চরচা ডেস্ক

নানা বিতর্কের মধ্যেই মিয়ানমারে আজ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী ২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার পর প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এই নির্বাচনের আয়োজন করেছে।
স্থানীয় সময় রোববার দেশটির ৩৩০টি টাউনশিপের মধ্যে মাত্র প্রায় ১০২টিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয় বলে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে তিন ধাপে। প্রথম ধাপ আজ। দ্বিতীয় ধাপ ১১ জানুয়ারি আর তৃতীয় ধাপ ২৫ জানুয়ারি। জানুয়ারির শেষে ফল ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিয়ানমারের মোট ৩৩০টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে ২৬৩ এলাকায় নির্বাচন হবে। ৬৫টি টাউনশিপে ভোটগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে রোববার সকাল ৬টায় ভোটকেন্দ্রগুলো খোলা হয়। তবে ভোট দিতে আসা মানুষের সংখ্যা ছিল খুবই কম।
ইয়াঙ্গুন থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক টনি চেং বলেন, “এটা দেখতে একটা নির্বাচনের মতোই লাগছে। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই আছে। এখানে নিবন্ধন বোর্ডও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটারদের তেমন ভিড় দেখা যাচ্ছে না।”
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এটিই প্রথম কোনো নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তবে প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিসহ (এনএলডি) অধিকাংশ শক্তিশালী দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই নির্বাচনকে একটি ‘সাজানো নাটক’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে।
তাছাড়া সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশজুড়ে চরম বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার। ওই সময় নোবেলজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ক্ষমতা দখল করলেও দেশটিকে এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয় জান্তা সরকার।
একদিকে সংঘাতকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্য ও ত্রাণের তীব্র সংকট, অন্যদিকে ধরপাকড় ও দমন-পীড়নের ভয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। অনেক নাগরিকই মনে করছেন, এই নির্বাচন কেবল জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার একটি মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই নয়।

নানা বিতর্কের মধ্যেই মিয়ানমারে আজ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী ২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার পর প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এই নির্বাচনের আয়োজন করেছে।
স্থানীয় সময় রোববার দেশটির ৩৩০টি টাউনশিপের মধ্যে মাত্র প্রায় ১০২টিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয় বলে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে তিন ধাপে। প্রথম ধাপ আজ। দ্বিতীয় ধাপ ১১ জানুয়ারি আর তৃতীয় ধাপ ২৫ জানুয়ারি। জানুয়ারির শেষে ফল ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিয়ানমারের মোট ৩৩০টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে ২৬৩ এলাকায় নির্বাচন হবে। ৬৫টি টাউনশিপে ভোটগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে রোববার সকাল ৬টায় ভোটকেন্দ্রগুলো খোলা হয়। তবে ভোট দিতে আসা মানুষের সংখ্যা ছিল খুবই কম।
ইয়াঙ্গুন থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক টনি চেং বলেন, “এটা দেখতে একটা নির্বাচনের মতোই লাগছে। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই আছে। এখানে নিবন্ধন বোর্ডও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটারদের তেমন ভিড় দেখা যাচ্ছে না।”
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এটিই প্রথম কোনো নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তবে প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিসহ (এনএলডি) অধিকাংশ শক্তিশালী দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই নির্বাচনকে একটি ‘সাজানো নাটক’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে।
তাছাড়া সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশজুড়ে চরম বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার। ওই সময় নোবেলজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ক্ষমতা দখল করলেও দেশটিকে এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয় জান্তা সরকার।
একদিকে সংঘাতকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্য ও ত্রাণের তীব্র সংকট, অন্যদিকে ধরপাকড় ও দমন-পীড়নের ভয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। অনেক নাগরিকই মনে করছেন, এই নির্বাচন কেবল জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার একটি মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই নয়।