চরচা প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হচ্ছে কাতার সরকারের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। এর আগেও এ বছরের শুরুতে খালেদা জিয়া যখন চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান, তখন তিনি কাতার সরকারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই গিয়েছিলেন। এমনকি মে মাসে দেশেও ফিরেছিলেন সেই কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই। এটা কি শুধুই কাতারের সৌজন্য, নাকি কূটনীতিও আছে?
খালেদা জিয়ার জন্য কেন কাতার সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে? খালেদা জিয়া বা তার দল বিএনপির সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক কী একটু বেশিই গভীর? ব্যাপারটি নিয়ে কিন্তু কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে যথেষ্টই।
কাতার এর আগেও বিভিন্ন বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট রাজনীতিবিদের জন্য উড়োজাহাজ সুবিধা দিয়েছে। এটি তাদের এক ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতারই অংশ। বিশেষ করে যে পরিস্থিতি বা যে নির্দিষ্ট রাজনীতিক নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট, সোজা বাংলায় যাদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনে কাতার সরকার আগ্রহী, তাদের সঙ্গেই এই ‘উড়োজাহাজ কূটনীতি’ ব্যবহার করে তারা।
তেল ও গ্যাসসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের এই ছোট্ট অথচ ধনী দেশটি ‘উড়োজাহাজ কূটনীতি’র মধ্য দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে এক ধরনের প্রভাব বলয় তৈরির চেষ্টা করছে অনেকটা নীরবেই। মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া কিংবা আফ্রিকায় কাতার প্রায়শই নিজেদের উড়োজাহাজ ব্যবহার করে রাজনৈতিক বা অন্য যেকোনো জরুরি মুহূর্তে ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাতার মধ্যস্থতার ভূমিকা গ্রহণের বার্তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাপী।

খালেদা জিয়া গত জানুয়ারি মাসে দীর্ঘ দিন পর তার ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে মিলিত হন। সেখানে তার চিকিৎসাও চলে। কাতার সরকার তখন একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছিল খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মে মাসে তিনি সেই কাতারি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই দেশে ফেরেন। তখনই কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়। আজও আসছে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফের উড়াল দেবে, গন্তব্য সেই লন্ডন।
২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা যখন সেনা প্রত্যাহার করে, তখন কাতারের ‘উড়োজাহাজ কূটনীতি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ওই সময় কাবুলে তালেবান শাসন নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হয়। কাতার নিজেদের রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থা কাতার এয়ারওয়েজ ব্যবহার করে পশ্চিমা কূটনীতিক ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের বিভিন্ন দেশে পরিবহন করেছিল। শুধু তা–ই নয়, তালেবান শীর্ষ নেতৃবৃন্দকেও কাতার নিজেদের দেশে পরিবহন করে নিয়ে এসে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্র বা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল।
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতে হামাসের নেতৃত্বও বহুদিন ধরে দোহায় অবস্থান করছে। তাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও কাতার নিজেদের উড়োজাহাজ দিয়ে সহায়তা করে থাকে। ইথিওপিয়াতেও বিভিন্ন সংকটে কাতার সংঘাতের মধ্যে থাকা বিভিন্ন পক্ষের নেতৃবৃন্দকে পরিবহনে সহায়তা করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও এ মুহূর্তে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ খালেদা জিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় পরিবহনের মধ্য দিয়ে কাতার বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে মানবিকতার বার্তা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অঙ্গনেও আস্থার অবস্থান তৈরি করেছে তারা।

কী আছে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
খালেদা জিয়ার জন্য যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি পাঠানো হবে সেটি কাতারের আমিরের ব্যক্তিগত। তিনি এটা শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে খালেদা জিয়ার জন্য পাঠাচ্ছেন। এটিতে আছে উন্নত ও সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। এ-৩১৯ উড়োজাহাজটি ইউরোপীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের তৈরি। এতে ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, ইনফিউশন পাম্প ও উন্নত কার্ডিয়াক মনিটর রয়েছে। এ ছাড়া এটিতে উন্নত ক্লাইমেট কনট্রোল ব্যবস্থা ও শব্দনিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। উড়োজাহাজটি কাস্টমাইজড ডিজাইনে তৈরি, অন্য যেকোনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের তুলনায় প্রশস্ত। এটি পরিচালনা করেন কাতারের রয়্যাল মেডিকেল ইউনিটের একটি চিকিৎসক দল, যেখানে চারজন চিকিৎসক ও প্যারামেডিক অন্তর্ভুক্ত। তারা যাত্রার সময় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট থেকে শুরু করে ট্রমা পর্যন্ত জরুরি অবস্থাগুলো দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিতে সক্ষম। ছোট রানওয়েতে এবং অপেক্ষাকৃত দুর্গম এলাকাতেও অবতরণ করতে সক্ষম এই উড়োজাহাজ।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হচ্ছে কাতার সরকারের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। এর আগেও এ বছরের শুরুতে খালেদা জিয়া যখন চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান, তখন তিনি কাতার সরকারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই গিয়েছিলেন। এমনকি মে মাসে দেশেও ফিরেছিলেন সেই কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই। এটা কি শুধুই কাতারের সৌজন্য, নাকি কূটনীতিও আছে?
খালেদা জিয়ার জন্য কেন কাতার সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে? খালেদা জিয়া বা তার দল বিএনপির সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক কী একটু বেশিই গভীর? ব্যাপারটি নিয়ে কিন্তু কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে যথেষ্টই।
কাতার এর আগেও বিভিন্ন বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট রাজনীতিবিদের জন্য উড়োজাহাজ সুবিধা দিয়েছে। এটি তাদের এক ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতারই অংশ। বিশেষ করে যে পরিস্থিতি বা যে নির্দিষ্ট রাজনীতিক নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট, সোজা বাংলায় যাদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনে কাতার সরকার আগ্রহী, তাদের সঙ্গেই এই ‘উড়োজাহাজ কূটনীতি’ ব্যবহার করে তারা।
তেল ও গ্যাসসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের এই ছোট্ট অথচ ধনী দেশটি ‘উড়োজাহাজ কূটনীতি’র মধ্য দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে এক ধরনের প্রভাব বলয় তৈরির চেষ্টা করছে অনেকটা নীরবেই। মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া কিংবা আফ্রিকায় কাতার প্রায়শই নিজেদের উড়োজাহাজ ব্যবহার করে রাজনৈতিক বা অন্য যেকোনো জরুরি মুহূর্তে ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাতার মধ্যস্থতার ভূমিকা গ্রহণের বার্তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাপী।

খালেদা জিয়া গত জানুয়ারি মাসে দীর্ঘ দিন পর তার ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে মিলিত হন। সেখানে তার চিকিৎসাও চলে। কাতার সরকার তখন একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছিল খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মে মাসে তিনি সেই কাতারি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই দেশে ফেরেন। তখনই কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়। আজও আসছে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফের উড়াল দেবে, গন্তব্য সেই লন্ডন।
২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা যখন সেনা প্রত্যাহার করে, তখন কাতারের ‘উড়োজাহাজ কূটনীতি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ওই সময় কাবুলে তালেবান শাসন নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হয়। কাতার নিজেদের রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থা কাতার এয়ারওয়েজ ব্যবহার করে পশ্চিমা কূটনীতিক ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের বিভিন্ন দেশে পরিবহন করেছিল। শুধু তা–ই নয়, তালেবান শীর্ষ নেতৃবৃন্দকেও কাতার নিজেদের দেশে পরিবহন করে নিয়ে এসে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্র বা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল।
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতে হামাসের নেতৃত্বও বহুদিন ধরে দোহায় অবস্থান করছে। তাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও কাতার নিজেদের উড়োজাহাজ দিয়ে সহায়তা করে থাকে। ইথিওপিয়াতেও বিভিন্ন সংকটে কাতার সংঘাতের মধ্যে থাকা বিভিন্ন পক্ষের নেতৃবৃন্দকে পরিবহনে সহায়তা করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও এ মুহূর্তে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ খালেদা জিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় পরিবহনের মধ্য দিয়ে কাতার বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে মানবিকতার বার্তা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অঙ্গনেও আস্থার অবস্থান তৈরি করেছে তারা।

কী আছে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
খালেদা জিয়ার জন্য যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি পাঠানো হবে সেটি কাতারের আমিরের ব্যক্তিগত। তিনি এটা শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে খালেদা জিয়ার জন্য পাঠাচ্ছেন। এটিতে আছে উন্নত ও সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। এ-৩১৯ উড়োজাহাজটি ইউরোপীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের তৈরি। এতে ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, ইনফিউশন পাম্প ও উন্নত কার্ডিয়াক মনিটর রয়েছে। এ ছাড়া এটিতে উন্নত ক্লাইমেট কনট্রোল ব্যবস্থা ও শব্দনিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। উড়োজাহাজটি কাস্টমাইজড ডিজাইনে তৈরি, অন্য যেকোনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের তুলনায় প্রশস্ত। এটি পরিচালনা করেন কাতারের রয়্যাল মেডিকেল ইউনিটের একটি চিকিৎসক দল, যেখানে চারজন চিকিৎসক ও প্যারামেডিক অন্তর্ভুক্ত। তারা যাত্রার সময় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট থেকে শুরু করে ট্রমা পর্যন্ত জরুরি অবস্থাগুলো দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিতে সক্ষম। ছোট রানওয়েতে এবং অপেক্ষাকৃত দুর্গম এলাকাতেও অবতরণ করতে সক্ষম এই উড়োজাহাজ।