চরচা প্রতিবেদক

রাজশাহী মহানগরীর দরগাপাড়া মহল্লায় একটি পুরোনো রাজবাড়ি ভাঙার সময় মাটির নিচে সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হলে নিচতলা থেকে হঠাৎ একটি সুড়ঙ্গ বেরিয়ে আসে। সুড়ঙ্গ থেকে অনবরত পানি বের হচ্ছে, যা এলাকাবাসীর কৌতূহল ও উদ্বেগ তৈরি করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, এই বাড়িটি দিঘাপতিয়ার রাজা হেমেন্দ্র কুমার রায়ের ছেলে সন্দীপ কুমার রায়ের তৈরি। বাড়িটিতে দুটি একতলা ভবন ও পেছনে একটি দোতলা ভবন ছিল। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত এবং জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি প্রশাসন এটি নিলামে মাত্র দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়।
বোয়ালিয়া ভূমি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জমিটির খতিয়ান শ্রেণিতে লেখা রয়েছে ‘সিভিল ডিভিশন অফিস’ এবং মালিকানা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ‘দিঘাপতিয়া স্টেট, বলিহার, নাটোর’।
১৯৮১ সালে ভবনটিকে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ইতিহাস অনুযায়ী, মহারানি হেমন্তকুমারী পুঠিয়া থেকে রাজশাহী শহরে এলে এই বাড়িতেই অবস্থান করতেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র গবেষণাগারের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সামসুল আরেফিন জানান, মাটির নিচে পাঁচ থেকে ছয়টি সুড়ঙ্গের মতো কাঠামো দেখা গেছে, যেগুলোর কিছু অংশ আগেই ভেঙে গেছে। তার ধারণা, ব্রিটিশ আমলে ভবন ঠান্ডা রাখার জন্য বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা হিসেবে এ ধরনের সুড়ঙ্গ ব্যবহার করা হতো।
তিনি আরও জানান, রাজশাহীর অনেক পুরোনো ভবন ব্রিটিশ আমলের হওয়ায় বিষয়টি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হতে পারে। পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রাজশাহী মহানগরীর দরগাপাড়া মহল্লায় একটি পুরোনো রাজবাড়ি ভাঙার সময় মাটির নিচে সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হলে নিচতলা থেকে হঠাৎ একটি সুড়ঙ্গ বেরিয়ে আসে। সুড়ঙ্গ থেকে অনবরত পানি বের হচ্ছে, যা এলাকাবাসীর কৌতূহল ও উদ্বেগ তৈরি করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, এই বাড়িটি দিঘাপতিয়ার রাজা হেমেন্দ্র কুমার রায়ের ছেলে সন্দীপ কুমার রায়ের তৈরি। বাড়িটিতে দুটি একতলা ভবন ও পেছনে একটি দোতলা ভবন ছিল। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত এবং জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি প্রশাসন এটি নিলামে মাত্র দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়।
বোয়ালিয়া ভূমি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জমিটির খতিয়ান শ্রেণিতে লেখা রয়েছে ‘সিভিল ডিভিশন অফিস’ এবং মালিকানা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ‘দিঘাপতিয়া স্টেট, বলিহার, নাটোর’।
১৯৮১ সালে ভবনটিকে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ইতিহাস অনুযায়ী, মহারানি হেমন্তকুমারী পুঠিয়া থেকে রাজশাহী শহরে এলে এই বাড়িতেই অবস্থান করতেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র গবেষণাগারের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সামসুল আরেফিন জানান, মাটির নিচে পাঁচ থেকে ছয়টি সুড়ঙ্গের মতো কাঠামো দেখা গেছে, যেগুলোর কিছু অংশ আগেই ভেঙে গেছে। তার ধারণা, ব্রিটিশ আমলে ভবন ঠান্ডা রাখার জন্য বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা হিসেবে এ ধরনের সুড়ঙ্গ ব্যবহার করা হতো।
তিনি আরও জানান, রাজশাহীর অনেক পুরোনো ভবন ব্রিটিশ আমলের হওয়ায় বিষয়টি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হতে পারে। পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।