চরচা প্রতিবেদক

আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফিরছে ফেব্রুয়ারি মাসে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে তিনবার ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি হতে যাচ্ছে ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি।
১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়। সেটির তারিখ ছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর বিএনপি সেই নির্বাচনেই প্রথম অংশগ্রহণ করেছিল। আসন পেয়েছিল ২০৭টি। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসন পেয়েছিল ৩৯টি। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশ আওয়ামী লীগ নামেই অংশ নিয়েছিল। সেই অংশের নেতৃত্বে ছিলেন মিজানুর রহমান চৌধুরী।

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি এ দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। সেবারই প্রথমবারের মতো নির্দলীয় একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন দেখেছিল দেশের মানুষ। তর্কযোগ্যভাবে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বলা হয় ১৯৯১ সালের নির্বাচনকে। ১৯৯০ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতনের দুই মাসের মাথায় অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে অবাধ পরিবেশে স্বতঃস্ফূর্ত ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন দেশের মানুষ। এরশাদের পতনের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ। তার অধীনে এই নির্বাচন নিরপেক্ষ নির্বাচনের মডেল হিসেবেই গণ্য হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাও তৈরি হয়েছিল ১৯৯১ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন যদি দারুণ নির্বাচনের মডেল হয়, তাহলে তার ঠিক পাঁচ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রচিত হয়েছিল একতরফা এক নির্বাচনের কালো ইতিহাস। সে সময়ের বিএনপি সরকার বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উপেক্ষা করে একতরফাভাবে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করেছিল। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকেই সংবিধানের অংশ বানিয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে ওই সংসদই ১৩তম সংশোধনী পাস করেছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সংসদ টিকেছিল মাত্র ১৩ দিন।
দেশের ইতিহাসে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। মার্চ মাসেই আরেকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালে। দেশের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচনে ছিল অনেক বিতর্ক। ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি ছিল একতরফা, ভোটার ও বিরোধী দলবিহীন।

একই বছর দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসও আছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাসের মাথায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১২ জুন অনুষ্ঠিত হয় সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচনের আগেই অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলবিহীন সেই নির্বাচনে ১৫৩ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেলে নির্বাচন সব ধরনের আকর্ষণ হারিয়েছিল।
বাংলাদেশে বেশির ভাগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই শীত অথবা শুষ্ক মৌসুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনটি নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে, দুটি মার্চে, দুটি ডিসেম্বরে আর দুটি জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর বাইরে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় মে মাসে। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনটি হয় জুন মাসে। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০০১ সালের ১ অক্টোবর।

আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফিরছে ফেব্রুয়ারি মাসে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে তিনবার ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি হতে যাচ্ছে ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি।
১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়। সেটির তারিখ ছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর বিএনপি সেই নির্বাচনেই প্রথম অংশগ্রহণ করেছিল। আসন পেয়েছিল ২০৭টি। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসন পেয়েছিল ৩৯টি। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশ আওয়ামী লীগ নামেই অংশ নিয়েছিল। সেই অংশের নেতৃত্বে ছিলেন মিজানুর রহমান চৌধুরী।

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি এ দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। সেবারই প্রথমবারের মতো নির্দলীয় একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন দেখেছিল দেশের মানুষ। তর্কযোগ্যভাবে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বলা হয় ১৯৯১ সালের নির্বাচনকে। ১৯৯০ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতনের দুই মাসের মাথায় অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে অবাধ পরিবেশে স্বতঃস্ফূর্ত ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন দেশের মানুষ। এরশাদের পতনের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ। তার অধীনে এই নির্বাচন নিরপেক্ষ নির্বাচনের মডেল হিসেবেই গণ্য হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাও তৈরি হয়েছিল ১৯৯১ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন যদি দারুণ নির্বাচনের মডেল হয়, তাহলে তার ঠিক পাঁচ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রচিত হয়েছিল একতরফা এক নির্বাচনের কালো ইতিহাস। সে সময়ের বিএনপি সরকার বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উপেক্ষা করে একতরফাভাবে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করেছিল। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকেই সংবিধানের অংশ বানিয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে ওই সংসদই ১৩তম সংশোধনী পাস করেছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সংসদ টিকেছিল মাত্র ১৩ দিন।
দেশের ইতিহাসে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। মার্চ মাসেই আরেকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালে। দেশের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচনে ছিল অনেক বিতর্ক। ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি ছিল একতরফা, ভোটার ও বিরোধী দলবিহীন।

একই বছর দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসও আছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাসের মাথায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১২ জুন অনুষ্ঠিত হয় সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচনের আগেই অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলবিহীন সেই নির্বাচনে ১৫৩ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেলে নির্বাচন সব ধরনের আকর্ষণ হারিয়েছিল।
বাংলাদেশে বেশির ভাগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই শীত অথবা শুষ্ক মৌসুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনটি নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে, দুটি মার্চে, দুটি ডিসেম্বরে আর দুটি জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর বাইরে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় মে মাসে। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনটি হয় জুন মাসে। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০০১ সালের ১ অক্টোবর।