চরচা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার দুই দিনের সফরে ভারতে আসছেন। তার এবারের সফরের উদ্দেশ্য, আমেরিকার শুল্ক অবরোধের ফলে দুর্বল হয়ে পড়া জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাত পুনরুজ্জীবিত করা। সফরকালে তিনি ভারতকে অপরিশোধিত তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব দিতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে নয়াদিল্লির সঙ্গে মস্কোর দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
দশকের পর দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ভারত রুশ সামুদ্রিক তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়। তবে সম্প্রতি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এবং ভারত আমেরিকা থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি বাড়ানোর কারণে, এ মাসে ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এতে মস্কোর উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ ভারতীয় বাজারে বহুদিন ধরে তাদের আধিপত্য ছিল।
পুতিনের দিল্লি সফর বিগত চার বছরের মধ্যে এই প্রথম। এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার একটি বৈঠকের কথাও রয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলুসভ এবং ব্যবসা ও শিল্পখাতের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক আটলান্টিক কাউন্সিলের মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, পুতিনের এই সফর ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির অগ্রগতির দারুণ একটি সুযোগ। যদিও অনেক উদ্যোগই তুলনামূলক সহজে নিষ্পত্তি হতে পারে।
তবে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। রাশিয়ার সঙ্গে নতুন কোনো জ্বালানি বা প্রতিরক্ষা চুক্তি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উসকে দিতে পারে। ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল কেনার শাস্তি হিসেবে ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৫০% করেছেন। তা সত্ত্বেও, ভারত ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা প্রতিরক্ষা, নৌপরিবহন ও কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আগস্টে উভয় দেশই রাশিয়া-নেতৃত্বাধীন ইউরেশীয় ইকোনমিক ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরুর ব্যাপারে সম্মত হয়। ভারতীয় বিশ্লেষকদের মতে, বেসামরিক পারমাণবিক শক্তি খাতেও সহযোগিতা বাড়তে পারে।
পুতিনের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন এসবারব্যাংক, রোসোবোরোনএক্সপোর্ট এবং তেল কোম্পানি রসনেফট ও গ্যাজপ্রমনেফটের প্রধান নির্বাহীরা। এসবারব্যাংক ভারতীয় অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে, যেখানে অর্থ পরিশোধ হবে রুপিতে। দুই দেশের বাণিজ্যের একটি বড় অংশ এখন এই মুদ্রায় নিষ্পত্তি হয়। ব্যাংকের ভারত প্রধান ইভান নোসভ বলেন, রুশ রপ্তানিকারক ও স্থানীয় ইউনিটগুলোর জন্য রুপিতে ঋণও দেওয়া হচ্ছে, যাতে ভারত রুশ পণ্য কেনায় আগ্রহী হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমা প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের কাছ থেকে রাশিয়া প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাচ্ছে না। তাই তারা ভারতের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা চাইতে পারে বলে সরকারি সূত্র জানায়।
যদিও বছরের শেষ দিকে ভারত আমেরিকার সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী এবং বেশিরভাগ পরিশোধনাগার রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেছে। তবুও রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা স্থগিত করছে না।
ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংহ বলেন, ভারতকে রুশ-উৎপাদিত অসংখ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণে মস্কোর সহায়তা প্রয়োজন। ভারতের ফাইটার স্কোয়াড্রনের বেশিরভাগই রুশ সুখোই-৩০ বিমান, এবং রাশিয়া তাদের উন্নত এসইউ-৫৭ যুদ্ধবিমানও ভারতের কাছে বিক্রির প্রস্তাব করেছে, যা এই সফরে আলোচনায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ভারতের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র বিষয়ক থিংক ট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রধান হার্শ পন্তের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি আমেরিকা–রাশিয়া আলোচনা ভারতের কূটনীতিকদের জন্য কিছুটা সুবিধা তৈরি করে দিতে পারে, যদিও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখনও চ্যালেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে জ্বালানি বাণিজ্য হ্রাস পাওয়ায় এখন প্রতিরক্ষা সহযোগিতাই মূল ভিত্তি হিসেবে দুই দেশের সম্পর্ককে ধরে রেখেছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার দুই দিনের সফরে ভারতে আসছেন। তার এবারের সফরের উদ্দেশ্য, আমেরিকার শুল্ক অবরোধের ফলে দুর্বল হয়ে পড়া জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাত পুনরুজ্জীবিত করা। সফরকালে তিনি ভারতকে অপরিশোধিত তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব দিতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে নয়াদিল্লির সঙ্গে মস্কোর দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
দশকের পর দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ভারত রুশ সামুদ্রিক তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়। তবে সম্প্রতি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এবং ভারত আমেরিকা থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি বাড়ানোর কারণে, এ মাসে ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এতে মস্কোর উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ ভারতীয় বাজারে বহুদিন ধরে তাদের আধিপত্য ছিল।
পুতিনের দিল্লি সফর বিগত চার বছরের মধ্যে এই প্রথম। এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার একটি বৈঠকের কথাও রয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলুসভ এবং ব্যবসা ও শিল্পখাতের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক আটলান্টিক কাউন্সিলের মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, পুতিনের এই সফর ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির অগ্রগতির দারুণ একটি সুযোগ। যদিও অনেক উদ্যোগই তুলনামূলক সহজে নিষ্পত্তি হতে পারে।
তবে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। রাশিয়ার সঙ্গে নতুন কোনো জ্বালানি বা প্রতিরক্ষা চুক্তি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উসকে দিতে পারে। ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল কেনার শাস্তি হিসেবে ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৫০% করেছেন। তা সত্ত্বেও, ভারত ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা প্রতিরক্ষা, নৌপরিবহন ও কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আগস্টে উভয় দেশই রাশিয়া-নেতৃত্বাধীন ইউরেশীয় ইকোনমিক ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরুর ব্যাপারে সম্মত হয়। ভারতীয় বিশ্লেষকদের মতে, বেসামরিক পারমাণবিক শক্তি খাতেও সহযোগিতা বাড়তে পারে।
পুতিনের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন এসবারব্যাংক, রোসোবোরোনএক্সপোর্ট এবং তেল কোম্পানি রসনেফট ও গ্যাজপ্রমনেফটের প্রধান নির্বাহীরা। এসবারব্যাংক ভারতীয় অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে, যেখানে অর্থ পরিশোধ হবে রুপিতে। দুই দেশের বাণিজ্যের একটি বড় অংশ এখন এই মুদ্রায় নিষ্পত্তি হয়। ব্যাংকের ভারত প্রধান ইভান নোসভ বলেন, রুশ রপ্তানিকারক ও স্থানীয় ইউনিটগুলোর জন্য রুপিতে ঋণও দেওয়া হচ্ছে, যাতে ভারত রুশ পণ্য কেনায় আগ্রহী হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমা প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের কাছ থেকে রাশিয়া প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাচ্ছে না। তাই তারা ভারতের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা চাইতে পারে বলে সরকারি সূত্র জানায়।
যদিও বছরের শেষ দিকে ভারত আমেরিকার সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী এবং বেশিরভাগ পরিশোধনাগার রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেছে। তবুও রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা স্থগিত করছে না।
ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংহ বলেন, ভারতকে রুশ-উৎপাদিত অসংখ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণে মস্কোর সহায়তা প্রয়োজন। ভারতের ফাইটার স্কোয়াড্রনের বেশিরভাগই রুশ সুখোই-৩০ বিমান, এবং রাশিয়া তাদের উন্নত এসইউ-৫৭ যুদ্ধবিমানও ভারতের কাছে বিক্রির প্রস্তাব করেছে, যা এই সফরে আলোচনায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ভারতের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র বিষয়ক থিংক ট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রধান হার্শ পন্তের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি আমেরিকা–রাশিয়া আলোচনা ভারতের কূটনীতিকদের জন্য কিছুটা সুবিধা তৈরি করে দিতে পারে, যদিও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখনও চ্যালেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে জ্বালানি বাণিজ্য হ্রাস পাওয়ায় এখন প্রতিরক্ষা সহযোগিতাই মূল ভিত্তি হিসেবে দুই দেশের সম্পর্ককে ধরে রেখেছে।