চরচা ডেস্ক

নিয়মিত হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে প্রশ্ন থেকে যায়–একবারে দীর্ঘ সময় হাঁটা কি বেশি ভালো, নাকি দিনে কয়েকবার ভাগ করে হাঁটা একই উপকার দিতে পারে? সম্প্রতি অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন –এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এই প্রশ্নেরই বৈজ্ঞানিক উত্তর পাওয়া গিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, একটানা অন্তত ১৫ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে হাঁটলে তা ছোট ছোট হাঁটার তুলনায় অনেক বেশি উপকার দেয়। যারা প্রতিদিন দীর্ঘ সময় হাঁটেন, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। একই সঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও প্রায় ৭০ শতাংশ কম থাকে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী। তারা ৮ হাজার কদমের কম হাঁটেন এমন ব্যক্তিদের তথ্য বিশ্লেষণ করেন। সেখানে দেখা যায়, যারা দিনে কয়েকবার ছোট ছোট কদম হাঁটেন–যেমন পাঁচ মিনিট বা তারও কম–তাদের তুলনায় যারা একটানা দীর্ঘ সময় হাঁটেন, তাদের শরীর বেশি সতেজ থাকে। গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের গড় আয়ু ছিল ৬২ বছর।
গবেষকরা বলেন, একটানা হাঁটলে শরীরের ভেতরে রক্ত চলাচল বাড়ে, শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি ঠিক থাকে এবং শরীরের পেশি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সক্রিয় থাকে। এতে শুধু শরীরই নয়, মনও সতেজ থাকে। অন্যদিকে, ছোট ছোট হাঁটায় এই পরিবর্তনগুলো পুরোপুরি ঘটে না, কারণ শরীর পুরোপুরি সক্রিয় হওয়ার আগেই হাঁটা শেষ হয়ে যায়।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষক সিমার বাজাজ বলেন, হাঁটার সময় শুধু কত কদম হাঁটলেন তা নয় বরং কতক্ষণ ধরে হাঁটলেন সেটাই আসল বিষয়। শরীরকে কাজ শুরু করার জন্য কিছুটা দিতে হয়। তাই দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটা বেশি কার্যকর।
তিনি আরও বলেন, যদি কেউ প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট একটানা হাঁটেন, তাহলে তার হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এমনকি ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও অনেক কমে যায়।
তবে গবেষকরা এটাও জানিয়েছেন, সময় ভাগ করে হাঁটাও একদম খারাপ নয়। যারা ব্যস্ত সময়ের মধ্যে লম্বা সময় হাঁটাতে পারেন না, তারা দিনে কয়েকবার ছোট হাঁটলে ভালো ফল পাবেন। এতে করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, মানসিক চাপ কমে এবং শরীরে শক্তি বজায় থাকে।
সবশেষে গবেষক দলের বক্তব্য ছিল, সময়-সুযোগ থাকলে প্রতিদিন অন্তত ১৫ থেকে ৩০ মিনিট একটানা হাঁটা উপকারী। এতে শরীরের ভেতরের সিস্টেম সক্রিয় হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। তবে যদি এই সময় না থাকে তবে ছোট ছোট হাঁটাও চালিয়ে যাওয়া ভালো।
অর্থাৎ, নিয়মিত হাঁটাই হলো আসল কথা। সময় বেশি থাকলে একটানা হাঁটা সবচেয়ে ভালো, আর সময় কম থাকলে ছোট ছোট হাঁটাও দারুণ কাজ দেয়। হাঁটাকে অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে শরীর–মন দুটোই সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।

নিয়মিত হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে প্রশ্ন থেকে যায়–একবারে দীর্ঘ সময় হাঁটা কি বেশি ভালো, নাকি দিনে কয়েকবার ভাগ করে হাঁটা একই উপকার দিতে পারে? সম্প্রতি অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন –এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এই প্রশ্নেরই বৈজ্ঞানিক উত্তর পাওয়া গিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, একটানা অন্তত ১৫ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে হাঁটলে তা ছোট ছোট হাঁটার তুলনায় অনেক বেশি উপকার দেয়। যারা প্রতিদিন দীর্ঘ সময় হাঁটেন, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। একই সঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও প্রায় ৭০ শতাংশ কম থাকে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী। তারা ৮ হাজার কদমের কম হাঁটেন এমন ব্যক্তিদের তথ্য বিশ্লেষণ করেন। সেখানে দেখা যায়, যারা দিনে কয়েকবার ছোট ছোট কদম হাঁটেন–যেমন পাঁচ মিনিট বা তারও কম–তাদের তুলনায় যারা একটানা দীর্ঘ সময় হাঁটেন, তাদের শরীর বেশি সতেজ থাকে। গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের গড় আয়ু ছিল ৬২ বছর।
গবেষকরা বলেন, একটানা হাঁটলে শরীরের ভেতরে রক্ত চলাচল বাড়ে, শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি ঠিক থাকে এবং শরীরের পেশি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সক্রিয় থাকে। এতে শুধু শরীরই নয়, মনও সতেজ থাকে। অন্যদিকে, ছোট ছোট হাঁটায় এই পরিবর্তনগুলো পুরোপুরি ঘটে না, কারণ শরীর পুরোপুরি সক্রিয় হওয়ার আগেই হাঁটা শেষ হয়ে যায়।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষক সিমার বাজাজ বলেন, হাঁটার সময় শুধু কত কদম হাঁটলেন তা নয় বরং কতক্ষণ ধরে হাঁটলেন সেটাই আসল বিষয়। শরীরকে কাজ শুরু করার জন্য কিছুটা দিতে হয়। তাই দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটা বেশি কার্যকর।
তিনি আরও বলেন, যদি কেউ প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট একটানা হাঁটেন, তাহলে তার হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এমনকি ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও অনেক কমে যায়।
তবে গবেষকরা এটাও জানিয়েছেন, সময় ভাগ করে হাঁটাও একদম খারাপ নয়। যারা ব্যস্ত সময়ের মধ্যে লম্বা সময় হাঁটাতে পারেন না, তারা দিনে কয়েকবার ছোট হাঁটলে ভালো ফল পাবেন। এতে করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, মানসিক চাপ কমে এবং শরীরে শক্তি বজায় থাকে।
সবশেষে গবেষক দলের বক্তব্য ছিল, সময়-সুযোগ থাকলে প্রতিদিন অন্তত ১৫ থেকে ৩০ মিনিট একটানা হাঁটা উপকারী। এতে শরীরের ভেতরের সিস্টেম সক্রিয় হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। তবে যদি এই সময় না থাকে তবে ছোট ছোট হাঁটাও চালিয়ে যাওয়া ভালো।
অর্থাৎ, নিয়মিত হাঁটাই হলো আসল কথা। সময় বেশি থাকলে একটানা হাঁটা সবচেয়ে ভালো, আর সময় কম থাকলে ছোট ছোট হাঁটাও দারুণ কাজ দেয়। হাঁটাকে অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে শরীর–মন দুটোই সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।