চরচা ডেস্ক

দিনভর দৌড়ঝাঁপের পর রাতে ঘুমানোর আগে কয়েক মিনিটের কুসুম গরম পানির গোসল অনেকের কাছেই বিলাসিতা মনে হতে পারে। কিন্তু গবেষণা বলছে, এটি কেবল আরামদায়কই নয় বরং শরীর ও মনের ঘুম-প্রস্তুত প্রক্রিয়াকে বৈজ্ঞানিকভাবে সহায়তা করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মাত্র ১০-১২ মিনিটের এই অভ্যাস ঘুমের মান উন্নত করা থেকে শুরু করে মানসিক চাপ কমানো পর্যন্ত নানা উপকার বয়ে আনে।
প্রথমেই আসা যাক ঘুমের প্রস্তুতিতে এর ভূমিকার কথা। দিনের শেষে আমাদের শরীর নিজে থেকেই তাপমাত্রা কমাতে শুরু করে, যা ঘুম আসার একটি স্বাভাবিক সংকেত। কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের পৃষ্ঠের রক্তনালী প্রসারিত হয় এবং শরীরে সাময়িকভাবে তাপমাত্রা বাড়ে। কিন্তু গোসল শেষে যখন শরীর দ্রুত ঠান্ডা হতে থাকে, তখন এই তাপমাত্রা পতন মস্তিষ্ককে ঘুমের সংকেত আরও স্পষ্টভাবে দেয়। ফলে দ্রুত ঘুম আসে এবং গভীর ঘুম পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
গরম পানির গোসল শরীরের মাংসপেশিকেও শিথিল করতে সাহায্য করে। সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা, হাঁটাহাঁটি, ব্যায়াম বা মানসিক চাপ, সবকিছু মিলিয়ে পেশিতে টান ধরতে পারে। গরম পানি সেই টান কমায়, রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে। ঘুমানোর আগে শরীর যখন এমনভাবে রিল্যাক্স থাকে, তখন ঘুমও আসে স্বাভাবিকভাবে এবং গভীর হয়।

মানসিকভাবে স্বস্তি পাওয়া এই অভ্যাসের আরেকটি বড় উপকারিতা। কুসুম গরম পানি শরীরকে আরাম দিলেও, এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ে মনের ওপর। কুসুম গরম পানির ছোঁয়া স্নায়ুকে শান্ত করে, টেনশন ও উদ্বেগ কমায়। অনেকের ক্ষেত্রে দিনের নানা চাপ মাথায় ঘুরতে থাকে বলে ঘুম আসতে দেরি হয়। গোসলের উষ্ণতা সেই মানসিক অস্থিরতাকে ধীরে ধীরে হালকা করে, মনকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে।
ত্বকের স্বাস্থ্যেও কুসুম গরম পানির গোসল কিছু সুফল আনে। উষ্ণ পানি ত্বকের রোমকূপ খুলে দেয়, ফলে দিনের ধুলো-ময়লা ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। তাছাড়া হালকা বাষ্প শ্বাসনালিকে আরাম দেয়, নাক বন্ধ থাকলে খুলে যেতে সাহায্য করে। ঠান্ডা লাগা বা হালকা সর্দির সময় রাতে গোসল করলে অনেকেই আরাম অনুভব করেন।
তবে এখানে একটি সতর্কতা জরুরি। অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। খুব গরম পানি ত্বক শুষ্ক করে দিতে পারে, এমনকি মাথা ঘোরানোর মতো সমস্যাও হতে পারে। তাই ১০০-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (প্রায় ৩৮–৪০ ডিগ্রি সেলিসিয়াস) এর মতো হালকা গরম পানি সবচেয়ে উপযোগী। সময়ও অল্প হওয়া ভালো, ১০-১৫ মিনিটই যথেষ্ট।
দিন শেষে স্বস্তিদায়ক একটি রাত চাইলে এই ছোট অভ্যাসটি দৈনন্দিন রুটিনে যুক্ত করতে পারেন। কুসুম গরম পানির ছোঁয়ার উষ্ণতা শুধু শরীরকে পরিষ্কার করে না, মনকেও ধীরে ধীরে শান্ত করে এনে দেয় গভীর, আরামদায়ক ঘুম। ব্যস্ত জীবনে নিজেদের জন্য এমন কয়েক মিনিট সময় রাখা তাই একান্ত প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র: শেফার সার্ভিসেস প্লাসের ওয়েবসাইট

দিনভর দৌড়ঝাঁপের পর রাতে ঘুমানোর আগে কয়েক মিনিটের কুসুম গরম পানির গোসল অনেকের কাছেই বিলাসিতা মনে হতে পারে। কিন্তু গবেষণা বলছে, এটি কেবল আরামদায়কই নয় বরং শরীর ও মনের ঘুম-প্রস্তুত প্রক্রিয়াকে বৈজ্ঞানিকভাবে সহায়তা করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মাত্র ১০-১২ মিনিটের এই অভ্যাস ঘুমের মান উন্নত করা থেকে শুরু করে মানসিক চাপ কমানো পর্যন্ত নানা উপকার বয়ে আনে।
প্রথমেই আসা যাক ঘুমের প্রস্তুতিতে এর ভূমিকার কথা। দিনের শেষে আমাদের শরীর নিজে থেকেই তাপমাত্রা কমাতে শুরু করে, যা ঘুম আসার একটি স্বাভাবিক সংকেত। কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের পৃষ্ঠের রক্তনালী প্রসারিত হয় এবং শরীরে সাময়িকভাবে তাপমাত্রা বাড়ে। কিন্তু গোসল শেষে যখন শরীর দ্রুত ঠান্ডা হতে থাকে, তখন এই তাপমাত্রা পতন মস্তিষ্ককে ঘুমের সংকেত আরও স্পষ্টভাবে দেয়। ফলে দ্রুত ঘুম আসে এবং গভীর ঘুম পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
গরম পানির গোসল শরীরের মাংসপেশিকেও শিথিল করতে সাহায্য করে। সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা, হাঁটাহাঁটি, ব্যায়াম বা মানসিক চাপ, সবকিছু মিলিয়ে পেশিতে টান ধরতে পারে। গরম পানি সেই টান কমায়, রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে। ঘুমানোর আগে শরীর যখন এমনভাবে রিল্যাক্স থাকে, তখন ঘুমও আসে স্বাভাবিকভাবে এবং গভীর হয়।

মানসিকভাবে স্বস্তি পাওয়া এই অভ্যাসের আরেকটি বড় উপকারিতা। কুসুম গরম পানি শরীরকে আরাম দিলেও, এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ে মনের ওপর। কুসুম গরম পানির ছোঁয়া স্নায়ুকে শান্ত করে, টেনশন ও উদ্বেগ কমায়। অনেকের ক্ষেত্রে দিনের নানা চাপ মাথায় ঘুরতে থাকে বলে ঘুম আসতে দেরি হয়। গোসলের উষ্ণতা সেই মানসিক অস্থিরতাকে ধীরে ধীরে হালকা করে, মনকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে।
ত্বকের স্বাস্থ্যেও কুসুম গরম পানির গোসল কিছু সুফল আনে। উষ্ণ পানি ত্বকের রোমকূপ খুলে দেয়, ফলে দিনের ধুলো-ময়লা ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। তাছাড়া হালকা বাষ্প শ্বাসনালিকে আরাম দেয়, নাক বন্ধ থাকলে খুলে যেতে সাহায্য করে। ঠান্ডা লাগা বা হালকা সর্দির সময় রাতে গোসল করলে অনেকেই আরাম অনুভব করেন।
তবে এখানে একটি সতর্কতা জরুরি। অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। খুব গরম পানি ত্বক শুষ্ক করে দিতে পারে, এমনকি মাথা ঘোরানোর মতো সমস্যাও হতে পারে। তাই ১০০-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (প্রায় ৩৮–৪০ ডিগ্রি সেলিসিয়াস) এর মতো হালকা গরম পানি সবচেয়ে উপযোগী। সময়ও অল্প হওয়া ভালো, ১০-১৫ মিনিটই যথেষ্ট।
দিন শেষে স্বস্তিদায়ক একটি রাত চাইলে এই ছোট অভ্যাসটি দৈনন্দিন রুটিনে যুক্ত করতে পারেন। কুসুম গরম পানির ছোঁয়ার উষ্ণতা শুধু শরীরকে পরিষ্কার করে না, মনকেও ধীরে ধীরে শান্ত করে এনে দেয় গভীর, আরামদায়ক ঘুম। ব্যস্ত জীবনে নিজেদের জন্য এমন কয়েক মিনিট সময় রাখা তাই একান্ত প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র: শেফার সার্ভিসেস প্লাসের ওয়েবসাইট