আমেরিকা ঘুরতে গেলেও দিতে হবে ফেসবুকের সব তথ্য!

চরচা ডেস্ক
চরচা ডেস্ক
আমেরিকা ঘুরতে গেলেও দিতে হবে ফেসবুকের সব তথ্য!
এবার আমেরিকা ঢুকতে পর্যটকদের দেখাতে হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রেকর্ড। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট (সিপিবি) এবং ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের বিগত পাঁচ বছরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইতিহাস খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

এই নতুন শর্তটি তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে যারা ইলেক্ট্রনিক সিস্টেম ফর ট্র্যাভেল অথরাইজেশন (ইএসটিএ) ফর্ম পূরণ করার শর্তে ভিসা ছাড়াই ৯০ দিনের জন্য আমেরিকা ভ্রমণের যোগ্য। ভিসা মওকুফ কর্মসূচী অনুযায়ী যারা শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক ভ্রমণ অনুমোদন পান তারা ৯০ দিন ভিসা ছাড়া আমেরিকা ভ্রমণ করতে পারেন।

ফেডারেল রেজিস্ট্রারে মঙ্গলবার পেশ করা একটি নথিতে সিবিপি জানিয়েছে, তারা আবেদনকারীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্যের একটি লম্বা তালিকা চাইবে, যার মধ্যে থাকবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গত দশ বছরজুড়ে ব্যবহার করা ই-মেইল ঠিকানা এবং বাবা-মা, জীবনসঙ্গী, ভাই-বোন ও সন্তানদের নাম, জন্মতারিখ, বাসস্থান ও জন্মস্থান।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে জাতীয় নিরাপত্তাকে মূল কারণ হিসাবে উল্লেখ করে মার্কিন সীমান্তগুলোকে সাধারণভাবে আরও কঠোর করার পদক্ষেপ নিয়েছেন।

এর আগে যে সকল বিদেশি নাগরিক শিক্ষার্থী ও গবেষক ভিসা এবং দক্ষ বিদেশি কর্মী হিসেবে এইচ১ ভিসার জন্য আবেদন করে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো পাবলিক করার শর্ত দিয়েছিলো ট্রাম্প প্রশাসন। এ ছাড়া মার্কিন সরকারের সামনে ২৫০ ডলারের ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি সংগ্রহের পরিকল্পনা আছে যা অনেক পর্যটকদের প্রযোজ্য হবে।

ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি নিয়ে ট্রাভেল বা পর্যটন শিল্প আপত্তি জানিয়েছে। কারণ আমেরিকা আগামী বছর কানাডা এবং মেক্সিকোর সঙ্গে ফুটবল বিশ্বকাপ এবং ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে অলিম্পিকের আয়োজন করতে যাচ্ছে। ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি আরোপ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি পর্যটকদের এই দুইটি অনুষ্ঠানের সময় আমেরিকাতে আসতে নিরুৎসাহিত করবে।

ডিজিটাল অধিকার গোষ্ঠী ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্টাফ অ্যাটর্নি সোফিয়া কোপ একটি বিবৃতিতে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাধ্যতামূলক প্রকাশ ও নজরদারি ‘সন্ত্রাসবাদী এবং অন্যান্য বাজে লোককে খুঁজে বার করতে কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়নি। তবে এটি নিরপরাধ পর্যটক এবং তাদের আমেরিকান পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের বাক্‌স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করেছে এবং তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছে।’

সম্পর্কিত