শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির মৃত্যুর আশঙ্কা ছেলে কিমের

চরচা ডেস্ক
চরচা ডেস্ক
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির মৃত্যুর আশঙ্কা ছেলে কিমের
অং সান সু চি। ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমারে আটক ৮০ বছর বয়সী অং সান সু চির স্বাস্থ্য ক্রমশ নাজুক হয়ে ওঠায় এবং তার সম্পর্কে কোনো তথ্য না পাওয়ায় এই নেত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন ছেলে কিম আরিস। তিনি আশঙ্কা করছেন, মা যদি মারাও যান, তবে হয়তো তিনি তা জানতেও পারবেন না।

টোকিওতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ নাগরিক কিম আরিস বলেন, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি তার মায়ের সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে সরাসরি কোনো কথা বলতে পারেননি। কেবল মাঝে মাঝে, তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে তার হার্ট, হাড় এবং মাড়ির সমস্যা সংক্রান্ত বিচ্ছিন্ন কিছু তথ্য তিনি পেয়েছেন।

কিম আরিসের মতে, সু চির চলমান স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। তাকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কেউ দেখেনি। সু চিকে তার আইনজীবী দল বা পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

কিম আরিস মনে করছেন, সু চিকে রাজধানী নেপিদোতে আটক রাখা হয়েছে। দুই বছর আগে পাওয়া শেষ চিঠিতে সু চি গ্রীষ্ম ও শীতকালে তার সেলের তাপমাত্রা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন।

সু চি বর্তমানে উসকানি, দুর্নীতি ও নির্বাচনি জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। বিভিন্ন মামলায় তার সাজার মোট পরিমাণ ছিল ৩৩ বছর, তবে পরে তা কমিয়ে ২৭ বছর করা হয়েছে।

কিম আরিস মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর আসন্ন নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করলেও তিনি মনে করেন, এটি তার মায়ের দুর্দশা লাঘবের একটি ছোট সুযোগ তৈরি করতে পারে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে এই নির্বাচন ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এই সুযোগ ব্যবহার করে জান্তার ওপর চাপ সৃষ্টি এবং তার মায়ের মুক্তির আহ্বান জানান।

কিম আরিস আরও বলেছেন, তিনি আশঙ্কা করছেন, বিশ্বজুড়ে অন্যান্য সংঘাতের কারণে মানুষ মিয়ানমারের বিষয়টি ভুলে যাচ্ছে। তিনি তার মায়ের মুক্তির জন্য সব পক্ষকে যুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

সাক্ষাৎকারে সু চির ছেলে বলেন, ‘‘তার চলমান স্বাস্থ্য সংকট রয়েছে। গত দুই বছরে তাকে কেউ দেখেনি। তার আইনগত দলের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ করার অনুমতি নেই, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ তো অনেক দূর। আমি যতদূর আশঙ্কা করছি, তিনি হয়তো ইতিমধ্যেই মারা গেছেন।’’

কিম আরিস বলেন, ‘‘আমি মনে করি আমার মাকে নিয়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নিজের একটা উদ্দেশ্য আছে। যদি তিনি নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে বা পরে সাধারণ জনগণের মন জয় করার জন্য তাকে ব্যবহার করতে চান, হয় তাকে মুক্তি দিয়ে অথবা গৃহবন্দী থেকে সরিয়ে দিতে পারেন।’’

সম্পর্কিত