শিশুর চাচা জাকির জানান, ভূমিকম্পের সময় তারা বাবা-ছেলে বাসায় ছিলেন। ওই সময় বাসার দেয়াল চাপা পড়ে বাবা এবং ছেলে গুরুতর আহত হয়। পরে প্রথমে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক শিশু ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ উদ্ধারের সময় দেখা যায় তার দুই পা ভেঙে গেছে, কিন্তু শরীরের অন্য অংশে আঘাতের চিহ্ন নেই। এসব বিবেচনায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখছে।
শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহসিন তালুকদার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী আশিক মোল্লা তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে ঘরে রেখে পালিয়ে যান তার স্বামী ।
বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য নিউরোসার্জারি বিভাগ তাৎক্ষণিক বৈঠক করে। বৈঠক শেষে বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, অভিযোগে উল্লিখিত মন্তব্য ও আচরণ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের ব্যক্তিগত আচরণ, যা বিভাগ কোনোভাবেই সমর্থন করে না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক ) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ৭৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিক মারা যান।