হাদিকে গুলি করা দুর্বৃত্তরা কি আসলেই ভারতে পালিয়ে গেছে?
আরমান ভূঁইয়া
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৪
ওসমান হাদি। ছবি: ফেসবুক
রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। তবে পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে, ঘটনার পরদিন শনিবার ভোরে হামলাকারীরা ময়মনসিংহ সীমান্ত হয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে প্রবেশ করেছে।
হামলাকারীদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সহযোগিতাও চেয়েছে। রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার ও প্রত্যর্পণে সহায়তা চাওয়ার কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বিজয়নগর কালভার্ট রোডে চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। একটি মোটরসাইকেল থেকে দুজন ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে একটি গুলি হাদির মাথা ভেদ করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ছবি-ভিডিও বিশ্লেষণ করে হামলায় জড়িত দুই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছে। পুলিশের দাবি, মোটরসাইকেলের পেছনে বসে গুলি চালান ফয়সাল করিম মাসুদ এবং মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন মোহাম্মদ আলমগীর শেখ।
পুলিশ জানায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে এবং গাড়িটির মালিক মো. আব্দুল হান্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য রোববার তাদের আদালতে পাঠিয়ে তিনদিনের রিমান্ডও পেয়েছে পল্টন থানা পুলিশ।
ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ঘটনার পরদিন শনিবার ভোরে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে পালিয়ে যায়। এমনকি তাদের পালাতে সহায়তাকারী হিসেবে দুই মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
তবে এ বিষয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো নিশ্চিত করেনি। রোববার বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এন এস নজরুল ইসলাম বলেন, “সন্দেহভাজনরা দেশ ছেড়েছেন–এমন কোনো নিশ্চিত তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে তাদের গ্রেপ্তারে ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত এলাকায় বিজিবিকে জানানো হয়েছে। বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”
ডিবির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হামলাকারীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে–এমন তথ্য তাদের হাতে এসেছে এবং বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।
এদিকে ডিএমপি জানিয়েছে, শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকার সীমান্ত দিয়ে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সিবিয়ন দিও ও সঞ্জয় চিসিম নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাদির ওপর হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে তারা সহযোগিতা করেছে কিনা–এ বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ডিএমপি আরও জানায়, এ ছাড়া র্যাব অভিযান চালিয়ে মো. আব্দুল হান্নান নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারীকে গ্রেপ্তারে তথ্য প্রদানকারীদের জন্য অর্ধকোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। শনিবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করলে তাকে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।”
এদিকে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সন্দেহভাজনদের ভারতে পলায়ন ঠেকাতে এবং তারা ইতোমধ্যে ভারতে প্রবেশ করে থাকলে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর আহ্বান সংক্রান্ত বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত বাংলাদেশের আইনি কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যর্পণের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আসন্ন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পরিকল্পনা ও সহিংস কর্মকাণ্ড বন্ধে ভারত সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে–এমন প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের বিভিন্ন সূত্র এবং সে অনুযায়ী নেওয়া নানা পদক্ষেপ ইঙ্গিত করছে–অপরাধীরা ভারতে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন। তবে এ নিয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো অংশ থেকেই নিশ্চিত কোনো তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। তদন্ত চলছে। দুজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
ওসমান হাদি। ছবি: ফেসবুক
রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। তবে পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে, ঘটনার পরদিন শনিবার ভোরে হামলাকারীরা ময়মনসিংহ সীমান্ত হয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে প্রবেশ করেছে।
হামলাকারীদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সহযোগিতাও চেয়েছে। রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার ও প্রত্যর্পণে সহায়তা চাওয়ার কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বিজয়নগর কালভার্ট রোডে চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। একটি মোটরসাইকেল থেকে দুজন ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে একটি গুলি হাদির মাথা ভেদ করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ছবি-ভিডিও বিশ্লেষণ করে হামলায় জড়িত দুই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছে। পুলিশের দাবি, মোটরসাইকেলের পেছনে বসে গুলি চালান ফয়সাল করিম মাসুদ এবং মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন মোহাম্মদ আলমগীর শেখ।
পুলিশ জানায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে এবং গাড়িটির মালিক মো. আব্দুল হান্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য রোববার তাদের আদালতে পাঠিয়ে তিনদিনের রিমান্ডও পেয়েছে পল্টন থানা পুলিশ।
ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ঘটনার পরদিন শনিবার ভোরে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে পালিয়ে যায়। এমনকি তাদের পালাতে সহায়তাকারী হিসেবে দুই মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
তবে এ বিষয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো নিশ্চিত করেনি। রোববার বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এন এস নজরুল ইসলাম বলেন, “সন্দেহভাজনরা দেশ ছেড়েছেন–এমন কোনো নিশ্চিত তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে তাদের গ্রেপ্তারে ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত এলাকায় বিজিবিকে জানানো হয়েছে। বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”
ডিবির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হামলাকারীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে–এমন তথ্য তাদের হাতে এসেছে এবং বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।
এদিকে ডিএমপি জানিয়েছে, শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকার সীমান্ত দিয়ে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সিবিয়ন দিও ও সঞ্জয় চিসিম নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাদির ওপর হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে তারা সহযোগিতা করেছে কিনা–এ বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ডিএমপি আরও জানায়, এ ছাড়া র্যাব অভিযান চালিয়ে মো. আব্দুল হান্নান নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারীকে গ্রেপ্তারে তথ্য প্রদানকারীদের জন্য অর্ধকোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। শনিবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করলে তাকে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।”
এদিকে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সন্দেহভাজনদের ভারতে পলায়ন ঠেকাতে এবং তারা ইতোমধ্যে ভারতে প্রবেশ করে থাকলে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর আহ্বান সংক্রান্ত বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত বাংলাদেশের আইনি কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যর্পণের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আসন্ন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পরিকল্পনা ও সহিংস কর্মকাণ্ড বন্ধে ভারত সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে–এমন প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের বিভিন্ন সূত্র এবং সে অনুযায়ী নেওয়া নানা পদক্ষেপ ইঙ্গিত করছে–অপরাধীরা ভারতে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন। তবে এ নিয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো অংশ থেকেই নিশ্চিত কোনো তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। তদন্ত চলছে। দুজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।