নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে দিয়েই শুরু করা যাক। তিনি তো শুধু অর্থনীতিবিদ নন দার্শনিকও বটে। ২০০৫ সালে একটি বই লিখেছিলেন তিনি। দ্য আর্গুমেনটেটিভ ইন্ডিয়ান (তর্কপ্রিয় ভারতীয়)। বইতে তিনি লিখছেন, ‘গণতন্ত্র কোনো যান্ত্রিক ব্যবস্থা নয়, বরং এটি ভিন্ন মত ও দাবি নিয়ে যুক্তি ও আলোচনার মাধ্যমে মোকাবিলা করার একটি উপায়। এর রূপ বিভিন্ন স্থানীয় প্রেক্ষাপটে ভিন্ন হতে পারে।’ তাহলে কী বাংলাদেশের গণতন্ত্র আমেরিকা বা ব্রিটেনের গণতন্ত্র এক রকম না-ও হতে পারে? অর্থাৎ গণতন্ত্রের কোনো একক রূপ নেই, সে বহুত্ববাদী। সেটিই আমরা দেখার চেষ্টা করব পরবর্তী আলোচনায়।
গত কয়েক শ বছর বছর ধরে পশ্চিমাদের চশমায় গণতন্ত্রকে সাধারণত একটি সার্বজনীন রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে দেখার অভ্যাস হয়ে গেছে। তবে বাস্তবে এর চর্চা দেশভেদে ভিন্ন। এটা অবশ্য পশ্চিমারা মানতে চায় না। তারা একই মাপের জামা সবার গায়ে পরাতে চায়। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর ‘লিবারেল ডেমোক্রেসি’র ধারণা। এটি বিশ্বব্যাপী একটি আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত (অবশ্যই তাদের মতে)। তারপরেও সেটি সব দেশের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য নয়। এই প্রেক্ষাপটে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে আসে:
১) একই ধরনের গণতন্ত্র কি সব দেশে কার্যকর হতে পারে?
২) পশ্চিমারা তাদের গণতন্ত্রকে মডেল করে কেন গ্লোবাল সাউথ বা বিশ্বের উন্নয়নশীল, স্বল্পোন্নত ও অনুন্নত দেশে আধিপত্য বিস্তার করে? এটি করে ‘গণতন্ত্র প্রচারের’ নামে?
এই দুই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলে আমরা একটা বিষয় বুঝতে পারব। সেটা হলো, গণতন্ত্রের গাড়ি কেন একটি সরলরেখার মতো পথ ধরে চালানোর চেষ্টা হয়।

প্রথমে দেখা যাক– একই গণতন্ত্র কি সব দেশে কার্যকর? সহজ উত্তর: না। কারণ বিভিন্ন দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা ভিন্ন। আর ভিন্ন হলে সমস্যাটা আদপে কোথায়–তা একটু খতিয়ে দেখা যাক:
ক. সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পার্থক্য– গণতন্ত্রের ধারণা বিভিন্ন সমাজে ভিন্ন ভিন্নভাবে বিকশিত হয়েছে। যেমন: আফ্রিকার বতসোয়ানায় কগোতলা নামে একটি স্থানীয় ব্যবস্থা আছে। এখানে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এটি গণতান্ত্রিক হলেও পশ্চিমা মডেলের মতো নয়। আবার ভারতে জাতপাত, ধর্ম ও ভাষাভিত্তিক বৈচিত্র্য গণতন্ত্রকে ভিন্নমাত্রায় পরিচালনা করেছে। এর সাথে পশ্চিমা গণতন্ত্রের তত্ত্ব খাপ খায় না। তাই বলে তাকে আবার উড়িয়েও দিতে পারে না কেউ। সেজন্য অনেক বিচ্যুতি থাকার পরেও সবাই মোটামুটি ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মেনে নিয়েছে।
খ. প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক শিক্ষা– উপনিবেশ বা সামরিক শাসন থেকে উত্তরণের পর অনেক দেশে গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। উদাহরণ দিয়ে বললে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের গভার্নেন্স সূচকে গ্লোবাল সাউথভূক্ত অনেক দেশের ‘রুল অব ল’ বা আইনের শাসন ও ‘গভর্নমেন্ট এফেকটিভনেস’ কার্য়কর শাসনব্যবস্থা সংক্রান্ত স্কোর খুবই কম। ফলে সেখানে ইউরোপ বা আমেরিকার গণতন্ত্রের মডেল আশা করাটা নির্বুদ্ধিতা।
গ. দারিদ্র্য ও অসমতা– চরম দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্যের কারণে অনেক দেশে ভোট কেনাবেচা, পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতি ও পৃষ্ঠপোষকতামূলক সংস্কৃতি গণতন্ত্রকে দুর্বল করে তোলে। এজন্য এশিয়া, লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার অনেক দেশ বারবার গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে। এটা মেনেই এসব দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হতে হবে।
ঘ. সামরিক ও কর্তৃত্ববাদী প্রভাব–অনেক দেশে সেনাবাহিনী বা পুরনো ক্ষমতার কাঠামো এখনো রাজনীতিতে প্রভাবশালী। মিশর, পাকিস্তান ও মিয়ানমার এর প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ। এসব দেশে গণতন্ত্রের রূপ আছে। কিন্তু সেই গণতন্ত্রে লুকিয়ে আছে কর্তৃত্ববাদী সামরিক বাহিনী। ২০০৯ সালের ৪ জুন মিশরের রাজধানী কায়রোয় এক ভাষণে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছিলেন, ‘আমেরিকা অন্য জাতির ওপর গণতন্ত্র চাপিয়ে দিতে পারে না। প্রতিটি দেশকে তাদের জনগণের সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে নিজেদের পথ খুঁজে নিতে হবে।’ শুনতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু তারা তো মানেন না। আমেরিকার বন্ধু দেশ মিশর ও পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর আধিপত্য গণতান্ত্রিক ধারায় পরিণত হওয়ার ব্যাপারে কী বলবেন ওবামা। এটা কী স্থানীয় ধারা? না, তাদের মদদ।
ঙ. ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ– কিছু দেশে ধর্ম ও সংস্কৃতি এমনভাবে রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছে, যা পশ্চিমা গণতন্ত্রের ‘সেক্যুলার’ মানদণ্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইরান একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু রেখেও শিয়াপন্থী ধর্মীয় নেতৃত্ব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সেখানে শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব বদলের ক্ষমতা সাধারণ জনগণের না থাকলেও তার নিচের সব পদে বদলের সুযোগ আছে।

এরপরও কী বলা যাবে, গণতন্ত্রের একটাই রূপ। আর সেটা এক দিনের ভোট? না, বলা যাবে না। কারণ গণতন্ত্র নিজেই একটা সংস্কৃতি, যা ব্যক্তি ও সমাজজীবনে চর্চার বিষয়। ব্যক্তি ও সমাজ যদি গণতান্ত্রিক না হয়, পরমত সহিষ্ণু না হয় তাহলে সে দেশে কল্পিত বা ইউটোপিয়ান গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা কখনো বাস্তবায়িত হবে না।
এবার আমরা একটু দেখার চেষ্টা করি, পশ্চিমা দেশগুলো কেন তাদের বাইরে গণতন্ত্রের নাম করে আধিপত্য বিস্তার করে?
পশ্চিমা শক্তিগুলো (বিশেষত আমেরিকা ও ইউরোপ) নানা উপায়ে গণতন্ত্রের নামে তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছে ও করে চলেছে। এর পেছনেও নানা কারণ আছে–
ক. ঔপনিবেশিক ইতিহাস: পশ্চিমা উপনিবেশকারীরা বিদায় নেওয়ার সময় নিজেদের তৈরি প্রতিষ্ঠান–সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন এমন করে সেট করে দিয়ে গেছে, যেগুলো সব সময় স্থানীয় বাস্তবতায় খাপ খায়নি। উদাহরণ হাতের কাছেই আছে। ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতে যেমন ভারত, নাইজেরিয়া বা কেনিয়ায় ‘কমন ল’ ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যা বহুধা বিভক্ত জনগোষ্ঠীকে একই আইনের ছাঁচে শাসন করতে চেয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে বা বার বারে ধাক্কা খেয়েছে।
খ. শীতল যুদ্ধ-পরবর্তী সময়– সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পশ্চিমা গণতন্ত্রকে বিশ্বব্যাপী ‘একমাত্র আদর্শ’ হিসেবে তুলে ধরা হয়। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো এই ধরনের গণতন্ত্রকে সহায়তার শর্ত রূপায়ণকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে। ছোট্ট একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। OECD বা অর্গানাইজেশন অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। ৩৮টি পশ্চিমা দেশ এর সদস্য। তাদের তথ্য মতে, ২০০০ সালের পরের ১০ বছর দাতারা সহায়তার প্রায় ৫০ শতাংশ ‘গভর্নেন্স’ বা সুশাসন এবং ‘ডেমোক্রেটিক রিফর্ম’ বা গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য ব্যয় করেছে। অর্থাৎ তাদের সহায়তা অনেকটা বিমূর্ত, বাস্তবতা বিবর্জিত ও নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের কাজে ব্যয় হয়েছে।
গ. মিডিয়া ও সফট পাওয়ার– BBC, CNN, New York Times-এর মতো পশ্চিমা গণমাধ্যম বিশ্বব্যাপী এমন এক মানদণ্ড তৈরি করেছে যেখানে পশ্চিমা গণতন্ত্রই ‘আদর্শ’। তাই ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের Democracy Index বা গণতন্ত্র সূচকে প্রতিবছরই পশ্চিমা দেশগুলো সর্বোচ্চ স্থানে থাকে। আর অন্যদের স্থান হয় তুলনামূলকভাবে নিচে। লন্ডনের প্রখ্যাত সাপ্তাহিকী ইকোনমিস্ট নিজস্ব মানদণ্ডে এটা করার কারণে কখনই পশ্চিমা দেশের বাইরে কেউ উপরে স্থান পায় না।
ঘ. রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও সামরিক আগ্রাসন– অনেক ক্ষেত্রে ‘গণতন্ত্র রক্ষার’ নামে পশ্চিমা দেশগুলো অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে। এর বড় উদাহরণ ইরাক (২০০৩)। আমেরিকা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অজুহাতে যুদ্ধ করে। যার ফলে দেশটি দীর্ঘমেয়াদে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। আরেক বড় নাম লিবিয়া (২০১১)। গণতন্ত্রের নামে সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশটিকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে আমেরিকা ও এর মিত্ররা।
ঙ. ঋণ ও দাতা নির্ভরতা– IMF ও বিশ্বব্যাংকসহ পশ্চিমা দাতা সংস্থাগুলোর অর্থায়নে চলা গ্লোবাল সাউথভূক্ত অনেক দেশের ওপর ‘ওয়াশিংটন কনসেনসাস’ অনুযায়ী গণতান্ত্রিক সংস্কার চাপিয়ে দেওয়া হয়। যা আদপে সহায়তা গ্রহণকারী দেশটির ক্ষতি করে।
পশ্চিমাদের যে এই আধিপত্য, এর প্রভাব আসলে কতটা? চলুন একটু খতিয়ে দেখি।
ক. গণতন্ত্রের প্রতি সন্দেহ ও বৈধতা সংকট– অনেক দেশেই পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র জনগণের কাছে ‘বিদেশি চাপানো ব্যবস্থা’ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। উদাহরণ: আফগানিস্তান। ২০ বছরের বেশি সময় সেখানে বিদেশি সহায়তায় নির্বাচন হলেও টেকসই গণতন্ত্র গড়ে ওঠেনি।
খ. পক্ষপাতমূলক ‘গণতন্ত্র প্রচার’–পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের স্বার্থে গণতন্ত্র রক্ষা করে আবার সুবিধামতো চোখ বন্ধ রাখে। যেমন অধিকাংশ আরব দেশ রাজতন্ত্র শাসিত, তারাই আবার আমেরিকা ও ইউরোপের ঘনিষ্ঠ মিত্র। অন্যদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকলেও পশ্চিমা দেশগুলো তাকে ‘গণতান্ত্রিক মডেল’ হিসেবে তুলে ধরে।
গ. উদীয়মান কর্তৃত্ববাদ– অনেক দেশে তথাকথিত ‘ইলিবারেল ডেমোক্রেসি’ বা অনুদার গণতন্ত্র চালু রয়েছে—যেখানে নির্বাচন নাম কা ওয়াস্তে থাকলেও প্রকৃত গণতন্ত্র অনুপস্থিত। উদাহরণ: হাঙ্গেরি, তুরস্ক, বাংলাদেশ (ছিল), রাশিয়া।
সেজন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিকল্প ও স্থানীয় মডেলে গণতন্ত্রের চর্চা চলছে। কিছু দেশ নিজেদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে গণতন্ত্রের ভিন্ন পথ অনুসরণ করেছে। যেমন রুয়ান্ডা। পল কাগামের শাসন রুয়ান্ডায় উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা আনলেও অনেকের কাছে এটি আধা-স্বৈরাচার। উগান্ডার বুদ্ধিজীবী ও অধ্যাপক মাহমুদ মামদানির মতে, ‘আফ্রিকায় গণতন্ত্র সফল হবে না যদি এটি কেবল পশ্চিমা ব্যবস্থার অনুকরণ করে। আমাদের প্রয়োজন দেশীয় ভিত্তিতে গড়ে ওঠা কাঠামো ও চর্চা।’ সেটাই হয়তো চলছে রুয়ান্ডাসহ অনেক দেশে।

আমাদের পাশের দেশ ভুটানের কথাই ধরুন। রাজতন্ত্র ও নির্বাচনের সমন্বয় করে গড়ে ওঠা এক মডেল। কিন্তু দেশটির মানুষ অন্যদের চেয়ে অনেক সুখী। পাশাপাশি বলিভিয়ায় ইভা মোরালেস আদিবাসী শাসন পদ্ধতির সঙ্গে গণতন্ত্রের সংমিশ্রণ ঘটান। এর মধ্যে কোনটা কতটা সফল তা আসলে পশ্চিমাদের অনুসৃত গণতন্ত্রের মানদণ্ডে মাপলে হিসাব সব সময়ই ভুল আসবে। আর এ নিয়ে চিল চিৎকারটাও করবে পশ্চিমারা। তবে তা ক্ষেত্র বিশেষে। অর্থাৎ যেখানে তাদের স্বার্থহানি হবে।
এটা স্বীকার করতেই হবে, পশ্চিমা গণতন্ত্রের আধিপত্য একদিকে ইতিহাসের উত্তরাধিকার। আবার অন্যদিকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার ফল। পাশাপাশি এটাও মানতে হবে, এই মডেল সব দেশে কার্যকর নয়। গণতন্ত্র তখনই টেকসই হয়, যখন তা দেশীয় বাস্তবতা, সংস্কৃতি ও জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে।
গণতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়ার বদলে, দেশীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, নাগরিক শিক্ষা বৃদ্ধি ও স্থানীয় গণতান্ত্রিক চর্চাকে স্বীকৃতি দেওয়াই হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লক্ষ্য। গণতন্ত্রের পথ এক নয়, বহু হতে পারে।
১৯৯৪ সালে রাজনৈতিক তাত্ত্বিক ও নৃতত্ত্ববিদ এরনেস্ট গেলনার বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্র কোনো রোপনযোগ্য বস্তু নয়, এটি একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া। একে আমদানি করা যায় না, কেবল লালন-পালন করতে হয়।’ আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্ররাসহ গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত বিশ্ববাসী এটা মাথায় রাখলে সবার উপকার।
সেলিম খান: সাংবাদিক