চরচা ডেস্ক

অনেকেরই মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়, এরপর আবার ঘুমও আসতে চায় না। তবে বেশিরভাগ মানুষই এ নিয়ে তেমন মাথা ঘামান না, উঠে একটু হাঁটাচলা করে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করেন। তবে এটি অবশ্যই চিন্তার বিষয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্জয় ভোজরাজ বলেছেন, আপনি যদি রাত ১টা থেকে ২টার দিকে হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে ওঠেন, তাহলে সেটি শরীরের অতিরিক্ত চাপকে নির্দেশ করে।
গত ৫ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামের এক পোস্টে এই বক্তব্য দেন হৃদরোগ নিয়ে ২০ বছর ধরে কাজ করা এই চিকিৎসক।
ডা. ভোজরাজের মতে, মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো শরীরের প্রধান স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের অস্বাভাবিক সময়ে বেড়ে যাওয়া। সাধারণত, সকালের ঘুম থেকে ওঠার আগে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। তবে মাঝরাতে এমনটা হওয়ার কারণ হলো শরীরের অতিরিক্ত চাপে থাকা।
উচ্চচাপের লক্ষণ
ডা. ভোজরাজ বলেন, বেশিরভাগ মানুষ এই মাঝরাতে জেগে ওঠার ব্যাপারটা এড়িয়ে যান। তবে আসল কথা হলো, আপনি যখন স্ট্রেসে বা চাপে থাকেন, তখন অস্বাভাবিক সময়ে কর্টিসল বেড়ে যেতে পারে। তাই যদি রাত ১টা বা ২টার দিকে আপনার হুট করে ঘুম ভেঙে যায়, এরপর যদি আবার ঘুম না আসে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীর আপনাকে সতর্ক করছে যে আপনি চাপে রয়েছেন।
শারীরবৃত্তীয়ভাবে এর অর্থ হলো, আপনার স্নায়ুতন্ত্র চাপের সঙ্গে লড়াই করছে। রাতে সাধারণত শরীরের প্যারাসিমপ্যাথেটিক অবস্থায় (বিশ্রাম ও মেরামত) থাকা উচিত। তবে শারীরিক প্রদাহ, রক্তে শর্করার ওঠানামা কিংবা মানসিক চাপের কারণে ভুল সময়ে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। এটিই রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়।
এড়িয়ে যাওয়া যাবে না
কেউ এই সমস্যার সম্মুখীন হলে তা এড়িয়ে না যেতে পরামর্শ দিয়েছেন ডা. ভোজরাজ। তার মতে, এটি এলোমেলোভাবে ঘুম ভেঙে যাওয়ার মতো মনে হলেও, আসলে এটি এক ধরনের ‘মেটাবলিক অ্যালার্ম’। এর অর্থ, আপনার লিভার অতিরিক্ত কাজ করছে, রক্তে শর্করা কমে যাচ্ছে, কর্টিসল বাড়ছে বা আপনার স্নায়ুতন্ত্র পুরোপুরি বিশ্রামে যেতে পারছে না।
এই চিকিৎসক আরও বলেন, আপনার শরীর যে আপনার ধারণার চেয়ে বেশি চাপ বহন করছে, তারই ইঙ্গিত এগুলো এবং যেভাবেই হোক আপনাকে সেটা জানাতে চাইছে।

অনেকেরই মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়, এরপর আবার ঘুমও আসতে চায় না। তবে বেশিরভাগ মানুষই এ নিয়ে তেমন মাথা ঘামান না, উঠে একটু হাঁটাচলা করে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করেন। তবে এটি অবশ্যই চিন্তার বিষয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্জয় ভোজরাজ বলেছেন, আপনি যদি রাত ১টা থেকে ২টার দিকে হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে ওঠেন, তাহলে সেটি শরীরের অতিরিক্ত চাপকে নির্দেশ করে।
গত ৫ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামের এক পোস্টে এই বক্তব্য দেন হৃদরোগ নিয়ে ২০ বছর ধরে কাজ করা এই চিকিৎসক।
ডা. ভোজরাজের মতে, মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো শরীরের প্রধান স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের অস্বাভাবিক সময়ে বেড়ে যাওয়া। সাধারণত, সকালের ঘুম থেকে ওঠার আগে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। তবে মাঝরাতে এমনটা হওয়ার কারণ হলো শরীরের অতিরিক্ত চাপে থাকা।
উচ্চচাপের লক্ষণ
ডা. ভোজরাজ বলেন, বেশিরভাগ মানুষ এই মাঝরাতে জেগে ওঠার ব্যাপারটা এড়িয়ে যান। তবে আসল কথা হলো, আপনি যখন স্ট্রেসে বা চাপে থাকেন, তখন অস্বাভাবিক সময়ে কর্টিসল বেড়ে যেতে পারে। তাই যদি রাত ১টা বা ২টার দিকে আপনার হুট করে ঘুম ভেঙে যায়, এরপর যদি আবার ঘুম না আসে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীর আপনাকে সতর্ক করছে যে আপনি চাপে রয়েছেন।
শারীরবৃত্তীয়ভাবে এর অর্থ হলো, আপনার স্নায়ুতন্ত্র চাপের সঙ্গে লড়াই করছে। রাতে সাধারণত শরীরের প্যারাসিমপ্যাথেটিক অবস্থায় (বিশ্রাম ও মেরামত) থাকা উচিত। তবে শারীরিক প্রদাহ, রক্তে শর্করার ওঠানামা কিংবা মানসিক চাপের কারণে ভুল সময়ে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। এটিই রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়।
এড়িয়ে যাওয়া যাবে না
কেউ এই সমস্যার সম্মুখীন হলে তা এড়িয়ে না যেতে পরামর্শ দিয়েছেন ডা. ভোজরাজ। তার মতে, এটি এলোমেলোভাবে ঘুম ভেঙে যাওয়ার মতো মনে হলেও, আসলে এটি এক ধরনের ‘মেটাবলিক অ্যালার্ম’। এর অর্থ, আপনার লিভার অতিরিক্ত কাজ করছে, রক্তে শর্করা কমে যাচ্ছে, কর্টিসল বাড়ছে বা আপনার স্নায়ুতন্ত্র পুরোপুরি বিশ্রামে যেতে পারছে না।
এই চিকিৎসক আরও বলেন, আপনার শরীর যে আপনার ধারণার চেয়ে বেশি চাপ বহন করছে, তারই ইঙ্গিত এগুলো এবং যেভাবেই হোক আপনাকে সেটা জানাতে চাইছে।