পারমাণবিক অস্ত্রের চাবিও এখন আসিম মুনিরের হাতে

চরচা ডেস্ক
চরচা ডেস্ক
পারমাণবিক অস্ত্রের চাবিও এখন আসিম মুনিরের হাতে
পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির। ছবি: পাকিস্তান আইএসপিআর

পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি।

ফলে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ দেশটির প্রতিরক্ষার সমস্ত নিয়ন্ত্রণ এখন কেন্দ্রীভূত হয়েছে আসিম মুনিরের হাতে।

বৃহস্পতিবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, মুনিরকে চিফ অব আর্মি স্টাফ (সিওএএস) ও চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) পদ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সুপারিশ অনুমোদন করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাদ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, মুনিরের হাতে আরও ক্ষমতা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দ্বিধায় রয়েছেন- এমন ‍গুঞ্জনের মধ্যেই তাকে সিডিএফ পদে বসানো হল।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে বলা হয়েছে, সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা-চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।

সামরিক বাহিনীর কমান্ডকে আরও কেন্দ্রীভূত করতে ১২ নভেম্বর পাস হওয়া পাকিস্তানের ২৭তম সংশোধনীতে এই সিডিএফ বা প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান পদটি সৃষ্টি করা হয়।

সংবিধানে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার প্রধানের মাথার ওপর কোনো পদের অস্তিত্ব এত দিন ছিল না। মুনিরের জন্য বিশেষভাবে পদটি তৈরি করা হয়েছে।

নতুন পদটি মুনিরকে দেশের রাষ্ট্রপতির সমপর্যায়ের আইনি সুরক্ষাও দিয়েছে। রাষ্ট্রপতির মতোই ফিল্ড মার্শাল মুনিরও আজীবন যেকোনো মামলার হাত থেকে অব্যাহতি পাবেন। এই সুরক্ষা বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানদের ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত করা হয়েছে।

ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

মুনির চলতি বছর পাকিস্তানের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ফিল্ড মার্শাল খেতাব পেয়েছেন। এর আগে ১৯৬৫ সালে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া জেনারেল আইয়ুব খানকে ওই খেতাব দেওয়া হয়েছিল।

সম্পর্কিত