এইচ-১বি ভিসা কী, কাদের দিতে হবে ১ লাখ ডলার?

চরচা ডেস্ক
চরচা ডেস্ক
এইচ-১বি ভিসা কী, কাদের দিতে হবে ১ লাখ ডলার?
এইচ-১বি আমেরিকার অস্থায়ী কর্মসংস্থানভিত্তিক ভিসা। ছবি: এআই জেনারেটেড

এইচ-১বি আমেরিকার অস্থায়ী কর্মসংস্থানভিত্তিক ভিসা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীরা সাময়িকভাবে আমেরিকায় থেকে সেখানকার সংস্থাগুলোয় কাজ করতে পারেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে এইচ-১বি ভিসার মেয়াদ থাকে তিন বছর। সর্বোচ্চ ৬ বছর পর্যন্ত তা বৃদ্ধি করা যায়। এই সময়ের মধ্যে আমেরিকার গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন কর্মীরা। গ্রিন কার্ড অথবা স্থায়ী নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে এইচ-১বি ভিসার মেয়াদ ইচ্ছামতো বাড়ানো যায়।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, এইচ-১বি ভিসা আবেদন যারা করবেন, তাদের ১ লাখ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে।

এরপর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কাদের এইচ-১বি ভিসার জন্য বার্ষিক ১ লাখ ডলার দিতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানায় , এই ফি শুধুমাত্র নতুন এইচ-১বি ভিসার আবেদনকারীদেরই দিতে হবে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্য়ারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, যারা আগে থেকেই এইচ-১বি ভিসায় আমেরিকায় রয়েছেন, বা এইচ-১বি ভিসা হোল্ডার কিন্তু বর্তমানে আমেরিকায় নেই, তাদের দেশে এই ফি দিতে হবে না।

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকায় গিয়ে নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কিছুটা জটিল হলো। বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসায় যে ফি আরোপ করা হয়েছে তা অনেকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে মনে করছেন।

প্রেস সেক্রেটারি ক্য়ারোলিন লেভিট বলেন, এটা বার্ষিক ফি নয়। এটা এককালীন ফি, যা শুধুমাত্র নতুন যারা এইচ-১বি ভিসার আবেদন করছেন, তাদের ওপরে কার্যকর হবে। এইচ-১বি ভিসা যাদের রয়েছে, তারা বাকিদের মতোই দেশের বাইরে যেতে পারবেন এবং ফেরত আসতে পারবেন। এটা শুধুমাত্র নতুন ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, ভিসা নবায়ন বা বর্তমানে যাদের কাছে এই ভিসা রয়েছে, তাদের ওপর প্রযোজ্য হবে না।

ভিসা ফি আরোপ করা নিয়ে শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসনের ওই ঘোষণার পর মাইক্রোসফট, জে পি মরগান, অ্যামাজনসহ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান অভ্যন্তরীণ ই–মেইলে তাদের এইচ-১বি ভিসাধারী কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন কয়েকটি ই–মেইল পর্যালোচনা করে দেখেছে।

সম্পর্কিত