চরচা ডেস্ক

কিংবদন্তি ফুটবলার লিওনেল মেসি শনিবার তিন দিনের সফরে ভারতে পৌঁছেছেন। এই সফরে তিনি কলকাতা, হায়দরাবাদ, মুম্বাই ও নয়াদিল্লি ভ্রমণ করবেন।
লিওনেল মেসির ভারত সফরের শুরুটা হয়েছিল চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে। ‘সফরের প্রথম দিনে আয়োজকদের ব্যর্থতায় তাকে ঠিকমতো দেখতে না পেয়ে কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হট্টগোল, ক্ষুব্ধ দর্শকদের স্টেডিয়ামের চেয়ার ভাঙচুর ও নানা সম্পদ লুট করার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এরই মাঝে প্রধান আয়োজক শতদ্রু দত্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একইদিন রাতে হায়দরাবাদে সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেলেন মেসি-সুয়ারেজ-ডি পলরা।
মেসির যখন মাঠে প্রবেশ করছেন, তখন প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ চলছিল। দুই সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডি পলকে নিয়ে মেসি ভিভিআইপি বক্সে দাঁড়িয়ে সেই ম্যাচ দেখেছেন। কয়েকবার উচ্ছ্বসিতও হতে দেখা যায় বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। মেসি স্টেডিয়ামে আসার পরই মাঠে নামেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি।
কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কেন ভারতে এসে কোনো ফুটবল ম্যাচ খেলেননি মেসি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৮ বছর বয়সী মেসি বর্তমানে ভারতে আছেন মূলত ভক্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের (মিট-অ্যান্ড-গ্রিট) সফরে। এই তিন দিনে তার কোনো ক্লাব বা আন্তর্জাতিক ম্যাচের সূচি না থাকায়, তিনি কোনো পূর্ণাঙ্গ ম্যাচে অংশ নেবেন না। এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে ইনস্যুরেন্স বা বিমার বিষয়টি।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মেসির রয়েছে বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল ক্রীড়াবিদ বিমা পলিসি। এই মহাতারকার বাঁ পায়ের জন্য ৯০ কোটি ডলারের বিমা করা আছে।
এই বিমা পলিসি মেসিকে ক্যারিয়ারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কোনো চোটের কারণে সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে একই সঙ্গে এটি স্পষ্ট করে দেয় যে, জাতীয় দল বা ক্লাবের অফিসিয়াল ম্যাচ ছাড়া তিনি অন্য কোনো ধরনের খেলায় অংশ নিতে পারবেন না। আর তাই আর্জেন্টিনা জাতীয় দল ও আমেরিকার এমএসএল ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলা মেসির ভারতে কোনো ম্যাচ খেলবেন না।
এ ধরনের বিমা নীতিতে প্রদর্শনী ম্যাচ অন্তর্ভুক্ত থাকে না। এমন কোনো ম্যাচে খেলতে গিয়ে কোনো ফুটবলার চোটে পড়লে , তারা বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
তবে কিংবদন্তি বাস্কেটবল খেলোয়াড় মাইকেল জর্ডানের পলিসি চুক্তিতে ‘লাভ অব দ্য গেম’ নামে একটি বিশেষ ধারা ছিল। শিকাগো বুলসের সঙ্গে সেই চুক্তি অনুযায়ী, তিনি যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় এবং যেকোনো মানুষের সঙ্গে অনুমতি ছাড়াই বাস্কেটবল খেলতে পারতেন।
এমনকি ওইসব খেলায় চোট পেয়ে দলের হয়ে জর্ডান খেলতে না পারলেও শিকাগো বুলস তাকে পূর্ণ পারিশ্রমিক দিত। তবে মেসির বিমা পলিসির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বিশেষ ধারা থাকার তথ্য কখনোই জানা যায়নি।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর ভারত সফর শেষ করার কথা রয়েছে মেসিদের।

কিংবদন্তি ফুটবলার লিওনেল মেসি শনিবার তিন দিনের সফরে ভারতে পৌঁছেছেন। এই সফরে তিনি কলকাতা, হায়দরাবাদ, মুম্বাই ও নয়াদিল্লি ভ্রমণ করবেন।
লিওনেল মেসির ভারত সফরের শুরুটা হয়েছিল চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে। ‘সফরের প্রথম দিনে আয়োজকদের ব্যর্থতায় তাকে ঠিকমতো দেখতে না পেয়ে কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হট্টগোল, ক্ষুব্ধ দর্শকদের স্টেডিয়ামের চেয়ার ভাঙচুর ও নানা সম্পদ লুট করার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এরই মাঝে প্রধান আয়োজক শতদ্রু দত্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একইদিন রাতে হায়দরাবাদে সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেলেন মেসি-সুয়ারেজ-ডি পলরা।
মেসির যখন মাঠে প্রবেশ করছেন, তখন প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ চলছিল। দুই সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডি পলকে নিয়ে মেসি ভিভিআইপি বক্সে দাঁড়িয়ে সেই ম্যাচ দেখেছেন। কয়েকবার উচ্ছ্বসিতও হতে দেখা যায় বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। মেসি স্টেডিয়ামে আসার পরই মাঠে নামেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি।
কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কেন ভারতে এসে কোনো ফুটবল ম্যাচ খেলেননি মেসি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৮ বছর বয়সী মেসি বর্তমানে ভারতে আছেন মূলত ভক্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের (মিট-অ্যান্ড-গ্রিট) সফরে। এই তিন দিনে তার কোনো ক্লাব বা আন্তর্জাতিক ম্যাচের সূচি না থাকায়, তিনি কোনো পূর্ণাঙ্গ ম্যাচে অংশ নেবেন না। এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে ইনস্যুরেন্স বা বিমার বিষয়টি।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মেসির রয়েছে বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল ক্রীড়াবিদ বিমা পলিসি। এই মহাতারকার বাঁ পায়ের জন্য ৯০ কোটি ডলারের বিমা করা আছে।
এই বিমা পলিসি মেসিকে ক্যারিয়ারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কোনো চোটের কারণে সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে একই সঙ্গে এটি স্পষ্ট করে দেয় যে, জাতীয় দল বা ক্লাবের অফিসিয়াল ম্যাচ ছাড়া তিনি অন্য কোনো ধরনের খেলায় অংশ নিতে পারবেন না। আর তাই আর্জেন্টিনা জাতীয় দল ও আমেরিকার এমএসএল ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলা মেসির ভারতে কোনো ম্যাচ খেলবেন না।
এ ধরনের বিমা নীতিতে প্রদর্শনী ম্যাচ অন্তর্ভুক্ত থাকে না। এমন কোনো ম্যাচে খেলতে গিয়ে কোনো ফুটবলার চোটে পড়লে , তারা বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
তবে কিংবদন্তি বাস্কেটবল খেলোয়াড় মাইকেল জর্ডানের পলিসি চুক্তিতে ‘লাভ অব দ্য গেম’ নামে একটি বিশেষ ধারা ছিল। শিকাগো বুলসের সঙ্গে সেই চুক্তি অনুযায়ী, তিনি যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় এবং যেকোনো মানুষের সঙ্গে অনুমতি ছাড়াই বাস্কেটবল খেলতে পারতেন।
এমনকি ওইসব খেলায় চোট পেয়ে দলের হয়ে জর্ডান খেলতে না পারলেও শিকাগো বুলস তাকে পূর্ণ পারিশ্রমিক দিত। তবে মেসির বিমা পলিসির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বিশেষ ধারা থাকার তথ্য কখনোই জানা যায়নি।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর ভারত সফর শেষ করার কথা রয়েছে মেসিদের।