Zero-Click Search: বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম কী সামলাতে পারবে?

Zero-Click Search: বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম কী সামলাতে পারবে?
ছবি: রয়টার্স

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের জগৎ এখন ডিজিটাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। এই দেশের ছাপা পত্রিকা, টেলিভিশন বা রেডিও–সব ধরনের গণমাধ্যমই বর্তমানে এই ডিজিটালের দুনিয়ায় প্রাধান্য বিস্তার করতে ব্যস্ত। ওয়েব দুনিয়ায় সবারই অন্তত উপস্থিতি আছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় তো কথাই নেই!

দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির ঠিক এমন এক পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বে অনুভূত হচ্ছে Google Zero-সংক্রান্ত শঙ্কা। চলেই এসেছে Zero-Click Search। এরই মধ্যে দুনিয়ার বিখ্যাত অনেক সংবাদমাধ্যম বিপাকে পড়েছে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেই যায় যে, Google Zero এসেই গেলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম কী ধকল সামলাতে পারবে? আর Google Zero তো পরের বিষয়, গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের Zero-Click Search-এর জ্বালাও কি সহ্য করতে পারবে?

জিরো ক্লিক সার্চের প্রসঙ্গ এলেই মূলত ওয়েব দুনিয়ায় সংবাদমাধ্যমগুলোর দৃশ্যমানতা ও আয়ের বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়। তবে এর বাইরে আরেকটি যে বিষয় গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সেটি হলো ফ্যাক্টচেকিংয়ের ব্যাপারটি। এবং এটি ঘিরেই অনেকটা আবর্তিত হবে এআই যুগে বাংলাদেশের সাংবাদিকতাকেন্দ্রিক আলোচনা। এতে জিরো ক্লিক সার্চের ফিচারটি নিয়ে আসছে এক নতুন মাত্রা।

বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় এআই ব্যবহারের মাত্রা কেমন, সেটি নিয়ে শুরুতেই একটু জানা যাক। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই)। ডিজিটালি রাইটের সহযোগিতা ও এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত এই মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে এআই ব্যবহারের ধরন, নৈতিক চিন্তাভাবনা এবং সংবাদমাধ্যমগুলোতে আরও বেশি এআই ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় করণীয় ও ঘাটতির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অনেক সাংবাদিক ব্যক্তিগত কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করেন ঠিকই। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বার্তাকক্ষের কার্যক্রমে এআইয়ের ব্যবহার এখনো খুবই কম।

গুগল জিরো। ছবি: এআই
গুগল জিরো। ছবি: এআই

এই প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল–মিডিয়া মেটামরফোসিস: এআই অ্যান্ড বাংলাদেশি নিউজরুম ২০২৪। প্রতিবেদনটি তৈরি করতে বাংলাদেশের ২৫টি সংবাদমাধ্যমের ৫৩ জন সাংবাদিকের ওপর জরিপ চালানো হয়েছিল। মূল্যায়ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেওয়া সাংবাদিকদের অর্ধেকের বেশি (৫১%) তাদের কাজের জন্য এআই ব্যবহার করেছেন। তবে বার্তাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এআই ব্যবহারের হার বেশ কম, মোটে ২০%। আর এআই ব্যবহারকারী সাংবাদিকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় টুল হলো চ্যাটজিপিটি, যার ব্যবহার হার ৭৮%।

আশা করি, এই জরিপের ফলাফল দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে এআই টুলস ব্যবহারের মাত্রা অতি সামান্য। আমরা এখনো শিশুর পর্যায়ে আছি বলা যায়। এআই বলতে যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বোঝায়, সেটিই এখন পর্যন্ত আমরা ভালোভাবে বুঝেছি কেবল। এ দেশের সিংহভাগ সংবাদমাধ্যম এখনো কনটেন্ট প্রসেসিংয়ের কাজে কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করে না, আগ্রহীও নয় খুব একটা। রাজধানীতেই এমন অবস্থা। স্থানীয় বা ঢাকার বাইরের সংবাদমাধ্যমগুলোর কী অবস্থা, তা নিয়ে কথা না বাড়ানোই ভালো।

সবচেয়ে বড় বিষয়, সাংবাদিকতার কাজে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহারে খরচ করতে সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ বেজায় কম। সেক্ষেত্রে এআই টুলস কেনায় আগ্রহ কোন মাত্রার, তা অনুমান করতে কষ্ট হয় না। সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো সাংবাদিকদের একাংশও প্রযুক্তিবিমুখ। এখনো এ দেশের অনেক সাংবাদিক স্মার্টফোনের নানাবিধ অ্যাপ্লিকেশন নিউজ প্রোডাকশনের কাজে ব্যবহার করেন না। আবার প্রযুক্তি ব্যবহারের বদলে তা অস্বীকারের প্রবণতা সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক। নতুন কিছু শেখার আগ্রহও সাধারণভাবে বেশ কম। উল্টো এখনো ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজ করা অনেক সাংবাদিক যেকোনো প্রযুক্তি করায়ত্ত করতে শুরুতে অনীহা দেখান। মধ্যবয়স ও তার চেয়ে বেশি বয়সী সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে এটি প্রধান সমস্যা। বয়স যার যত বেশি, তাদের অনীহা তত বেশি। এটিই স্বাভাবিক। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের পার্থক্য বলে একটা বিষয় তো আছেই। এটি অস্বীকার করা যাবে না। তরুণ সাংবাদিকেরা এক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত এগিয়ে আছেন। তবে তাদের ক্ষেত্রে আছে অন্য জটিলতা!

এই জটিলতা বুঝতে ওপরে উল্লেখ করা এমআরডিআই-এর মূল্যায়ন প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা একটি তথ্যের পুনরাবৃত্তি করা যাক। সেটি হলো–জরিপে অংশ নেওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে যারা এআই ব্যবহারকারী, তাদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় টুল হলো চ্যাটজিপিটি, যার ব্যবহার হার ৭৮%। তার মানে, সাংবাদিকেরা এই টুল ব্যবহার শুরু করেছে তিন বছরও হয়নি। ২০২২ সালের একদম শেষে বাজারে আসা চ্যাটজিপিটি যে কাজগুলো করে দিতে পারে, তার মধ্যে অন্যতম হলো–টেক্সট কনটেন্ট তৈরি করা, কল্পিত বা প্রতীকী ছবি তৈরি করা, আলাপ করা, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করা ইত্যাদি। যদি সাংবাদিক হিসেবে পাওয়া সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগাই, তবে বলতেই হয় যে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের হার যে ৭৮ শতাংশ, তার অন্যতম কারণ চ্যাটজিপিটি দিয়ে টেক্সট তৈরি করা হয়, প্রাথমিক গবেষণা করা হয়, ছবি তৈরি হয় এবং অনুবাদ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই তরুণ সাংবাদিকদের মধ্যে চ্যাটজিপিটিকে দিয়ে টেক্সট কনটেন্ট লিখিয়ে নেওয়ার বা ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার প্রবণতা আছে। এতে সময় বাঁচে, কষ্ট কম হয়, তবে মৌলিকত্ব বজায় থাকে কি না, বা কাজটি আদৌ নৈতিক কি না–সে বিষয়ে প্রশ্ন আছে ঢের। এসব বিষয় পরীক্ষাও করতে হয় কোনো কোনো সংবাদ ব্যবস্থাপকদের। কোনো কোনো বলা হলো, কারণ যে সংবাদ ব্যবস্থাপকেরা এই গেটকিপার হিসেবে কাজ করবেন, তাদের অনেকে কীভাবে পরীক্ষা করতে হয়, সেই সম্পর্কে অবগত নন। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই এ দেশের ডিজিটাল মিডিয়ায় চ্যাটজিপিটির তৈরি কনটেন্ট কোনো সতর্কতামূলক ঘোষণা ছাড়া মনুষ্যসৃষ্ট কনটেন্ট হিসেবে প্রকাশিত হয়েও যাচ্ছে!

কথা হলো, এআই জেনারেটেড কনটেন্ট কি প্রকাশের অযোগ্য? না, কোনোভাবেই না। ছবি ও ভিডিওর ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের বিষয়টি বিশ্বজুড়েই স্বীকৃত। তবে সেক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমে এআই জেনারেটেড কনটেন্ট কীভাবে নৈতিকভাবে সৎ থেকে ব্যবহার করা উচিত, সেই সংক্রান্ত নীতিমালা আছে। বিশ্বব্যাপী নানা সংগঠন এ ধরনের নীতিমালা তৈরি করেছে এবং প্রতিনিয়ত সেসব হালনাগাদও করছে। এগুলোর মধ্যে একটি সাধারণ বিষয় হলো, এআই জেনারেটেড ছবি ও ভিডিও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই এটি স্বীকার করে নেওয়া যে, সেসব এআই দিয়ে তৈরি। এই জায়গাতেই আমাদের দেশে ঘাটতি অনেক। আমরা অন্য মিডিয়া আউটলেট থেকে টেক্সট বা ভিডিও কনটেন্ট হুবহু কপি-পেস্ট মেরে দিয়েই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি না, আর এআই তো কোন ছার!

আবার এআই জেনারেটেড টেক্সট কনটেন্ট ব্যবহারের বিষয়টি বেশির ভাগ প্রথিতযশা সংবাদমাধ্যমই নৈতিকভাবে সঠিক বলে মনে করে না। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি ইত্যাদি বিখ্যাত সংবাদমাধ্যমগুলো এআই ব্যবহারের যে নীতিমালা অনুসরণ করে থাকে, সেসবের বেশির ভাগেই এআই টুলস দিয়ে টেক্সট কনটেন্ট তৈরি করাকে নীতিবহির্ভূত বলে অভিহিত করা হয়েছে। এসব নীতিমালা অনুযায়ী, পাঠক ও দর্শকদের মৌলিক কনটেন্ট দেওয়ার নৈতিক বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত সংবাদমাধ্যমের। তাই এআই ব্যবহার করলেও তা সব সময় জানিয়ে দিতে হবে পাঠক, দর্শকদের এবং অতি অবশ্যই সাংবাদিকের হাতে এআই জেনারেটেড যেকোনো তথ্য বা উপাদানের ভেরিফিকেশন হতে হবে। আমাদের দেশে অবশ্য হাতে গোনা কয়েকটি সংবাদমাধ্যমেরই যেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পাদকীয় নীতিমালা আছে, সেখানে এআই-এর নৈতিক ব্যবহারের নীতিমালা থাকা আশা করাটা আসলে একটু বেশি বেশিই।

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

সেই হিসাবে আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এআই-এর অনৈতিক ব্যবহারই বেশি। এ নিয়ে সেভাবে যেহেতু জরিপ বা গবেষণা হয় না, তাই বিষয়টির প্রামাণ্য তথ্য হাজির করা কঠিন। তবে এ দেশে বছরদুয়েক সাংবাদিকতা করা যে কেউ আশা করি এ বিষয়টায় একমত হবেনই। অবাকও হতে পারেন, কারণ এ দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোয় এআই লিটারেসি এতটাই অ, আ, ক, খ পর্যায়ের যে!

আর এই জায়গাতেই চলে আসে ফ্যাক্টচেকিংয়ের বিষয়টি। গুগলের এআই জিরো ক্লিক সার্চের ক্ষেত্রে যেসব সোর্স থেকে তথ্য নেওয়া হয়, সেগুলোর লিংক দিয়ে দেয়। চ্যাটজিপিটির মতো বাকি এআই টুলগুলো এক্ষেত্রে অনেক উদাসীন, বেশির ভাগ সময় সোর্স জানাতেও চায় না। আবার লিংক দিলেও সামারি তৈরির ক্ষেত্রে গুগলের এআই অনেক সময় বিভিন্ন বিতর্কিত তথ্যও সন্নিবেশিত করে ফেলে, সেগুলো যে বিতর্কিত তাও জানায় না সেভাবে। ফলে যদি কোনো সাংবাদিক এআই জেনারেটেড টেক্সট বা রিসার্চ কনটেন্টের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং সেটি এতটাই হয় যে, ভেরিফিকেশন করার ইচ্ছাও কমে যায়, তবে তা সাংবাদিকতার জন্য অনেক বড় হুমকি হিসেবে দেখা দেয়। এই বিষয়টি এরই মধ্যে আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যমের জগতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। উইকিপিডিয়ায় পাওয়া তথ্য ভেরিফিকেশন ছাড়া সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত লেখায় উল্লেখ করার দেশে এটিই তো স্বাভাবিক, তাই না!

তাই জিরো ক্লিক সার্চ আসায় বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন ছড়ানোর ঝুঁকি আরও বেড়েছে বৈ কমেনি। এই জিরো ক্লিক সার্চের কারণে স্বাভাবিকভাবেই ওয়েব দুনিয়ায় বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের ভিউ ও আয়—দুই-ই কমবে। সেই সঙ্গে ভোক্তার কাছে সংবাদমাধ্যমের দৃশ্যমানতাও ঢের কমে যেতে পারে। কারণ বাংলাদেশের অনেক তথাকথিত শিক্ষিত নাগরিকও ফেসবুকে পাওয়া অপতথ্যকে ফ্যাক্টস হিসেবে চালিয়ে দিতে অভ্যস্ত। এমন দেশে ‘এআই বলেছে’–এই বাক্যটিই ভবিষ্যতে হয়তো তথ্যের নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে হাজির হতে পারে! কারণ, জাতিগতভাবেই আমাদের খোঁজ করার মানসিকতা কম, তথ্যের সত্যাসত্য নির্ণয়ে অনুসন্ধান তো দূর অস্ত। এবং এমন প্রবণতা থেকে এ দেশের সংবাদমাধ্যমও মুক্ত নয়, বরং প্রবলভাবে দূষিত। গোদের উপর বিষফোঁড়া’র মতো জনসাধারণের কাছে আবার এ দেশীয় সংবাদমাধ্যমগুলো আস্থাভাজনও নয়।

এমন দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর আসলে ‘জিরো ক্লিক সার্চ’ নামক ফিচারটি সামলানোই অত্যন্ত কঠিন কাজ। সেই জায়গায় গুগল জিরো-সংক্রান্ত শঙ্কা খুবই দূরবর্তী একটি বিষয়, অনেকটা আদার ব্যাপারির জাহাজের খবর নেওয়ার মতো আর কি! সুতরাং, এআইসমৃদ্ধ এসব নিত্যনতুন প্রযুক্তিগত ফিচার বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জগতের জন্য যতটা না সম্ভাবনার, তার চেয়েও অনেক অনেক বেশি শঙ্কার। এতটাই শঙ্কার যে, সেখানে সম্ভাবনা নিয়ে ভাবার সুযোগও খুবই কম। বরং শঙ্কাসমূহ কীভাবে সামলানো যায়, সেটি নিয়ে চিন্তা করাই বেশি জরুরি। নইলে তারাপদ রায়ের কবিতার পঙক্তিতে সুর মিলিয়ে আফসোস করে শুধু বলা যাবে, ‘…আমরা বুঝতে পারিনি আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে’!

লেখক: বার্তা সম্পাদক, চরচা

সম্পর্কিত