চরচা ডেস্ক

বাইডেন প্রশাসনের সময় গাজা যুদ্ধ পরিচালনা নিয়ে ইসরায়েলের ভূমিকা সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়ায় আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইসরায়েলকে কিছু সংবেদনশীল তথ্য প্রদান থেকে বিরত ছিল- এমন একটি খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৪ সালের শেষদিকে গাজার আকাশে উড়তে থাকা একটি মার্কিন ড্রোনের লাইভ ভিডিও রেকর্ড ইসরায়েলকে দেওয়া বন্ধ করে দেয় আমেরিকা। এই ড্রোনটি হামাস যোদ্ধাদের শনাক্ত করা এবং জিম্মিদের খুঁজে বের করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল। সূত্র জানায়, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের মতে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূলত গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের আচরণ নিয়ে আমেরিকার গোয়েন্দা মহলে গভীর উদ্বেগ কাজ করছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করেছিলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে আমেরিকান গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা হবে, কিন্তু ইসরায়েল এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়নি। মার্কিন আইন অনুযায়ী বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির আগে এমন নিশ্চয়তা নেওয়া বাধ্যতামূলক।
বাইডেন প্রশাসন প্রকাশ্যে ইসরায়েলের প্রতি রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থন বজায় রেখেছিল। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, গোয়েন্দা তথ্য সীমিত করার সিদ্ধান্ত ছিল কৌশলগত পদক্ষেপ। এর উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন তথ্য যেন আইনসম্মত ও নৈতিকভাবে ব্যবহৃত হয় তা নিশ্চিত করা। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কিছু সিদ্ধান্ত হোয়াইট হাউসের সরাসরি অনুমতি ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য আদান–প্রদান বাড়ানোর অনুমোদন দেন। এর পরপরই পেন্টাগন ও সিআইএর নেতৃত্বে একটি যৌথ গোয়েন্দা দল গঠন করা হয়, যা গাজার আকাশে এমকিউ–৯ রিপার ড্রোন উড়িয়ে ইসরায়েলকে সরাসরি ভিডিও সরবরাহ করত। এই তথ্য হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা এবং জিম্মি উদ্ধারে সহায়ক ছিল।
২০২৪ সালের শেষের দিকে মার্কিন কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনি বন্দিদের প্রতি ইসরায়েলের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো আগেই গুরুতর নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিল। সূত্র অনুযায়ী, বন্দিদের নির্যাতন না করার বিষয়ে শিন বেত পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ড্রোন ফিডে তাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যুদ্ধ চলাকালে মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষকরা ইসরায়েল ও হামাসের কর্মকাণ্ড মার্কিন সংজ্ঞা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধের মধ্যে পড়ে কি না–তা নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করতেন। বেসামরিক জনগণ হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ও বন্দিদের প্রতি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আচরণ গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছিল বাইডেন প্রশাসনের উপর মহলের কর্মকর্তাদের মধ্যে। তা সত্ত্বেও প্রশাসনের আইনজীবীরা বারবার এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেনি।
বাইডেন প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হয়ার আগের শেষ সপ্তাহগুলোতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সভাপতিত্বে হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলকে দেওয়া কিছু গোয়েন্দা সহায়তা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করার প্রস্তাব দেন। তারা মত প্রকাশ করেন যে, তাদের হাতে এমন প্রমাণ রয়েছে যা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারে এবং তাতে আমেরিকার সমর্থন প্রশনবিদ্ধ হতে পারে।
তবে এই প্রস্তাব বাইডেন প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি যুক্তি দেখান, ভবিষ্যতে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় এলে এই সহযোগিতা পুনরায় চালু হবে এবং সেই প্রশাসনের আইনজীবীরাও বলবে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালককে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

বাইডেন প্রশাসনের সময় গাজা যুদ্ধ পরিচালনা নিয়ে ইসরায়েলের ভূমিকা সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়ায় আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইসরায়েলকে কিছু সংবেদনশীল তথ্য প্রদান থেকে বিরত ছিল- এমন একটি খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৪ সালের শেষদিকে গাজার আকাশে উড়তে থাকা একটি মার্কিন ড্রোনের লাইভ ভিডিও রেকর্ড ইসরায়েলকে দেওয়া বন্ধ করে দেয় আমেরিকা। এই ড্রোনটি হামাস যোদ্ধাদের শনাক্ত করা এবং জিম্মিদের খুঁজে বের করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল। সূত্র জানায়, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের মতে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূলত গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের আচরণ নিয়ে আমেরিকার গোয়েন্দা মহলে গভীর উদ্বেগ কাজ করছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করেছিলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে আমেরিকান গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা হবে, কিন্তু ইসরায়েল এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়নি। মার্কিন আইন অনুযায়ী বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির আগে এমন নিশ্চয়তা নেওয়া বাধ্যতামূলক।
বাইডেন প্রশাসন প্রকাশ্যে ইসরায়েলের প্রতি রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থন বজায় রেখেছিল। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, গোয়েন্দা তথ্য সীমিত করার সিদ্ধান্ত ছিল কৌশলগত পদক্ষেপ। এর উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন তথ্য যেন আইনসম্মত ও নৈতিকভাবে ব্যবহৃত হয় তা নিশ্চিত করা। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কিছু সিদ্ধান্ত হোয়াইট হাউসের সরাসরি অনুমতি ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য আদান–প্রদান বাড়ানোর অনুমোদন দেন। এর পরপরই পেন্টাগন ও সিআইএর নেতৃত্বে একটি যৌথ গোয়েন্দা দল গঠন করা হয়, যা গাজার আকাশে এমকিউ–৯ রিপার ড্রোন উড়িয়ে ইসরায়েলকে সরাসরি ভিডিও সরবরাহ করত। এই তথ্য হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা এবং জিম্মি উদ্ধারে সহায়ক ছিল।
২০২৪ সালের শেষের দিকে মার্কিন কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনি বন্দিদের প্রতি ইসরায়েলের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো আগেই গুরুতর নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিল। সূত্র অনুযায়ী, বন্দিদের নির্যাতন না করার বিষয়ে শিন বেত পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ড্রোন ফিডে তাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যুদ্ধ চলাকালে মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষকরা ইসরায়েল ও হামাসের কর্মকাণ্ড মার্কিন সংজ্ঞা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধের মধ্যে পড়ে কি না–তা নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করতেন। বেসামরিক জনগণ হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ও বন্দিদের প্রতি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আচরণ গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছিল বাইডেন প্রশাসনের উপর মহলের কর্মকর্তাদের মধ্যে। তা সত্ত্বেও প্রশাসনের আইনজীবীরা বারবার এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেনি।
বাইডেন প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হয়ার আগের শেষ সপ্তাহগুলোতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সভাপতিত্বে হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলকে দেওয়া কিছু গোয়েন্দা সহায়তা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করার প্রস্তাব দেন। তারা মত প্রকাশ করেন যে, তাদের হাতে এমন প্রমাণ রয়েছে যা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারে এবং তাতে আমেরিকার সমর্থন প্রশনবিদ্ধ হতে পারে।
তবে এই প্রস্তাব বাইডেন প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি যুক্তি দেখান, ভবিষ্যতে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় এলে এই সহযোগিতা পুনরায় চালু হবে এবং সেই প্রশাসনের আইনজীবীরাও বলবে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালককে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।