চরচা ডেস্ক

ইতালি থেকে অত্যাধুনিক ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে ইতালির প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে একটি আগ্রহপত্র সই করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, টাইফুন সংগ্রহের এই উদ্যোগ বিমান বাহিনীর সম্মুখ সারির সক্ষমতা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মাল্টি–রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট হিসেবে এই যুদ্ধবিমান যুক্ত হলে দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী হবে।
ইউরোফাইটারের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক সুইং-রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট-অর্থাৎ একই সময়ে আকাশ ও স্থলভাগ উভয় ক্ষেত্রেই আঘাত হানার সক্ষমতা আছে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, অস্ট্রিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, ওমান ও কাতারের বিমান বাহিনীর হাতে রয়েছে টাইফুন।
ইউরোপের চার দেশ-যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি ও স্পেনের যৌথ কনসোর্টিয়াম এ যুদ্ধবিমান তৈরি করে। প্রকল্পটির পেছনে আছে এয়ারবাস, বিএই সিস্টেমস ও লিওনার্দোর মতো শীর্ষ প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ইউরোফাইটার টাইফুনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি একটি টুইন-ইঞ্জিন, ক্যানার্ড-ডেল্টা উইং মাল্টিরোল ফাইটার। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান একে সম্পূর্ণ সুইং-রোল কমব্যাট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে।

শত্রু বিমানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টাইফুনের গতি, সেন্সর, ডগফাইটিং ক্ষমতা এবং উন্নত মিসাইল ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
গাইডেড বোমা, প্রিসিশন স্ট্রাইক মিসাইল এবং রিয়েল-টাইম ব্যাটেলফিল্ড ডেটা সাপোর্ট এসবের সমন্বয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতেও এটি অত্যন্ত কার্যকর।
কেবল আক্রমণ নয়-গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক চিত্র তৈরি করতেও টাইফুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যুদ্ধবিমানটির বাইরের আবরণের মাত্র ১৫ শতাংশ ধাতব, ফলে রাডারে ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম। একই সঙ্গে এটি সাবসনিক গতিতে অত্যন্ত চটপটে, আর সুপারসনিক গতিতে আক্রমণাত্মক।
কম্পোজিট উপকরণ ব্যবহারের ফলে এয়ারফ্রেম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হালকা, যা রেঞ্জ, পারফরম্যান্স ও স্টেলথ সুবিধা বাড়ায়।
এতে রয়েছে উচ্চমানের ইজে২০০ ইঞ্জিন-যা নির্ভরযোগ্যতা ও টেকসই পারফরম্যান্সের জন্য স্বীকৃত।
যুদ্ধবিমানটি পাঁচ হাজার থেকে সাড়ে সাত হাজার লিটার পর্যন্ত পর্যন্ত জ্বালানি বহন করতে পারে।
এই যুদ্ধবিমান নিকট দূরত্ব থেকে লং রেঞ্জ-সব ধরনের এয়ার-টু-এয়ার এবং এয়ার-টু-সারফেস অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
যুদ্ধবিমানের পাইলটের জন্য রয়েছে অ্যান্টি–জি ট্রাউজার, প্রেশারড গার্মেন্ট, লিকুইড কুলিং সিস্টেম, এমনকি নিউক্লিয়ার ও কেমিক্যাল সুরক্ষাও।
টাইফুন মূলত চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হলেও ধারাবাহিক আধুনিকায়নের কারণে একে অনেক বিশেষজ্ঞ ৪.৫ প্রজন্ম বা ‘উন্নত চতুর্থ প্রজন্ম’ বলে থাকেন।
এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুদ্ধবিমানগুলো হলো ফ্রান্সের দাসো রাফাল, সুইডেনের সাব গ্রিপেন ই/এফ, যুক্তরাষ্ট্রের এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট ও এফ-১৬ ব্লক ৭০/৭২।
চলতি বছর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি টাইফুন কিনতে চুক্তি করেছে তুরস্ক, যার মূল্য প্রায় ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন পাউন্ড।
টাইফুন শুধু দ্রুততম নয়, এটি একইসঙ্গে আক্রমণ, নজরদারি, প্রতিরক্ষা ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধ-সব ক্ষেত্রেই শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। বাংলাদেশ যদি এই যুদ্ধবিমান বহরে যুক্ত করতে পারে, তাহলে আঞ্চলিক আকাশ প্রতিরক্ষায় সম্পূর্ণ নতুন বাস্তবতা তৈরি হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোফাইটার টাইফুন যেকোনো আধুনিক বিমান বাহিনীর জন্য একটি শক্তিশালী ও সময়োপযোগী ফাইটার জেট। যদি বাংলাদেশ এটি বহরে যুক্ত করতে পারে, তাহলে এটি হবে আকাশ প্রতিরক্ষায় বাংলাদেশেরসক্ষমতা ও নিরাপত্তার এক নতুন অধ্যায়।

ইতালি থেকে অত্যাধুনিক ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে ইতালির প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে একটি আগ্রহপত্র সই করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, টাইফুন সংগ্রহের এই উদ্যোগ বিমান বাহিনীর সম্মুখ সারির সক্ষমতা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মাল্টি–রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট হিসেবে এই যুদ্ধবিমান যুক্ত হলে দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী হবে।
ইউরোফাইটারের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক সুইং-রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট-অর্থাৎ একই সময়ে আকাশ ও স্থলভাগ উভয় ক্ষেত্রেই আঘাত হানার সক্ষমতা আছে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, অস্ট্রিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, ওমান ও কাতারের বিমান বাহিনীর হাতে রয়েছে টাইফুন।
ইউরোপের চার দেশ-যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি ও স্পেনের যৌথ কনসোর্টিয়াম এ যুদ্ধবিমান তৈরি করে। প্রকল্পটির পেছনে আছে এয়ারবাস, বিএই সিস্টেমস ও লিওনার্দোর মতো শীর্ষ প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ইউরোফাইটার টাইফুনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি একটি টুইন-ইঞ্জিন, ক্যানার্ড-ডেল্টা উইং মাল্টিরোল ফাইটার। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান একে সম্পূর্ণ সুইং-রোল কমব্যাট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে।

শত্রু বিমানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টাইফুনের গতি, সেন্সর, ডগফাইটিং ক্ষমতা এবং উন্নত মিসাইল ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
গাইডেড বোমা, প্রিসিশন স্ট্রাইক মিসাইল এবং রিয়েল-টাইম ব্যাটেলফিল্ড ডেটা সাপোর্ট এসবের সমন্বয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতেও এটি অত্যন্ত কার্যকর।
কেবল আক্রমণ নয়-গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক চিত্র তৈরি করতেও টাইফুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যুদ্ধবিমানটির বাইরের আবরণের মাত্র ১৫ শতাংশ ধাতব, ফলে রাডারে ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম। একই সঙ্গে এটি সাবসনিক গতিতে অত্যন্ত চটপটে, আর সুপারসনিক গতিতে আক্রমণাত্মক।
কম্পোজিট উপকরণ ব্যবহারের ফলে এয়ারফ্রেম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হালকা, যা রেঞ্জ, পারফরম্যান্স ও স্টেলথ সুবিধা বাড়ায়।
এতে রয়েছে উচ্চমানের ইজে২০০ ইঞ্জিন-যা নির্ভরযোগ্যতা ও টেকসই পারফরম্যান্সের জন্য স্বীকৃত।
যুদ্ধবিমানটি পাঁচ হাজার থেকে সাড়ে সাত হাজার লিটার পর্যন্ত পর্যন্ত জ্বালানি বহন করতে পারে।
এই যুদ্ধবিমান নিকট দূরত্ব থেকে লং রেঞ্জ-সব ধরনের এয়ার-টু-এয়ার এবং এয়ার-টু-সারফেস অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
যুদ্ধবিমানের পাইলটের জন্য রয়েছে অ্যান্টি–জি ট্রাউজার, প্রেশারড গার্মেন্ট, লিকুইড কুলিং সিস্টেম, এমনকি নিউক্লিয়ার ও কেমিক্যাল সুরক্ষাও।
টাইফুন মূলত চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হলেও ধারাবাহিক আধুনিকায়নের কারণে একে অনেক বিশেষজ্ঞ ৪.৫ প্রজন্ম বা ‘উন্নত চতুর্থ প্রজন্ম’ বলে থাকেন।
এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুদ্ধবিমানগুলো হলো ফ্রান্সের দাসো রাফাল, সুইডেনের সাব গ্রিপেন ই/এফ, যুক্তরাষ্ট্রের এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট ও এফ-১৬ ব্লক ৭০/৭২।
চলতি বছর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি টাইফুন কিনতে চুক্তি করেছে তুরস্ক, যার মূল্য প্রায় ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন পাউন্ড।
টাইফুন শুধু দ্রুততম নয়, এটি একইসঙ্গে আক্রমণ, নজরদারি, প্রতিরক্ষা ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধ-সব ক্ষেত্রেই শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। বাংলাদেশ যদি এই যুদ্ধবিমান বহরে যুক্ত করতে পারে, তাহলে আঞ্চলিক আকাশ প্রতিরক্ষায় সম্পূর্ণ নতুন বাস্তবতা তৈরি হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোফাইটার টাইফুন যেকোনো আধুনিক বিমান বাহিনীর জন্য একটি শক্তিশালী ও সময়োপযোগী ফাইটার জেট। যদি বাংলাদেশ এটি বহরে যুক্ত করতে পারে, তাহলে এটি হবে আকাশ প্রতিরক্ষায় বাংলাদেশেরসক্ষমতা ও নিরাপত্তার এক নতুন অধ্যায়।