জাহিদ হোসেন বলেন, ‘‘গত তিনদিন ধরে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসকদের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন। বিদেশে যাওয়া নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, হলে সাংবাদিকদের জানানো হবে।’’

গত ২৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগের হৃদরোগের সঙ্গে এই সংক্রমণ ফুসফুস পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। ফলে শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে খালেদা জিয়া দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়ার পর গত ১৭ বছর ধরে লন্ডনে আছেন তারেক। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মামলা নিয়ে জটিলতার অবসান হলেও তিনি ফেরেননি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা স্বাভাবিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি অভিযোগ করেছেন, কারাগারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন নেত্রী। জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল।

বিএনপি অর্থনৈতিক পথরেখার পাশাপাশি রাজনৈতিক পথরেখাও তৈরি করতে চায়। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও অর্থনীতি সমৃদ্ধ করার বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “বিএনপি শুধু ‘নতুন বাংলাদেশ’ নয়, বরং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি এবং দেশনেত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে দলের নেতা-কর্মী, সমর্থকসহ শুভাকাঙ্খীদের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভিড় না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

আজ শনিবার সকালে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে দেখতে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ক্রিটিক্যাল হলেও এখন কিছুটা স্থিতিশীল।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ক্রিটিক্যাল হলেও এখন কিছুটা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা।