সাংবাদিক শওকত মাহমুদ কারাগারে, রিমান্ড শুনানি বৃহস্পতিবার

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
সাংবাদিক শওকত মাহমুদ কারাগারে, রিমান্ড শুনানি বৃহস্পতিবার
শওকত মাহমুদ। ছবি: ফেসবুক

বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত এই আদেশ দেন।

সরকার উৎখাতের জন্য বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাকে সাহায্য করার অভিযোগে সাংবাদিক শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলা করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, “আসামি শওকত মাহমুদসহ আরও অজ্ঞাতনামা আসামিরা এনায়েত করিম চৌধুরীর সাথে পরস্পর যোগসাজস করে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করেছেন। বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে এবং উচ্চ পদস্থ লোকজন ও ব্যবসায়ী মহলের সাথে গোপনে সভা-সমাবেশ, পরামর্শ করে বিভিন্ন স্থানে গণবিক্ষোভের মাধ্যমে সরকারে সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র, সহায়তা ও প্ররোচিত করার মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদের প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে মর্মে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।”

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির রমনা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে এই মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের ডিসি মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান বলেন, “এই মামলায় মূল নথি না থাকার কারণে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তার ১০ দিনের আবেদনের উপর শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন।”

গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

সম্পর্কিত