তাসীন মল্লিক

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে এখন গুঞ্জন চলছে। সম্ভাব্য তিনটি তারিখ নিয়ে আলোচনা চলছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির ৮, ১১ এবং ১২।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তফসিলে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচনের ভোট ও গণভোট আয়োজনের ঘোষণা থাকতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নির্বাচন কমিশনার চরচাকে বলেন, “১১ বা ১২ তারিখ ভোট হবে। সেটা কাল তফসিলেই জানতে পারবেন।”
এদিকে ৮ তারিখের কথাও শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে যুক্তি হচ্ছে, ৮ ফেব্রুয়ারি রোববার। সাধারণত রোববার বা বৃহস্পতিবার সংসদ নির্বাচন আয়োজনের রীতি হিসেবে পালন করে আসছে ইসি।
এদিকে, প্রচারের উদ্দেশে আজ বিকেল ৪ টায় সিইসির ভাষণ রেকর্ড করেছে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার।
ইসি আগেই জানিয়েছে, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হবে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার শেষ দিন; বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ও ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হবে তফসিলে। আর গণভোটের জন্য শুধু ভোটের তারিখটি উল্লেখ করা হবে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ভোটিং যুক্ত হয়েছে। গণভোটেও ভোট দিতে পারবেন নিবন্ধিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
ভোট নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নানা দাবি তুলে ধরেছে রাজনৈতিক দলগুলো। পাশাপাশি সবার জন্য সমান সুযোগ চেয়ে আসছে তারা। দলগুলোর তাদের প্রার্থী তালিকা এরইমধ্যে প্রকাশ শুরু করেছে। তফসিলের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগেই প্রার্থীরা নিজ এলাকায় প্রচারে সরব এখন।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অর্ধশতাধিক দল এবার ভোটে অংশ নিতে পারছে। জামায়াত ইসলামপন্থি দলগুলোকে নিয়ে আটটি দলের একটি জোট গঠন করেছে। আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতৃত্বে ২০ দলের একটি নতুন জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। এই জোটের নাম দেওয়া হয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)।
বামপন্থীরা গঠন করেছে গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট। তবে জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি কীভাবে নির্বাচন করবে সে বিষয়ে এখনো কিছু বলেনি।
অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় এবার ভোটের বাইরে থাকতে হচ্ছে তাদের। এর আগে ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ চতুর্থ সংসদ নির্বাচন এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল দলটি।
তফসিল থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত প্রায় দুই মাস বা ৬০ দিন ব্যবধান রাখা হবে বলে এরইমধ্যে ইসি।
সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন, বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ সময় আগের চেয়ে তুলনামুলক বাড়তে পারে।
দুই ভোটের তফসিল
অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনায় সংসদ নির্বাচন ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ (সংবিধান সংশোধন) বাস্তবায়নে গণভোট একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। দুই ভোট আয়োজনে ঘোষিত তফসিলে ভোটে দেশবাসীকে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়ে বার বার সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসা সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন।
সিইসির ভাষণ রেকর্ডের সময় উপস্থিত নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা চরচাকে জানান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এবং ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষণ শুরু হতে পারে সিইসির। ভোট সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ করতে নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাতে পারেন তিনি। গত তিনটি সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম ও অগণতান্ত্রিক ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি যেন ঘটে তার আহ্বান জানিয়ে সিইসি শান্তিপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তাও চাইতে পারবেন।
সংসদীয় সীমানা: নতুন গেজেট অথবা সমন্বয়
ভোট আয়োজনের আগে বাগেরহাট জেলার একটি আসন কমিয়ে, বিপরীতে গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করেছিল ইসি। তফসিল ঘোষণার একদিন আগে আজ বুধবার ইসির সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করেছেন আদালত। ফলে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল থাকছে।
কোর্টের আদেশ হাতে না পাওয়ায় গত ৪ সেপ্টেম্বর জারি করা গেজেটের ভিত্তিতেই আগামীকাল তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তবে তিনি জানান, হাইকোর্টের রায় অনুসারে সংসদীয় সীমানার গেজেট নতুন করে অথবা সংশোধন করে প্রকাশের সুযোগ রয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে ইসির পদক্ষেপ কী হবে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ চরচাকে বলেন, “গেজেট সংশোধন করতে হবে। বর্তমান গেজেটে আগামীকাল তফসিল হয়ে যাচ্ছে।”

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে এখন গুঞ্জন চলছে। সম্ভাব্য তিনটি তারিখ নিয়ে আলোচনা চলছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির ৮, ১১ এবং ১২।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তফসিলে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচনের ভোট ও গণভোট আয়োজনের ঘোষণা থাকতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নির্বাচন কমিশনার চরচাকে বলেন, “১১ বা ১২ তারিখ ভোট হবে। সেটা কাল তফসিলেই জানতে পারবেন।”
এদিকে ৮ তারিখের কথাও শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে যুক্তি হচ্ছে, ৮ ফেব্রুয়ারি রোববার। সাধারণত রোববার বা বৃহস্পতিবার সংসদ নির্বাচন আয়োজনের রীতি হিসেবে পালন করে আসছে ইসি।
এদিকে, প্রচারের উদ্দেশে আজ বিকেল ৪ টায় সিইসির ভাষণ রেকর্ড করেছে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার।
ইসি আগেই জানিয়েছে, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হবে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার শেষ দিন; বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ও ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হবে তফসিলে। আর গণভোটের জন্য শুধু ভোটের তারিখটি উল্লেখ করা হবে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ভোটিং যুক্ত হয়েছে। গণভোটেও ভোট দিতে পারবেন নিবন্ধিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
ভোট নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নানা দাবি তুলে ধরেছে রাজনৈতিক দলগুলো। পাশাপাশি সবার জন্য সমান সুযোগ চেয়ে আসছে তারা। দলগুলোর তাদের প্রার্থী তালিকা এরইমধ্যে প্রকাশ শুরু করেছে। তফসিলের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগেই প্রার্থীরা নিজ এলাকায় প্রচারে সরব এখন।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অর্ধশতাধিক দল এবার ভোটে অংশ নিতে পারছে। জামায়াত ইসলামপন্থি দলগুলোকে নিয়ে আটটি দলের একটি জোট গঠন করেছে। আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতৃত্বে ২০ দলের একটি নতুন জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। এই জোটের নাম দেওয়া হয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)।
বামপন্থীরা গঠন করেছে গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট। তবে জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি কীভাবে নির্বাচন করবে সে বিষয়ে এখনো কিছু বলেনি।
অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় এবার ভোটের বাইরে থাকতে হচ্ছে তাদের। এর আগে ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ চতুর্থ সংসদ নির্বাচন এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল দলটি।
তফসিল থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত প্রায় দুই মাস বা ৬০ দিন ব্যবধান রাখা হবে বলে এরইমধ্যে ইসি।
সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন, বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ সময় আগের চেয়ে তুলনামুলক বাড়তে পারে।
দুই ভোটের তফসিল
অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনায় সংসদ নির্বাচন ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ (সংবিধান সংশোধন) বাস্তবায়নে গণভোট একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। দুই ভোট আয়োজনে ঘোষিত তফসিলে ভোটে দেশবাসীকে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়ে বার বার সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসা সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন।
সিইসির ভাষণ রেকর্ডের সময় উপস্থিত নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা চরচাকে জানান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এবং ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষণ শুরু হতে পারে সিইসির। ভোট সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ করতে নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাতে পারেন তিনি। গত তিনটি সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম ও অগণতান্ত্রিক ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি যেন ঘটে তার আহ্বান জানিয়ে সিইসি শান্তিপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তাও চাইতে পারবেন।
সংসদীয় সীমানা: নতুন গেজেট অথবা সমন্বয়
ভোট আয়োজনের আগে বাগেরহাট জেলার একটি আসন কমিয়ে, বিপরীতে গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করেছিল ইসি। তফসিল ঘোষণার একদিন আগে আজ বুধবার ইসির সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করেছেন আদালত। ফলে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল থাকছে।
কোর্টের আদেশ হাতে না পাওয়ায় গত ৪ সেপ্টেম্বর জারি করা গেজেটের ভিত্তিতেই আগামীকাল তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তবে তিনি জানান, হাইকোর্টের রায় অনুসারে সংসদীয় সীমানার গেজেট নতুন করে অথবা সংশোধন করে প্রকাশের সুযোগ রয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে ইসির পদক্ষেপ কী হবে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ চরচাকে বলেন, “গেজেট সংশোধন করতে হবে। বর্তমান গেজেটে আগামীকাল তফসিল হয়ে যাচ্ছে।”