খুব অপমানিত বোধ করেছিলাম: রাষ্ট্রপতি

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
খুব অপমানিত বোধ করেছিলাম: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকেও সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। তবে হাসিনা সরকারের পতনের পর জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় রাষ্ট্রপতিই ছিলেন সবশেষ সাংবিধানিক কর্তৃত্ব।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক হোয়াটসঅ্যাপ সাক্ষাৎকারে ‘অপমানিত বোধ’ করার কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতি। রয়টার্সের নয়াদিল্লি ক্রেডিটলাইনে প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতির অনুযোগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস প্রায় সাত মাস তার সঙ্গে দেখা করেননি। গত সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন থেকে তার ছবি সরিয়ে ফেলার কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন।

রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে বলেছেন, “সব দূতাবাস, হাইকমিশন ও কনস্যুলেটে রাষ্ট্রপতির ছবি ছিল। এক রাতের মধ্যে সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। জনগণের কাছে একটি ভুল বার্তা গিয়েছিল যে, রাষ্ট্রপতিকে হয়তো অপসারণ করা হবে। আমি খুব অপমানিত বোধ করেছিলাম।”

এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি লিখলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ ব্যাপারে রয়টার্স প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সাড়া মেলেনি।

রাষ্ট্রপতি রয়টার্সকে আরও বলেছেন যে, নির্বাচনের পর তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে যেতে আগ্রহী। সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতার কারণেই তাকে নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সম্পর্কিত