চরচা ডেস্ক

মন ভালো থাকা শুধু আবেগের বিষয় নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্য, হরমোন, ঘুম ও অবশ্যই খাবার। আমরা কী খাই, সেটি সরাসরি প্রভাব ফেলে সেরোটোনিন, ডোপামিনের মতো ‘ফিল-গুড’ নিউরোট্রান্সমিটারের ওপর। তাই মন খারাপ, ক্লান্তি বা অস্থিরতার সময়ে কিছু খাবার সত্যিই মুড বদলে দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি খাবারের কথা, যেগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে মন ভালো থাকার সম্ভাবনা বাড়ে-
ডার্ক চকলেট
মন খারাপ হলে হঠাৎ চকলেট খেতে ইচ্ছে করে এর পেছনে বিজ্ঞান আছে। ডার্ক চকলেটে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যাফেইন ও থিওব্রোমিন মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায় এবং সেরোটোনিন নিঃসরণে সহায়তা করে। তবে দুধ-চিনি বেশি থাকা চকলেট নয়, ৭০ শতাংশ বা তার বেশি কোকোযুক্ত ডার্ক চকলেট অল্প পরিমাণে খেলেই উপকার পাওয়া যায়।

কলা
কলা প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন বি৬-এ সমৃদ্ধ, যা সেরোটোনিন ও ডোপামিন তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা দ্রুত শক্তি দেয়, ফলে ক্লান্তি কমে এবং মুড স্থিতিশীল থাকে। সকালের নাশতায় বা বিকেলের হালকা স্ন্যাক্স হিসেবে কলা বেশ ভালো খাবার।
বাদাম ও বীজ
কাজু, কাঠবাদাম, আখরোট কিংবা সূর্যমুখী বীজ সবই ম্যাগনেশিয়াম ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সমৃদ্ধ উৎস। ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে উদ্বেগ এবং মন খারাপ বাড়তে পারে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ বাদাম স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং এতে মন শান্ত থাকে।

মাছ ও ওমেগা-৩
ইলিশ, স্যামন, টুনা বা সার্ডিনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। গবেষণায় দেখা গেছে, ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং বিষণ্নতার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। সপ্তাহে দুই দিন মাছ খাওয়ার অভ্যাস মন ভালো রাখার জন্য বেশ কার্যকর।
দই ও ফারমেন্টেড খাবার
আমাদের অন্ত্রকে অনেক সময় ‘দ্বিতীয় মস্তিষ্ক’ বলা হয়। অন্ত্র ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। দই, ঘোল বা অন্য ফারমেন্টেড খাবারে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে, যা মুড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
শাকসবজি, বিশেষ করে পালং শাক
পালং শাক, লেটুসের মতো সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ফোলেট ও আয়রন। ফোলেটের ঘাটতি বিষণ্নতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি রাখলে শুধু শরীর নয়, মনও চনমনে থাকে।

ডিম
ডিমে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ডি ও কোলিন যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে মন ভালো থাকার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। সকালের নাশতায় ডিম থাকলে দিনটা তুলনামূলকভাবে ইতিবাচকভাবে শুরু করা সহজ হয়।
ফলমূল, বিশেষ করে বেরি ও কমলা
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা কমলার মতো ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এগুলো শরীরের প্রদাহ কমায় এবং মস্তিষ্ককে সজীব রাখে। ফলের প্রাকৃতিক স্বাদও মুড ভালো করতে সাহায্য করে।
মন ভালো রাখতে শুধু একটি খাবারই যথেষ্ট নয়; দরকার সুষম খাদ্যাভ্যাস। পর্যাপ্ত পানি পান, নিয়মিত খাওয়া ও অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলাও জরুরি। খাবার কখনো একা সব সমস্যার সমাধান নয়, তবে সঠিক খাবার মন ভালো রাখার পথে সহায়ক হতে পারে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন

মন ভালো থাকা শুধু আবেগের বিষয় নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্য, হরমোন, ঘুম ও অবশ্যই খাবার। আমরা কী খাই, সেটি সরাসরি প্রভাব ফেলে সেরোটোনিন, ডোপামিনের মতো ‘ফিল-গুড’ নিউরোট্রান্সমিটারের ওপর। তাই মন খারাপ, ক্লান্তি বা অস্থিরতার সময়ে কিছু খাবার সত্যিই মুড বদলে দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি খাবারের কথা, যেগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে মন ভালো থাকার সম্ভাবনা বাড়ে-
ডার্ক চকলেট
মন খারাপ হলে হঠাৎ চকলেট খেতে ইচ্ছে করে এর পেছনে বিজ্ঞান আছে। ডার্ক চকলেটে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যাফেইন ও থিওব্রোমিন মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায় এবং সেরোটোনিন নিঃসরণে সহায়তা করে। তবে দুধ-চিনি বেশি থাকা চকলেট নয়, ৭০ শতাংশ বা তার বেশি কোকোযুক্ত ডার্ক চকলেট অল্প পরিমাণে খেলেই উপকার পাওয়া যায়।

কলা
কলা প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন বি৬-এ সমৃদ্ধ, যা সেরোটোনিন ও ডোপামিন তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা দ্রুত শক্তি দেয়, ফলে ক্লান্তি কমে এবং মুড স্থিতিশীল থাকে। সকালের নাশতায় বা বিকেলের হালকা স্ন্যাক্স হিসেবে কলা বেশ ভালো খাবার।
বাদাম ও বীজ
কাজু, কাঠবাদাম, আখরোট কিংবা সূর্যমুখী বীজ সবই ম্যাগনেশিয়াম ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সমৃদ্ধ উৎস। ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে উদ্বেগ এবং মন খারাপ বাড়তে পারে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ বাদাম স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং এতে মন শান্ত থাকে।

মাছ ও ওমেগা-৩
ইলিশ, স্যামন, টুনা বা সার্ডিনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। গবেষণায় দেখা গেছে, ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং বিষণ্নতার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। সপ্তাহে দুই দিন মাছ খাওয়ার অভ্যাস মন ভালো রাখার জন্য বেশ কার্যকর।
দই ও ফারমেন্টেড খাবার
আমাদের অন্ত্রকে অনেক সময় ‘দ্বিতীয় মস্তিষ্ক’ বলা হয়। অন্ত্র ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। দই, ঘোল বা অন্য ফারমেন্টেড খাবারে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে, যা মুড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
শাকসবজি, বিশেষ করে পালং শাক
পালং শাক, লেটুসের মতো সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ফোলেট ও আয়রন। ফোলেটের ঘাটতি বিষণ্নতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি রাখলে শুধু শরীর নয়, মনও চনমনে থাকে।

ডিম
ডিমে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ডি ও কোলিন যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে মন ভালো থাকার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। সকালের নাশতায় ডিম থাকলে দিনটা তুলনামূলকভাবে ইতিবাচকভাবে শুরু করা সহজ হয়।
ফলমূল, বিশেষ করে বেরি ও কমলা
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা কমলার মতো ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এগুলো শরীরের প্রদাহ কমায় এবং মস্তিষ্ককে সজীব রাখে। ফলের প্রাকৃতিক স্বাদও মুড ভালো করতে সাহায্য করে।
মন ভালো রাখতে শুধু একটি খাবারই যথেষ্ট নয়; দরকার সুষম খাদ্যাভ্যাস। পর্যাপ্ত পানি পান, নিয়মিত খাওয়া ও অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলাও জরুরি। খাবার কখনো একা সব সমস্যার সমাধান নয়, তবে সঠিক খাবার মন ভালো রাখার পথে সহায়ক হতে পারে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন