাপা পড়ে বাবা এবং ছেলে গুরুতর আহত হয়। পরে প্রথমে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক শিশু ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে ৮ মাত্রা বা তার চেয়ে বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে রকম ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের অন্তত ৬ হাজার ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রাণহানি হবে অন্তত ৩ লাখ মানুষের।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৭। ভূমিকম্পের উৎপত্তি নরসিংদীর মাধবদীতে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।

বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আশিস বলেন, ‘‘নিহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের নাম পরিচয় এখনো আমরা জানতে পারিনি।’’

মদিনার কাছে একটি ডিজেল ট্যাংকারের সঙ্গে ওমরাহযাত্রী বাসের সংঘর্ষে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই ভারতীয় বলে জানা গেছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের ওপর প্রথমে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে হামলা চালানো হয়, এতে ২০–২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।