চরচা ডেস্ক

জাপানের ওকিনাওয়া অঞ্চল বিশ্বের অন্যতম ‘ব্লু জোন’, যেখানে মানুষ গড়ে দীর্ঘায়ু, রোগমুক্ত জীবন কাটায়। এখানকার মানুষের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বহু গবেষণার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ধারণা হলো ‘হারা হাচি বু’ (Hara Hachi Bu)। এটি এক ধরনের খাদ্য নীতি যেখানে বলা হয় “তোমার পেট ৮০% ভরলে খাওয়া বন্ধ করো।” সরল এই নীতিটিই ওকিনাওয়ানদের দীর্ঘজীবন, স্থিতিশীল ওজন এবং তারুণ্য ধরে রাখার রহস্য বলে মনে করেন গবেষকেরা।
হারা হাচি বু আসলে কী?
জাপানি ভাষায় হারা মানে পেট, আর হাচি বু মানে আট ভাগ। অর্থাৎ, ‘পেটকে পুরোপুরি ভরতে দিও না- ৮০% পর্যন্ত খাও।’ এটি শুধু খাদ্য সীমাবদ্ধতা নয়; বরং এক ধরনের সচেতন খাদ্যাভ্যাস, যেখানে শরীরের ক্ষুধা-তৃপ্তির সংকেতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি, শরীরে ফ্যাট জমে এবং মেটাবলিজম ধীর হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। ‘হারা হাচি বু’ সেই অতিরিক্ত অংশটুকু কেটে দেয়, যা ওজন বাড়ায় এবং শরীরকে দ্রুত বুড়িয়ে দেয়। এই পদ্ধতিতে ওজন কমানোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে-
কম ক্যালরি, কিন্তু অপুষ্টি নয়
হারা হাচি বু মানে কখনই অনাহার বা কঠোর ডায়েট নয়। বরং শরীর যতটুকু শক্তি চায়, তার সামান্য কম গ্রহণ করা। এই সামান্য ঘাটতিই ধীরে ধীরে শরীরকে টেকসইভাবে চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।

ফলাফল-
ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়
অতিরিক্ত খাওয়া ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়, যা ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু ৮০% পর্যন্ত খেলে রক্তে গ্লুকোজের ওঠানামা কম হয়। ফলে-
অল্পতে পরিতৃপ্ত হওয়া
হারা হাচি বু আমাদের ধীরে, মনোযোগ দিয়ে খেতে শেখায়। ধীরে খেলে মস্তিষ্ক তৃপ্তির সংকেত পাঠাতে সময় পায়। ফলে কম খেয়ে পরিতৃপ্ত হওয়া যায়। এটাই টেকসই ওজন কমানোর আসল চাবিকাঠি।
তারুণ্য ধরে রাখার রহস্য
বহু গবেষণায় দেখা গেছে, শরীর যখন কম ক্যালোরি পায়, তখন কোষগুলো নিজেকে মেরামত করতে বেশি সক্রিয় হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় অটোফেজি, যা বার্ধক্য ধীর করতে গুরুত্বপূর্ণ। ফলাফল-
অতিরিক্ত খাওয়া শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যাল তৈরি করে, যা কোষ ক্ষতি করে এবং বার্ধক্য বাড়ায়।
হারা হাচি বু এই চাপ কমায়, ফলে শরীর থাকে হালকা ও এনার্জেটিক।

হজমতন্ত্রকে বিশ্রাম দেয়
পেট ১০০% ভরে খাওয়া হজমতন্ত্রকে চাপে ফেলে। কিন্তু ৮০% পর্যন্ত খাওয়ায়-
সুস্থ পেট মানেই আরও ভালো ত্বক, ভালো মুড, ভালো ঘুম-যা সবই তারুণ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত।
কীভাবে হারা হাচি বু চর্চা করবেন?
হারা হাচি বু শুধু কোন ডায়েট নয়, এটি একটি জীবনের দর্শন। কম খেয়ে নয়,সচেতনভাবে খেয়ে বাঁচা। ওজন কমানো, দীর্ঘায়ু, ভালো ত্বক, ভালো হজম-সবকিছু মিলিয়ে এই জাপানি নীতিটি আমাদের আধুনিক, ব্যস্ত জীবনে একটি সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি সহজ কিন্তু শক্তিশালী সমাধান হতে পারে।
তথ্যসূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের ওয়েবসাইট

জাপানের ওকিনাওয়া অঞ্চল বিশ্বের অন্যতম ‘ব্লু জোন’, যেখানে মানুষ গড়ে দীর্ঘায়ু, রোগমুক্ত জীবন কাটায়। এখানকার মানুষের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বহু গবেষণার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ধারণা হলো ‘হারা হাচি বু’ (Hara Hachi Bu)। এটি এক ধরনের খাদ্য নীতি যেখানে বলা হয় “তোমার পেট ৮০% ভরলে খাওয়া বন্ধ করো।” সরল এই নীতিটিই ওকিনাওয়ানদের দীর্ঘজীবন, স্থিতিশীল ওজন এবং তারুণ্য ধরে রাখার রহস্য বলে মনে করেন গবেষকেরা।
হারা হাচি বু আসলে কী?
জাপানি ভাষায় হারা মানে পেট, আর হাচি বু মানে আট ভাগ। অর্থাৎ, ‘পেটকে পুরোপুরি ভরতে দিও না- ৮০% পর্যন্ত খাও।’ এটি শুধু খাদ্য সীমাবদ্ধতা নয়; বরং এক ধরনের সচেতন খাদ্যাভ্যাস, যেখানে শরীরের ক্ষুধা-তৃপ্তির সংকেতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি, শরীরে ফ্যাট জমে এবং মেটাবলিজম ধীর হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। ‘হারা হাচি বু’ সেই অতিরিক্ত অংশটুকু কেটে দেয়, যা ওজন বাড়ায় এবং শরীরকে দ্রুত বুড়িয়ে দেয়। এই পদ্ধতিতে ওজন কমানোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে-
কম ক্যালরি, কিন্তু অপুষ্টি নয়
হারা হাচি বু মানে কখনই অনাহার বা কঠোর ডায়েট নয়। বরং শরীর যতটুকু শক্তি চায়, তার সামান্য কম গ্রহণ করা। এই সামান্য ঘাটতিই ধীরে ধীরে শরীরকে টেকসইভাবে চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।

ফলাফল-
ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়
অতিরিক্ত খাওয়া ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়, যা ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু ৮০% পর্যন্ত খেলে রক্তে গ্লুকোজের ওঠানামা কম হয়। ফলে-
অল্পতে পরিতৃপ্ত হওয়া
হারা হাচি বু আমাদের ধীরে, মনোযোগ দিয়ে খেতে শেখায়। ধীরে খেলে মস্তিষ্ক তৃপ্তির সংকেত পাঠাতে সময় পায়। ফলে কম খেয়ে পরিতৃপ্ত হওয়া যায়। এটাই টেকসই ওজন কমানোর আসল চাবিকাঠি।
তারুণ্য ধরে রাখার রহস্য
বহু গবেষণায় দেখা গেছে, শরীর যখন কম ক্যালোরি পায়, তখন কোষগুলো নিজেকে মেরামত করতে বেশি সক্রিয় হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় অটোফেজি, যা বার্ধক্য ধীর করতে গুরুত্বপূর্ণ। ফলাফল-
অতিরিক্ত খাওয়া শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যাল তৈরি করে, যা কোষ ক্ষতি করে এবং বার্ধক্য বাড়ায়।
হারা হাচি বু এই চাপ কমায়, ফলে শরীর থাকে হালকা ও এনার্জেটিক।

হজমতন্ত্রকে বিশ্রাম দেয়
পেট ১০০% ভরে খাওয়া হজমতন্ত্রকে চাপে ফেলে। কিন্তু ৮০% পর্যন্ত খাওয়ায়-
সুস্থ পেট মানেই আরও ভালো ত্বক, ভালো মুড, ভালো ঘুম-যা সবই তারুণ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত।
কীভাবে হারা হাচি বু চর্চা করবেন?
হারা হাচি বু শুধু কোন ডায়েট নয়, এটি একটি জীবনের দর্শন। কম খেয়ে নয়,সচেতনভাবে খেয়ে বাঁচা। ওজন কমানো, দীর্ঘায়ু, ভালো ত্বক, ভালো হজম-সবকিছু মিলিয়ে এই জাপানি নীতিটি আমাদের আধুনিক, ব্যস্ত জীবনে একটি সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি সহজ কিন্তু শক্তিশালী সমাধান হতে পারে।
তথ্যসূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের ওয়েবসাইট