Google Zero কতটা ভয়ানক, বাঁচার উপায় কী

Google Zero কতটা ভয়ানক, বাঁচার উপায় কী
ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের নতুন এক ফিচার নিয়ে বেশ শোরগোল উঠেছে। এর নাম, Google Zero। এটি নিয়ে এখনো পর্যন্ত জনমনে শঙ্কার বাতাস বইছে। বিশেষ করে অনলাইন পাবলিশারদের কপালের ভাঁজ ক্রমশই ঘন হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, Google Zero কতটা ভয়ানক? এ থেকে বাঁচার উপায় কী নেই?

আগে সংক্ষেপে একটু জেনে নেওয়া যাক Google Zero আসলে কী জিনিস।

গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের একটি নতুন ফিচার হলো এআই ওভারভিউ। গুগলে কোনো বিষয় নিয়ে সার্চ করতে গেলেই এখন চোখের সামনে আগে ভেসে ওঠে এই ফিচার। এতে সার্চ করা বিষয়ের ওপর একটি সামারি বা সারসংক্ষেপ তুলে ধরে গুগলের এআই। মূলত বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়েই এই সামারি তৈরি করা হয়। তথ্যের সাথে সাথে সেসব ওয়েবসাইটের লিংকও জুড়ে দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি এই এআই ওভারভিউ দেওয়া শুরু করে গুগল।

আর এমন অবস্থাতেই Google Zero তত্ত্বের অবতারণা হয়। ‘গুগল জিরো’ নামের এই শব্দবন্ধটি প্রথম ব্যবহার শুরু করেন তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ-এর প্রধান সম্পাদক নিলয় প্যাটেল। একে ‘Zero-click Search’-ও বলা হয়ে থাকে।

এই তত্ত্ব অনুযায়ী, গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে এআই ওভারভিউ চালু হওয়ায় গুগল জিরো’র দরজা খুলে গেছে। এআই এখন সার্চ করা বিষয় নিয়ে ব্যবহারকারীদের কোনো ক্লিক করার আগেই জানিয়ে দিচ্ছে সামারি। ফলে যেকোনো ব্যবহারকারী চাইলেই যেকোনো বিষয়ে প্রাথমিক ধারণাটি পেয়ে যেতে পারেন গুগলের এআই ওভারভিউ থেকে। এতে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তথ্য খোঁজার কাজ অনেকটাই করে দিতে পারছে গুগলের নতুন ফিচারটি। আর যদি গুগল নিজেদের সার্চ ইঞ্জিনেই প্রয়োজনীয় সব তথ্য ব্যবহারকারীদের সরবরাহ করতে থাকে, তবে থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটে ট্রাফিক পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশেই কমে আসবে। এবং চাইলেই গুগল তখন থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটে ট্রাফিক পাঠানো বন্ধ করে দিতেই পারে। এই পরিস্থিতিকেই বলা হচ্ছে ‘গুগল জিরো’।

Google Zero কতটা ভয়ানক

গুগল জিরো একটি তত্ত্বের সত্যে পরিণত হওয়ার শঙ্কা। যদি গুগল তার সার্চ ইঞ্জিন থেকে থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটে ট্রাফিক পাঠানো একেবারেই বন্ধ করে দেয়, তবেই এই তত্ত্ব সত্যে রূপান্তরিত হবে।

এখন কথা হলো, গুগল কি এই কাজ আসলেই করবে? বা এই কাজ করতে পারে, এমন কোনো লক্ষণ কি দেখা যাচ্ছে?

গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে এআই ওভারভিউ আসার পর থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এমন ওয়েবসাইগুলো, যেগুলো কনটেন্টে ঠেসে ঠেসে অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ঢুকিয়েছে। ছবি: রয়টার্স
গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে এআই ওভারভিউ আসার পর থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এমন ওয়েবসাইগুলো, যেগুলো কনটেন্টে ঠেসে ঠেসে অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ঢুকিয়েছে। ছবি: রয়টার্স

উত্তর হলো–কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এই লক্ষণগুলো অন্তত এটুকু বোঝাচ্ছে যে, গুগল জিরো আসার একটি ভিত তৈরি হচ্ছে ধীরে ধীরে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে Zero-click Search বাড়তে শুরু করেছে ব্যাপক হারে।

এর প্রমাণ মেলে পিউ রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রতিক একটি জরিপ প্রতিবেদনে। আমেরিকার ৯০০ জন ব্যবহারকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়। চলতি বছরের ২২ জুলাই প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে প্রতি ১০ জনে ৬ জন কমপক্ষে ১টি এমন কনটেন্টের গুগল সার্চ করেছেন, যার এআই ওভারভিউ বা এআই জেনারেটেড সামারি তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আরও বিশ্লেষণের পর পিউ রিসার্চ সেন্টার দেখেছে যে, যেসব গুগল সার্চে এআই জেনারেটেড সামারি তৈরি হয় না, সেসবের তুলনায়, যেসব গুগল সার্চে এআই জেনারেটেড সামারি তৈরি হয়, সেগুলোতে রেজাল্ট হিসেবে পাওয়া থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটের লিংকে ক্লিক করার হার বেশ কম। অর্থাৎ, এআই জেনারেটেড সামারি পাওয়ার পর ব্যবহারকারীরা খুব কমই থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটের লিংকে ক্লিক করছেন। বরং এআই জেনারেটেড সামারি দিয়েই তথ্যের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলার আগ্রহ ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশি।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা আরও বলছেন যে, আমেরিকার অনলাইন পাবলিশাররা সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ওয়েব ট্রাফিকে যে ভাটার টান দেখছেন, সেটির অন্যতম প্রধান কারণ গুগলের এই এআই ওভারভিউ। কারণ, এআই ওভারভিউ দেখেই গুগল ইউজাররা সন্তুষ্ট থাকছেন, আসল সোর্সের ওয়েবসাইটে ক্লিক করে সেই তথ্য আরও সুচারুভাবে জানার বা ভেরিফাই করার ইচ্ছা তাদের হচ্ছে না!

পিউ রিসার্চ সেন্টার আরও বলছে, এআই সামারি পাওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহারকারীরা আর কোনো ওয়েবসাইটে ক্লিক না করে উল্টো পুরো ব্রাউজিং সেশনই শেষ করে ফেলছেন। এবং এআই সামারি পাওয়া সার্চে এই কাজ করার হার এআই সামারি না পাওয়া সার্চের তুলনায় ঢের বেশি। অর্থাৎ, এআই ওভারভিউ ব্যবহারকারীদের এমনভাবেই সেবা দিচ্ছে যে, বাড়তি ক্লিক করার প্রয়োজনই হচ্ছে না।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদন আরও জানিয়েছে যে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে করা জরিপে প্রতি ৫টি গুগল সার্চের ১টিতে এআই সামারি তৈরি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ, এআই ওভারভিউ তৈরি হওয়ার হার বাড়ছে দ্রুত গতিতে। এবং এটি আরও বেগবান হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এসব তথ্যের ভিত্তিতেই গবেষকেরা বলছেন, অনলাইন পাবলিশাররা সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ওয়েব ট্রাফিকে যে ভাটার টান দেখছেন, সেটির অন্যতম প্রধান কারণ গুগলের এই এআই ওভারভিউ। এবং ওয়েব ট্রাফিক কমে যাওয়ার এই হার ক্রমশ বাড়তেই পারে।

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

সুতরাং জিরো ক্লিক সার্চ এখনকার ইন্টারনেটের দুনিয়ায় একটি প্রবল বাস্তবতা হিসেবেই হাজির হচ্ছে। এর ফলাফল হিসেবে দেখা যাচ্ছে, গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র‍্যাংক করা ওয়েবসাইটও ট্রাফিক হারাচ্ছে উদ্বেগজনক হারে। এতে করে প্রভাব পড়ছে আয়েও। সব মিলিয়ে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে জিরো ক্লিক সার্চের ফলে থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ডমিনো ইফেক্টের মতো চেইন রিঅ্যাকশন প্রক্রিয়ায়। এ ক্ষেত্রে ওয়েব ট্রাফিক ও আয়ে ধস নামছে রীতিমতো।

জিরো ক্লিক সার্চ প্রথম প্রভাব ফেলছে ওয়েবসাইটগুলোর অরগ্যানিক ট্রাফিকে। এই অরগ্যানিক ট্রাফিক সাধারণভাবে ওয়েবসাইটগুলো পায় প্রথাগত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও (SEO) করে। কিন্তু এআই ওভারভিউ আসার পর থেকে প্রথাগত এসইও ভালো ফলাফল দিতে পারছে না। দেখা যাচ্ছে, আগের ব্যবস্থায় গুগল সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করা ওয়েবসাইটেও ট্রাফিক কমে যাচ্ছে। কারণ, ওইসব ওয়েবসাইট যে প্রক্রিয়া, বিশেষ করে কিওয়ার্ড র‍্যাংক করানোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গুগল থেকে ট্রাফিক পাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল, সেটি এখন আর সেভাবে কাজ করছে না।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে করা একটি গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, গুগলের এআই ওভারভিউ আসার কারণে অনেক র‍্যাংক করা ওয়েবসাইটের অরগ্যানিক ক্লিক থ্রু রেট বা সিটিআর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে। এটি যেমন আকারে বড় ও পুরনো ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে, তেমনি ঘটতে পারে ছোট উদ্যোগেও। সাধারণ ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ধস নামতে পারে, একই অবস্থা হতে পারে নিউজ মিডিয়া বা অন্যান্য কনটেন্টভিত্তিক ওয়েবসাইটেও। এয়ার পিউরিফায়ারের রিভিউ করা একটি ওয়েবসাইট হাউসফ্রেশ যেমন অরগ্যানিক ট্রাফিক ৯১ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে দেখেছে। আর বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ধরা তো খাচ্ছেই!

সব মিলিয়ে এটুকু বলাই যায় যে, ওয়েব দুনিয়ার ইকোসিস্টেম এখন বেশ আতঙ্কগ্রস্ত, অনেকটাই বিহ্বল অবস্থায় আছে! এর পরিপ্রেক্ষিতে যদি কেউ দাবি করেই বসে যে, Google Zero আনুষ্ঠানিকভাবে চলে এলে ‘অত্যন্ত ভয়ানক’ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, তবে সেটিকে অস্বীকারের মতো বাস্তবতা এখন আদতে নেই। বরং বর্তমান অবস্থা সেটি স্বীকার করে নেওয়াকেই উল্টো প্ররোচিত করে।

গুগল কী বলছে

গুগল আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি বছরের আগস্ট মাসের শুরুতে এআই ওভারভিউ নিয়ে নিজেদের ব্লগে একটি পোস্ট দেয়। পোস্টটি লিখেছেন গুগল সার্চের প্রধান লিজ রিড। তাতে লিজ দাবি করেছেন, গুগলের সার্চ ইঞ্জিন থেকে ওয়েবসাইটগুলোয় যাওয়া ক্লিকের পরিমাণ বছরওয়ারি হিসেবে এখনো ঠিক আছে। তাতে বড় ধরনের কোনো হ্রাস-বৃদ্ধি হয়নি।

গুগল বলছে, এআই ওভারভিউ নিয়ে আসাটা সার্চ ইঞ্জিনের সবচেয়ে বড় আপডেট। এটি আনার পর থেকে সার্চ ইঞ্জিনে ব্যবহারকারীরা বেশি বেশি প্রশ্ন করছেন এবং মানসম্পন্ন ক্লিকের সংখ্যাও বাড়ছে। যদি এক্সটার্নাল ওয়েবসাইটে ক্লিকের সংখ্যা কমে আসার রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে, তবে সামগ্রিকভাবে ট্রাফিক বাড়ছে।

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

গুগলের দাবি, যেহেতু যেসব উৎস থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে, সেসব ওয়েবসাইটের লিংক এআই সামারিতে দেওয়া থাকছে, সেক্ষেত্রে ওইসব ওয়েবসাইট নতুন ধরনের ট্রাফিক পাচ্ছে। এবং এতে সার্বিকভাবে ট্রাফিক বাড়ছেই। আর কেউ যদি আরও গভীরভাবে তথ্য খুঁজতে চায়, তবে এক্সটার্নাল লিংকে ক্লিক করার বিকল্প তো থাকছেই।

Google Zero থেকে বাঁচার উপায় কী

কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, গুগল এই জিরো ক্লিক সার্চ নিয়ে এসেছে মূলত প্রথাগত এসইও-এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বা অপব্যবহারের কারণে। গুগল তার সিস্টেম থেকে নিম্নমানের কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে চাইছে। এ কারণে এআই ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে একটি বড় ছাঁকনি তৈরি করেছে গুগল, যার মাধ্যমে মানসম্মত কনটেন্টগুলোকে ছেঁকে আলাদা করে সুবিধা দিতে চাইছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি স্টোনচ্যাট ডিজিটাল-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সার্চ বিভাগের পরিচালক স্টেফান মুসটেইলেস। মাসদুয়েক আগে এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টেফান বলেন, “মানতে খারাপ লাগলেও সত্যটি হলো, গুগল বছরের পর বছর ধরে অনলাইন পাবলিশারদের নির্দেশনা দিয়ে আসছে যে, কীভাবে ওয়েবসাইট র‍্যাংক করাতে হবে। কিন্তু এখন পুরো কার্পেটই গুটিয়ে ফেলা হচ্ছে এবং এখান থেকে বাঁচার জন্য সত্যিকারের আশ্রয় বলতে কিছু আসলে নেই। এটি বলা বাড়াবাড়ি হবে না যে, আমাদের সামনে এমন একটি সময় এসেছে যে, হয় আমাদের মানিয়ে নিতে হবে, নইলে তল্পিতল্পা গোটাতে হবে।”

মানিয়ে নিতে হবে তাহলে কীভাবে?

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে এআই ওভারভিউ আসার পর থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এমন ওয়েবসাইগুলো, যেগুলো কনটেন্টে ঠেসে ঠেসে অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ঢুকিয়েছে। এসব ওয়েবসাইট নিজেদের FAQ সেকশনকে অতিরিক্ত অপটিমাইজড করার চেষ্টা করেছে। অর্থাৎ, প্রথাগত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও (SEO) প্রক্রিয়াটির অপব্যবহার করে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার যে রোগ মহামারি হয়ে উঠেছিল বলে মনে করে গুগল, সেটিকে এক তিতকুটে কুইনাইন দিয়ে নিকেশ করার চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে।

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে, অরিজিনাল কনটেন্ট বানানো। তাতে অহেতুক কিওয়ার্ড ঢোকানোর পেছনে সময় ব্যয় না করে, বরং কনটেন্টটি যেন গভীর হয়, মানসম্মত ও প্রয়োজনে সংক্ষিপ্ত বা সঠিক আকারের হয়, সেদিকে মনযোগ দিতে হবে। কনটেন্টের গাঠনিক আকারের দিকে নজর দিতে হবে, যেন সহজে তা বোঝা যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, গুগলের এআই যাতে সামারি তৈরির ক্ষেত্রে সেখান থেকে সহজে তথ্য বা অনুচ্ছেদ নিতে পারে। তবেই গুগলের নতুন ফিচারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শুরু করা যাবে, মিলবে সফলতাও।

পরিশেষে

সবশেষে এটুকু মেনে নিতে হবেই যে, গুগলের এআই ওভারভিউয়ের কারণে পুরো ওয়েব দুনিয়া এখন বেশ অস্থির সময় পার করছে। এই অস্থিরতা সহজে কাটবে না। ফলে সহজে উধাও হবে না Google Zero সংক্রান্ত আশঙ্কাও। 

টেকজায়ান্ট কোম্পানিগুলো ধীরে ধীরে ক্ষমতার শীর্ষে উঠতে চাইছে, রাষ্ট্রের চাইতেও বড় হয়ে উঠতে চাইছে–এমন শঙ্কা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জোরেশোরে আলোচনা চলছে। ফলে গুগলের এআই ওভারভিউ’তে সিঁদুরে মেঘ দেখবে অনেকেই। তবে হ্যাঁ, এ বিষয়ে চূড়ান্ত মত দিয়ে দেওয়ার মতো সময় এখনো আসেনি। সবুরে মেওয়া ফলবে, নাকি হেমলক–তাই এখন দেখার!

সম্পর্কিত