আমেরিকার গম রাশিয়ার চেয়ে উন্নত: খাদ্য মন্ত্রণালয়

চরচা ডেস্ক
চরচা ডেস্ক
আমেরিকার গম রাশিয়ার চেয়ে উন্নত: খাদ্য মন্ত্রণালয়
আমেরিকা থেকে প্রথমবারের মতো আমদানি করা গম নিয়ে এমভি নোরস স্ট্রিড জাহাজটি গত শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙরে পৌঁছয়। ছবি: পিআইডি

আমেরিকা থেকে গম আমদানিতে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত দাম বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, সম্প্রতি এক জাতীয় দৈনিকে ‘চুক্তির কারণে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের গম কিনছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে সরকার থেকে সরকার (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে গম আমদানির প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ উপস্থাপন করা হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ওই প্রতিবেদন পাঠকদের ‘ভুল ধারণা’ দিতে পারে।

ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলনামূলক বেশি দামে গম আমদানি করছে। কারণ রাশিয়ান গমের দাম কম হলেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ও দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তি রক্ষা করাকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

খাদ্য মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সংবাদে যুক্তরাষ্ট্রের গমের মূল্যের সঙ্গে রাশিয়ার গমের মূল্যের তুলনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের গমের দামে চট্টগ্রাম ও মোংলা খাদ্য অধিদপ্তরের সাইলো পর্যন্ত পরিবহণ ব্যয়, বীমা, আনলোডিং ও বন্দরভিত্তিকসহ সব খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে, অথচ রাশিয়ার মূল্যে কেবল দেশটির বন্দর পর্যন্ত খরচ হিসেব করা হয়।

বাস্তব তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাশিয়ার গমের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রতি মেট্রিক টন প্রায় ২৩০ মার্কিন ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম প্রায় ২৩২ ডলার, অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ২ ডলার।

তাছাড়া, বর্তমানে প্রতি মেট্রিক টন রাশিয়ার গমের দাম ২ লাখ ৯৫ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম ৩ লাখ ৮ হাজার ৩১০ মার্কিন ডলার।

মানের দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের গম বেশি উন্নত বলে দাবি মন্ত্রণালয়ের। রাশিয়ার গমে গড়ে ১১ শতাংশ প্রোটিন (আমিষ) থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের গমে প্রোটিনের পরিমাণ ১৩.৫ শতাংশ। যা পুষ্টিগুণ ও মানের দিক থেকে উত্তম। ফলে উন্নত মান, প্রোটিনের উচ্চমাত্রা ও আন্তর্জাতিক পরিবহণ ব্যয় বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম কিছুটা বেশি হওয়া যুক্তিসংগত ও বাজার সম্মত।

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম আমদানির পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক ও সরকার অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে করা হয়েছে।

সম্পর্কিত