চরচা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এরইমধ্যে আটটি যুদ্ধের সমাধান করেছেন। তাই তার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত। তবে তার এই দাবি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বরং কিছু এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, যেমন গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং কম্বোডিয়া–থাইল্যান্ড সীমান্ত।
ট্রাম্প যে আন্তর্জাতিক সংঘাতগুলোতে ভূমিকা রাখার দাবি করেন, তার কয়েকটি হলো—
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান
৮ আগস্ট ট্রাম্প দুই দেশের নেতাদের দিয়ে একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করান, যেখানে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এক রেডিও সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ব্যবসায়িক সম্পর্কের সূত্রে তিনি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের নেতাদের চিনতেন। তিনি তাদের যুদ্ধ না করার জন্য চাপ দেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, দুই দেশ ২০২৩ সালে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে, তারা বলেছিল যে তারা একটি খসড়া শান্তিচুক্তির মূল বিষয়বস্তুতে একমত হয়েছে, কিন্তু সেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
তবে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তি নিয়ে এখনো কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আর্মেনিয়ার সংবিধান সংশোধনের মতো বিষয়।
কম্বোডিয়া–থাইল্যান্ড
গত সোমবার থাইল্যান্ডের বিমান হামলায় ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ে। জুলাইয়ে দুই দেশের সীমান্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং দুই দিন পর ট্রাম্প দুই পক্ষকে ট্যারিফ চুক্তি স্থগিতের হুমকি দেন।
অবশেষে অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় যুদ্ধবিরতি সই হয়, এবং দুই দেশের যুক্তরাষ্ট্রমুখী রপ্তানিতে ট্রাম্প ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।
ইসরায়েল, ইরান ও ফিলিস্তিন
অক্টোবরে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাস জিম্মি মুক্তি ও যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে সম্মত হয়। এতে গাজায় দুই বছরের যুদ্ধ থামার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যেখানে বহু মানুষ নিহত হয়েছে।

তবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, ভবিষ্যৎ গাজার শাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী গঠন এসব বিষয়ে এখনো বড় মতপার্থক্য রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ইসরায়েলের চাপে ট্রাম্প ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালান। পরে কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল–ইরান যুদ্ধবিরতি হয়। পরিস্থিতি এখনো অস্থির এবং ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।
রুয়ান্ডা ও ডিআর কঙ্গো
এম২৩ বিদ্রোহীরা এ বছর পূর্ব কঙ্গোতে বড় অঞ্চল দখল করেছে। ট্রাম্পের চাপের মুখে ২৭ জুন দুই দেশ শান্তিচুক্তিতে সই করে, যদিও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, রুয়ান্ডা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে। আমেরিকাও কঙ্গোর খনিজ খাতে বেশি প্রবেশাধিকার চায়। ট্রাম্প আর্থিক নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
ভারত ও পাকিস্তান
চলতি বছরের মে মাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে চার দিনের সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি হয়। ট্রাম্প বলেছেন, বাণিজ্য বন্ধের ভয় দেখিয়েই তিনি চুক্তি করিয়েছেন।
তবে ভারত দাবি করেছে, আমেরিকার চাপ এ ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখেনি।
মিশর ও ইথিওপিয়া
নীল নদকে ঘিরে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিয়ে ট্রাম্প বলেন, বিষয়টি শিগগির সমাধান হবে। হোয়াইট হাউস সংঘাত সমাধান হয়েছে বললেও ইথিওপিয়া ও মিশরের অবস্থান এখনো কঠোর। ইথিওপিয়া বাঁধ চালু করে দিয়েছে এবং মিশর এর বিরোধিতা করছে।
সার্বিয়া ও কসোভো
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চুক্তি হলেও দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়ে গেছে। কসোভোর প্রতি সার্বিয়ার বিরোধ এখনো দূর হয়নি এবং কোনো শান্তিচুক্তি সই হয়নি।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি আগেও যুদ্ধ বন্ধ করেছিলেন এবং আবার সমাধান করবেন।

রাশিয়া ও ইউক্রেন
ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় এক দিনে যুদ্ধ শেষ করার কথা বললেও এখন তিনি স্বীকার করছেন বিষয়টি ‘অত্যন্ত কঠিন।’
তিনি কখনো যুদ্ধবিরতি, কখনো লড়াই চলাকালীন চুক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ইউক্রেনকে এমন শর্ত মানতে চাপ দিচ্ছেন, যা ইউরোপীয় নেতাদের মতে মস্কোর পক্ষে যাবে।
উত্তর কোরিয়া–দক্ষিণ কোরিয়া
ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উনের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
প্রথম মেয়াদে তার ও কিম জং উনের মধ্যে তিনবার শীর্ষ বৈঠক হলেও পরমাণু ইস্যুতে কোনো স্থায়ী চুক্তি হয়নি। বরং উত্তর কোরিয়া আরও সক্ষমতা বাড়িয়েছে।
ট্রাম্প এখন স্বীকার করছেন, উত্তর কোরিয়া কার্যত একটি পরমাণু শক্তি।
ট্রাম্প বিভিন্ন সংঘাত সমাধান করেছেন বলে দাবি করলেও অনেক জায়গায় পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত। নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়াও থামেনি। ফলে তাঁর নোবেল পুরস্কারের যুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এরইমধ্যে আটটি যুদ্ধের সমাধান করেছেন। তাই তার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত। তবে তার এই দাবি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বরং কিছু এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, যেমন গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং কম্বোডিয়া–থাইল্যান্ড সীমান্ত।
ট্রাম্প যে আন্তর্জাতিক সংঘাতগুলোতে ভূমিকা রাখার দাবি করেন, তার কয়েকটি হলো—
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান
৮ আগস্ট ট্রাম্প দুই দেশের নেতাদের দিয়ে একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করান, যেখানে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এক রেডিও সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ব্যবসায়িক সম্পর্কের সূত্রে তিনি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের নেতাদের চিনতেন। তিনি তাদের যুদ্ধ না করার জন্য চাপ দেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, দুই দেশ ২০২৩ সালে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে, তারা বলেছিল যে তারা একটি খসড়া শান্তিচুক্তির মূল বিষয়বস্তুতে একমত হয়েছে, কিন্তু সেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
তবে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তি নিয়ে এখনো কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আর্মেনিয়ার সংবিধান সংশোধনের মতো বিষয়।
কম্বোডিয়া–থাইল্যান্ড
গত সোমবার থাইল্যান্ডের বিমান হামলায় ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ে। জুলাইয়ে দুই দেশের সীমান্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং দুই দিন পর ট্রাম্প দুই পক্ষকে ট্যারিফ চুক্তি স্থগিতের হুমকি দেন।
অবশেষে অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় যুদ্ধবিরতি সই হয়, এবং দুই দেশের যুক্তরাষ্ট্রমুখী রপ্তানিতে ট্রাম্প ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।
ইসরায়েল, ইরান ও ফিলিস্তিন
অক্টোবরে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাস জিম্মি মুক্তি ও যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে সম্মত হয়। এতে গাজায় দুই বছরের যুদ্ধ থামার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যেখানে বহু মানুষ নিহত হয়েছে।

তবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, ভবিষ্যৎ গাজার শাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী গঠন এসব বিষয়ে এখনো বড় মতপার্থক্য রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ইসরায়েলের চাপে ট্রাম্প ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালান। পরে কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল–ইরান যুদ্ধবিরতি হয়। পরিস্থিতি এখনো অস্থির এবং ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।
রুয়ান্ডা ও ডিআর কঙ্গো
এম২৩ বিদ্রোহীরা এ বছর পূর্ব কঙ্গোতে বড় অঞ্চল দখল করেছে। ট্রাম্পের চাপের মুখে ২৭ জুন দুই দেশ শান্তিচুক্তিতে সই করে, যদিও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, রুয়ান্ডা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে। আমেরিকাও কঙ্গোর খনিজ খাতে বেশি প্রবেশাধিকার চায়। ট্রাম্প আর্থিক নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
ভারত ও পাকিস্তান
চলতি বছরের মে মাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে চার দিনের সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি হয়। ট্রাম্প বলেছেন, বাণিজ্য বন্ধের ভয় দেখিয়েই তিনি চুক্তি করিয়েছেন।
তবে ভারত দাবি করেছে, আমেরিকার চাপ এ ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখেনি।
মিশর ও ইথিওপিয়া
নীল নদকে ঘিরে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিয়ে ট্রাম্প বলেন, বিষয়টি শিগগির সমাধান হবে। হোয়াইট হাউস সংঘাত সমাধান হয়েছে বললেও ইথিওপিয়া ও মিশরের অবস্থান এখনো কঠোর। ইথিওপিয়া বাঁধ চালু করে দিয়েছে এবং মিশর এর বিরোধিতা করছে।
সার্বিয়া ও কসোভো
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চুক্তি হলেও দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়ে গেছে। কসোভোর প্রতি সার্বিয়ার বিরোধ এখনো দূর হয়নি এবং কোনো শান্তিচুক্তি সই হয়নি।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি আগেও যুদ্ধ বন্ধ করেছিলেন এবং আবার সমাধান করবেন।

রাশিয়া ও ইউক্রেন
ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় এক দিনে যুদ্ধ শেষ করার কথা বললেও এখন তিনি স্বীকার করছেন বিষয়টি ‘অত্যন্ত কঠিন।’
তিনি কখনো যুদ্ধবিরতি, কখনো লড়াই চলাকালীন চুক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ইউক্রেনকে এমন শর্ত মানতে চাপ দিচ্ছেন, যা ইউরোপীয় নেতাদের মতে মস্কোর পক্ষে যাবে।
উত্তর কোরিয়া–দক্ষিণ কোরিয়া
ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উনের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
প্রথম মেয়াদে তার ও কিম জং উনের মধ্যে তিনবার শীর্ষ বৈঠক হলেও পরমাণু ইস্যুতে কোনো স্থায়ী চুক্তি হয়নি। বরং উত্তর কোরিয়া আরও সক্ষমতা বাড়িয়েছে।
ট্রাম্প এখন স্বীকার করছেন, উত্তর কোরিয়া কার্যত একটি পরমাণু শক্তি।
ট্রাম্প বিভিন্ন সংঘাত সমাধান করেছেন বলে দাবি করলেও অনেক জায়গায় পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত। নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়াও থামেনি। ফলে তাঁর নোবেল পুরস্কারের যুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।