পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইনে সাধারণ মানুষের মৃত্যুই বেশি

চরচা ডেস্ক
চরচা ডেস্ক
পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইনে সাধারণ মানুষের মৃত্যুই বেশি
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে মাইন। ছবি: রয়টার্স

ল্যান্ডমাইন ও অবিস্ফোরিত বিস্ফোরকের আঘাতে হতাহতের সংখ্যা চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

গত সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, সিরিয়া ও মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে এই হতাহত বেড়েছে। আর সবচেয়ে বেশি শিকার সাধারণ মানুষ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এই তথ্য এমন সময় সামনে এলো, যখন বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ রাশিয়ার আগ্রাসনের হুমকির কারণ দেখিয়ে ল্যান্ডমাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তি থেকে সরে আসার পদক্ষেপ নিচ্ছে।

‘ল্যান্ডমাইন মনিটর ২০২৫’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর এ ধরনের ছয় হাজারের বেশি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে এক হাজার ৯৪৫ জন নিহত এবং চার হাজার ৩২৫ জন আহত হয়। এটি ২০২০ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক মোট সংখ্যা।

হতাহতদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই বেসামরিক নাগরিক, তাদের প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু।

হতাহতের সংখ্যা মূলত সিরিয়া ও মিয়ানমারের যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে বেড়েছে। সিরিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর ফিরে আসা বাসিন্দারা অবিস্ফোরিত বিস্ফোরকের কারণে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছেন।

অন্যদিকে, সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠী উভয়ের দ্বারা ল্যান্ডমাইন ব্যবহারের বৃদ্ধির কারণে মিয়ানমারে দুই হাজারের বেশি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যা সব দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ অ্যান্টি-পার্সোনেল ল্যান্ডমাইন নিষিদ্ধকারী অটোয়া কনভেনশন থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ১৯৯৯ সালে কার্যকর হওয়া এই চুক্তিটি ১৬৬টি রাষ্ট্রকে অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন ব্যবহার, মজুত, উৎপাদন এবং স্থানান্তর নিষিদ্ধ করেছে।

ইউক্রেন গত ২৯শে জুন কনভেনশন থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি রাশিয়ান অগ্রযাত্রাকে ধীর করতে সহায়তা করতে পারে।

সম্পর্কিত