দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম বলেন, ‘‘প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা সকল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করছি।’’

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে নোটিশ জারি প্রক্রিয়াধীন।

২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের এমন লক্ষণ ততটা প্রকট ছিল না। তবে এর পর থেকে দিনকে দিন লক্ষণগুলো প্রকট থেকে প্রকটতর হয়েছে। শেখ হাসিনা নিজেকে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন ক্রমে। তার এমন সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি হয়, যারা নানাভাবে এই কেন্দ্রীভূত ও একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেছেন তার আইনজীবী মোরশেদ হোসেন। তিনি বলেন, “কারাগারে সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন তিনি কেবল সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদের মৃত্যুর প্রসঙ্গে কথা বলতে থাকেন। নুরুল মজিদের মৃত্যু অন্য নেতাদের ভীষণ চিন্ত

ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে প্রধানত যে অভিযোগগুলি আনা হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল ২০২৪ এর আন্দোলনকারীদের হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা দেওয়া ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দেওয়া এবং অস্থিরতা দমন করার জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্র, ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ আগেও শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু দিল্লি সাড়া দেয়নি। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন, বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে গত ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আট জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন।

নিজেকে নিরপরাধ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টায় শেখ হাসিনা সফল হবেন সে সম্ভাবনা খুবই কম। ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টে কী হয়েছিল, তার সরকারের এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা কি ছিল– তার অনেক সাক্ষ্য-প্রমাণ, ছবি-ফুটেজ এমনকি সাধারণ মানুষের কাছেও রয়েছে। জাতিসংঘের তদন্তেও তা প্রমাণিত হয়েছে।