চরচা ডেস্ক

রসুন রান্নার অতি পরিচিত একটি উপাদান। আমাদের উপমহাদেশে একে মসলা হিসেবে ব্যবহার করলেও রসুন কিন্তু আদতে একটি সবজি। শুধু স্বাদ বাড়ানো নয়, কাঁচা রসুন প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে নানা দিক থেকে উপকার দিতে পারে। রসুনে থাকা ‘অ্যালিসিন’ নামক উপাদানটি মূলত এর শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং হৃদ্রোগ সুরক্ষাকারী গুণের উৎস। নিয়মিত মাত্র দুই কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের ভেতরে যে পরিবর্তনগুলো ঘটে, সেগুলো বেশ লক্ষণীয়। কী সেগুলো?
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
রসুনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানগুলো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। শীতের মৌসুমে সহজেই সর্দি-কাশি ধরলে বা বারবার অসুস্থবোধ করলে রোজ দুই কোয়া রসুন প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। অ্যালিসিন শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে, ফলে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা কমে।
হৃদ্স্বাস্থ্যের উন্নতি
হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে রসুনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত রসুন খাওয়া রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। এতে রক্তনালীর ভেতর প্রদাহ কমে এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য রসুন খেয়ে থাকেন। এর অ্যালিসিন রক্তনালীগুলোকে সামান্য শিথিল করে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বাড়ায়
এ ছাড়া কাঁচা রসুন হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি করে এবং ক্ষতিকর অণুজীব দমন করতে পারে। ফলে পেট ফুলে যাওয়া, গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা কিছুটা কমতে পারে। যাদের নিয়মিত পেট সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, তাদের জন্য কাঁচা রসুন হতে পারে ছোট কিন্তু কার্যকর সহযোগী।

ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি কমায়
রসুনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা শরীরের কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে। ফলে শরীর দ্রুত বুড়িয়ে যায়। এছাড়া ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্নায়বিক রোগ, ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিস ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ে। এগুলো প্রতিরোধের সহজ উপায় হলো- রোজ দুই কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়া।
তবে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। একেবারে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে কারো কারো অ্যাসিডিটি, পেট জ্বালাপোড়া বা মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। যাদের আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ নেওয়ার অভ্যাস আছে, তাদের নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
সব মিলিয়ে, রোজ দুই কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়া খুব ছোট একটি অভ্যাস হলেও শরীরকে সামগ্রিকভাবে সুরক্ষিত, সক্রিয় ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করতে পারে। সঠিক পরিমাণে এবং নিজের শরীরের সহনশীলতা অনুযায়ী খেলে কাঁচা রসুন এক প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যরক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন

রসুন রান্নার অতি পরিচিত একটি উপাদান। আমাদের উপমহাদেশে একে মসলা হিসেবে ব্যবহার করলেও রসুন কিন্তু আদতে একটি সবজি। শুধু স্বাদ বাড়ানো নয়, কাঁচা রসুন প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে নানা দিক থেকে উপকার দিতে পারে। রসুনে থাকা ‘অ্যালিসিন’ নামক উপাদানটি মূলত এর শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং হৃদ্রোগ সুরক্ষাকারী গুণের উৎস। নিয়মিত মাত্র দুই কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের ভেতরে যে পরিবর্তনগুলো ঘটে, সেগুলো বেশ লক্ষণীয়। কী সেগুলো?
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
রসুনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানগুলো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। শীতের মৌসুমে সহজেই সর্দি-কাশি ধরলে বা বারবার অসুস্থবোধ করলে রোজ দুই কোয়া রসুন প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। অ্যালিসিন শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে, ফলে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা কমে।
হৃদ্স্বাস্থ্যের উন্নতি
হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে রসুনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত রসুন খাওয়া রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। এতে রক্তনালীর ভেতর প্রদাহ কমে এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য রসুন খেয়ে থাকেন। এর অ্যালিসিন রক্তনালীগুলোকে সামান্য শিথিল করে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বাড়ায়
এ ছাড়া কাঁচা রসুন হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি করে এবং ক্ষতিকর অণুজীব দমন করতে পারে। ফলে পেট ফুলে যাওয়া, গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা কিছুটা কমতে পারে। যাদের নিয়মিত পেট সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, তাদের জন্য কাঁচা রসুন হতে পারে ছোট কিন্তু কার্যকর সহযোগী।

ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি কমায়
রসুনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা শরীরের কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে। ফলে শরীর দ্রুত বুড়িয়ে যায়। এছাড়া ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্নায়বিক রোগ, ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিস ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ে। এগুলো প্রতিরোধের সহজ উপায় হলো- রোজ দুই কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়া।
তবে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। একেবারে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে কারো কারো অ্যাসিডিটি, পেট জ্বালাপোড়া বা মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। যাদের আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ নেওয়ার অভ্যাস আছে, তাদের নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
সব মিলিয়ে, রোজ দুই কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়া খুব ছোট একটি অভ্যাস হলেও শরীরকে সামগ্রিকভাবে সুরক্ষিত, সক্রিয় ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করতে পারে। সঠিক পরিমাণে এবং নিজের শরীরের সহনশীলতা অনুযায়ী খেলে কাঁচা রসুন এক প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যরক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন