চরচা ডেস্ক

‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা’ বাংলা প্রবাদটি বাস্তবে প্রয়োগ করবেন কি না তা নিয়েই বৈঠকে বসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধে অর্থায়নের জন্য জব্দ করা রুশ সম্পদ ব্যবহার করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বৈঠকে বসেছেন।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিলিয়ন ইউরো মূল্যের সম্পদ জমা আছে, সেই সম্পদ জামানত হিসেবে ব্যবহার করে কিয়েভকে একটি বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়া হবে, যাতে ইউক্রেন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে।
ইইউ কর্মকর্তাদের মতে, রাশিয়ার যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি, ফলে ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরি।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কাল্লাস বলেন, একটি কার্যকরী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে প্রয়োজন হলে নেতারা যতক্ষণ দরকার ততক্ষণ আলোচনা চালাতে প্রস্তুত। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড তুস্ক কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি করেন, ইউরোপকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, নচেৎ ভবিষ্যতে শুধু ইউক্রেন নয়, পুরো মহাদেশকেই আরও বড় মূল্য দিতে হবে।
ইউরোপীয় কমিশনের পরিকল্পনা হলো, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ, যার বড় অংশ বেলজিয়ামের ক্লিয়ারিং হাউস ইউরোক্লিয়ারে রাখা আছে। তবে বেলজিয়াম সম্ভাব্য আইনি চ্যালেঞ্জ ও আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইতালিসহ আরও কয়েকটি দেশও একই ধরনের আশঙ্কা জানিয়েছে।
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডে ওয়েভার পার্লামেন্টে জানান, সম্ভাব্য মামলার ঝুঁকি বা তারল্য সংকট থেকে দেশকে রক্ষার মতো যথেষ্ট নিশ্চয়তা তিনি এখনো দেখেননি।
রাশিয়া এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে। একে অবৈধ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং পাল্টা পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। মস্কো ইতিমধ্যে ইউরোক্লিয়ারের বিরুদ্ধে বিপুল ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছে, যা বেলজিয়ামসহ অন্যদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
তবুও অনেক ইইউ নেতা মনে করেন, দ্রুত সমাধান বের করা অত্যন্ত জরুরি। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা লিয়েন বলেছেন, আগামী দুই বছরের জন্য ইউক্রেনের অর্থায়ন নিয়ে কোনো চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি শীর্ষ সম্মেলন ছাড়বেন না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরাসরি উপস্থিতি কিয়েভের তীব্র উদ্বেগের ইঙ্গিত দেয়, কারণ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে ইইউ-এর সহায়তা না পেলে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইউক্রেনের অর্থ নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে।
ইউক্রেনকে অর্থ দেওয়ার বিকল্প উপায় থাকলেও সেগুলো জটিল। যৌথভাবে ইইউ ঋণ দিতে চাইলে সব সদস্য দেশের সর্বসম্মত অনুমোদন প্রয়োজন, যা কার্যত অসম্ভব। হাঙ্গেরি ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়ায় ভেটো দেওয়ার কথা বলেছে। আবার কোনো দেশ স্বতন্ত্রভাবে অর্থায়ন করতে চাইলে সেই দেশের জাতীয় ঋণ বাড়বে, উপরন্তু তাতে ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি নিশ্চয়তা নেই। তাই কূটনীতিকদের মতে, জব্দকৃত রুশ সম্পদ ব্যবহারই একমাত্র কার্যকর পথ।
শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনায় মূলত এমন একটি কাঠামো খোঁজা হচ্ছে, যা বেলজিয়ামকে আশ্বস্ত করবে এবং একই সঙ্গে অন্য ইইউ দেশগুলোর কাছেও গ্রহণযোগ্য হবে। অনেক নেতা আশাবাদ প্রকাশ করেছেন যে শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।

‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা’ বাংলা প্রবাদটি বাস্তবে প্রয়োগ করবেন কি না তা নিয়েই বৈঠকে বসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধে অর্থায়নের জন্য জব্দ করা রুশ সম্পদ ব্যবহার করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বৈঠকে বসেছেন।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিলিয়ন ইউরো মূল্যের সম্পদ জমা আছে, সেই সম্পদ জামানত হিসেবে ব্যবহার করে কিয়েভকে একটি বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়া হবে, যাতে ইউক্রেন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে।
ইইউ কর্মকর্তাদের মতে, রাশিয়ার যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি, ফলে ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরি।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কাল্লাস বলেন, একটি কার্যকরী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে প্রয়োজন হলে নেতারা যতক্ষণ দরকার ততক্ষণ আলোচনা চালাতে প্রস্তুত। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড তুস্ক কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি করেন, ইউরোপকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, নচেৎ ভবিষ্যতে শুধু ইউক্রেন নয়, পুরো মহাদেশকেই আরও বড় মূল্য দিতে হবে।
ইউরোপীয় কমিশনের পরিকল্পনা হলো, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ, যার বড় অংশ বেলজিয়ামের ক্লিয়ারিং হাউস ইউরোক্লিয়ারে রাখা আছে। তবে বেলজিয়াম সম্ভাব্য আইনি চ্যালেঞ্জ ও আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইতালিসহ আরও কয়েকটি দেশও একই ধরনের আশঙ্কা জানিয়েছে।
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডে ওয়েভার পার্লামেন্টে জানান, সম্ভাব্য মামলার ঝুঁকি বা তারল্য সংকট থেকে দেশকে রক্ষার মতো যথেষ্ট নিশ্চয়তা তিনি এখনো দেখেননি।
রাশিয়া এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে। একে অবৈধ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং পাল্টা পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। মস্কো ইতিমধ্যে ইউরোক্লিয়ারের বিরুদ্ধে বিপুল ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছে, যা বেলজিয়ামসহ অন্যদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
তবুও অনেক ইইউ নেতা মনে করেন, দ্রুত সমাধান বের করা অত্যন্ত জরুরি। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা লিয়েন বলেছেন, আগামী দুই বছরের জন্য ইউক্রেনের অর্থায়ন নিয়ে কোনো চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি শীর্ষ সম্মেলন ছাড়বেন না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরাসরি উপস্থিতি কিয়েভের তীব্র উদ্বেগের ইঙ্গিত দেয়, কারণ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে ইইউ-এর সহায়তা না পেলে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইউক্রেনের অর্থ নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে।
ইউক্রেনকে অর্থ দেওয়ার বিকল্প উপায় থাকলেও সেগুলো জটিল। যৌথভাবে ইইউ ঋণ দিতে চাইলে সব সদস্য দেশের সর্বসম্মত অনুমোদন প্রয়োজন, যা কার্যত অসম্ভব। হাঙ্গেরি ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়ায় ভেটো দেওয়ার কথা বলেছে। আবার কোনো দেশ স্বতন্ত্রভাবে অর্থায়ন করতে চাইলে সেই দেশের জাতীয় ঋণ বাড়বে, উপরন্তু তাতে ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি নিশ্চয়তা নেই। তাই কূটনীতিকদের মতে, জব্দকৃত রুশ সম্পদ ব্যবহারই একমাত্র কার্যকর পথ।
শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনায় মূলত এমন একটি কাঠামো খোঁজা হচ্ছে, যা বেলজিয়ামকে আশ্বস্ত করবে এবং একই সঙ্গে অন্য ইইউ দেশগুলোর কাছেও গ্রহণযোগ্য হবে। অনেক নেতা আশাবাদ প্রকাশ করেছেন যে শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।