শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে ‘অবান্তর’ বলায় চবির প্রশাসনিক ভবনে তালা

শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে ‘অবান্তর’ বলায় চবির প্রশাসনিক ভবনে তালা
চবির প্রশাসনিক ভবনে 'সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য' ব্যানারে এ তালা দেওয়া হয়। ছবি: চরচা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) শামীম উদ্দিন খানের ১৯৭১ সালের শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে ‘অবান্তর’ বলার প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার বেলা ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’ ব্যানারে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হয়।

ভবনে তালা দেওয়ার পর উপ-উপাচার্যের নিঃশর্ত ক্ষমা ও পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণাও দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই বক্তব্যের সময় উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকেও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, “স্বাধীন দেশে টাকার বিনিময়ে চাকরি করা একজন উপ-উপাচার্য কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। এর জবাবদিহি করতেই হবে। নিঃশর্ত ক্ষমা ও পদত্যাগই আমাদের একমাত্র দাবি, না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি আসছে। তবে, আমরা শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হওয়ার সুযোগ দিয়েছি।”

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, “ইতিহাসের প্রশ্নে আমরা কোনো আপস করি না। ইতিহাস বিকৃতির ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত ভয়ংকর দৃষ্টান্ত। যেমন হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমরা তো পালাতে ব্যস্ত ছিলাম, আমি কীভাবে হত্যা চালাব?’- ঠিক একই ধরনের বক্তব্য আজ উপ-উপাচার্যের মুখে শোনা গেছে। তাকে অবশ্যই নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং পদত্যাগ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা তালা খুলব না।”

এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহহিয়া আখতারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।

সম্পর্কিত