সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তারে সিপিজের নিন্দা

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তারে সিপিজের নিন্দা
আনিস আলমগীর। ছবি: ফেসবুক

সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। আজ বুধবার প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে সংস্থাটি আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে করা সন্ত্রাসবিরোধী আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবি করে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকে জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্যবস্তু করা বন্ধের আহ্বান জানায়। সিপিজি সারা বিশ্বে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা নিয়ে কাজ করে।

সিপিজের এশিয়া-প্যাসিফিক প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর কুনাল মজুমদার বলেন, “একটি যুগান্তকারী নির্বাচনের কয়েক মাস আগে একজন সাংবাদিককে আটক করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে সাংবাদিক আনিস আলগীরকে মুক্তি দেওয়া এবং সরকারের সমালোচনামূলক মতামত প্রকাশের জন্য সংবাদকর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করা বন্ধ করা।”

রোববার রাতে আলমগীরের বিরুদ্ধ মামলাটি করেছেন ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ। এরপর গ্রেপ্তার হন তিনি। একই মামলায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে টক শো এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ দলকে পুনর্বাসিত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সিপিজে এই আইনের ঠিক কোন ধারায় আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি। কারণ তারা এজাহারের কোনো অনুলিপি সংগ্রহ করতে পারেনি, যার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু হয়। আদালত এই মামলার প্রেক্ষিতে আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিপিজে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধির বিষয়টি নথিবদ্ধ করেছে, যার মধ্যে শুধুমাত্র ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতেই অন্তত ১৭ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে হামলার স্বীকার হয়েছেন। সংস্থাটি নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনের অধীনে একাধিক সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও আটকের ঘটনাও রিপোর্ট করেছে।

সিপিজ-র পক্ষ থেকে মন্তব্যের অনুরোধ জানিয়ে পাঠানো ইমেলের তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর দেয়নি ঢাকা মহানগর পুলিশ।

সম্পর্কিত