চরচা ডেস্ক

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের শুরু হয় সঠিক খাবার বেছে নেওয়ার মধ্য দিয়ে। ব্যস্ত জীবনে আমরা প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে ঝুঁকছি, যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অথচ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এমন কিছু ডায়েট পদ্ধতি রয়েছে, যেগুলো শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণেই নয়, বরং দীর্ঘায়ু, হৃদ্স্বাস্থ্য ও মানসিক সতেজতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধবও। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ও পরিবেশবান্ধব কিছু ডায়েট সম্পর্কে-
মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গবেষণালব্ধ ও প্রশংসিত ডায়েট এটি। গ্রিস, ইতালি ও স্পেনের মতো ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোর মানুষদের খাদ্যাভ্যাস থেকেই এই ডায়েটের উদ্ভব। এ ডায়েটে মূলত তাজা ফল, শাকসবজি, বাদাম, ডাল, সম্পূর্ণ শস্য, অলিভ অয়েল ও মাছের ওপর জোর দেওয়া হয়। লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খুব কম পরিমাণে খাওয়া হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস ও আলঝেইমারের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি এটি ত্বক ও হজম প্রক্রিয়াকেও উন্নত করে।
ড্যাশ ডায়েট
‘ডায়েটারি অ্যাপ্রোচেস টু স্টপ হাইপারটেনশন’ বা সংক্ষেপে ড্যাশ ডায়েট তৈরি হয়েছিল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে। এতে লবণ গ্রহণ কমিয়ে বেশি করে খাওয়া হয় ফল, সবজি, দুধ, দই, বাদাম ও সম্পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার। এই ডায়েট শুধু উচ্চ রক্তচাপ নয়, কোলেস্টেরল ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর। চিকিৎসকেরা এটি হৃদ্রোগীদের জন্য অন্যতম নিরাপদ খাদ্যপদ্ধতি হিসেবে সুপারিশ করেন।
ওকিনাওয়ান ডায়েট
জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপের মানুষেরা দীর্ঘায়ু বলে হিসেবে পরিচিত। তাদের গোপন রহস্য এই ডায়েটেই লুকিয়ে। ওকিনাওয়ান ডায়েটে প্রধানত থাকে মিষ্টি আলু, সবজি, সয়াজাত পণ্য (যেমন টোফু), মাছ ও সামুদ্রিক শৈবাল। এই খাবারগুলো ক্যালরি কম হলেও পুষ্টিতে ভরপুর। এ ডায়েট অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা শরীরের প্রদাহ ও বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে।

নর্ডিক ডায়েট
উত্তর ইউরোপের দেশগুলো যেমন ডেনমার্ক, সুইডেন ও নরওয়ের খাদ্যাভ্যাসের ভিত্তিতে তৈরি এই ডায়েট। এতে থাকে স্থানীয় ও মৌসুমি খাবার- যেমন বেরি ফল, রাই ব্রেড, মাছ, সবজি ও ক্যানোলা অয়েল। নর্ডিক ডায়েট পরিবেশবান্ধবও, কারণ এতে প্রক্রিয়াজাত খাবারের ব্যবহার কম। এটি রক্তের শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক বলে প্রমাণিত।
ফ্লেক্সিটারিয়ান ডায়েট
‘ফ্লেক্সিবল ভেজিটারিয়ান’ যোগ করে হয় ফ্লেক্সিটারিয়ান ডায়েট।এটি একধরনের ‘সেমি-ভেজিটেরিয়ান’ ডায়েট, যেখানে মাংস খাওয়া পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয় না, বরং সীমিত করা হয়। খাদ্যতালিকায় থাকে সবজি, ফল, ডাল, বাদাম ও মাঝে মাঝে সামান্য পরিমাণে মাছ বা মাংস। এই ডায়েট ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, শক্তি বাড়ায় এবং একইসঙ্গে শরীরকে প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করে।

বিশ্বের এসব ডায়েটের মূল দর্শন একটাই- প্রাকৃতিক, ভারসাম্যপূর্ণ ও সহজ খাবার। কোনো ডায়েটই ম্যাজিক নয়। এটি একধরনের স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অংশ। তাই শরীরের প্রয়োজন বুঝে, স্থানীয় উপাদান ব্যবহার করে নিজের জন্য উপযুক্ত ডায়েট বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের শুরু হয় সঠিক খাবার বেছে নেওয়ার মধ্য দিয়ে। ব্যস্ত জীবনে আমরা প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে ঝুঁকছি, যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অথচ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এমন কিছু ডায়েট পদ্ধতি রয়েছে, যেগুলো শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণেই নয়, বরং দীর্ঘায়ু, হৃদ্স্বাস্থ্য ও মানসিক সতেজতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধবও। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ও পরিবেশবান্ধব কিছু ডায়েট সম্পর্কে-
মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গবেষণালব্ধ ও প্রশংসিত ডায়েট এটি। গ্রিস, ইতালি ও স্পেনের মতো ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোর মানুষদের খাদ্যাভ্যাস থেকেই এই ডায়েটের উদ্ভব। এ ডায়েটে মূলত তাজা ফল, শাকসবজি, বাদাম, ডাল, সম্পূর্ণ শস্য, অলিভ অয়েল ও মাছের ওপর জোর দেওয়া হয়। লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খুব কম পরিমাণে খাওয়া হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস ও আলঝেইমারের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি এটি ত্বক ও হজম প্রক্রিয়াকেও উন্নত করে।
ড্যাশ ডায়েট
‘ডায়েটারি অ্যাপ্রোচেস টু স্টপ হাইপারটেনশন’ বা সংক্ষেপে ড্যাশ ডায়েট তৈরি হয়েছিল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে। এতে লবণ গ্রহণ কমিয়ে বেশি করে খাওয়া হয় ফল, সবজি, দুধ, দই, বাদাম ও সম্পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার। এই ডায়েট শুধু উচ্চ রক্তচাপ নয়, কোলেস্টেরল ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর। চিকিৎসকেরা এটি হৃদ্রোগীদের জন্য অন্যতম নিরাপদ খাদ্যপদ্ধতি হিসেবে সুপারিশ করেন।
ওকিনাওয়ান ডায়েট
জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপের মানুষেরা দীর্ঘায়ু বলে হিসেবে পরিচিত। তাদের গোপন রহস্য এই ডায়েটেই লুকিয়ে। ওকিনাওয়ান ডায়েটে প্রধানত থাকে মিষ্টি আলু, সবজি, সয়াজাত পণ্য (যেমন টোফু), মাছ ও সামুদ্রিক শৈবাল। এই খাবারগুলো ক্যালরি কম হলেও পুষ্টিতে ভরপুর। এ ডায়েট অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা শরীরের প্রদাহ ও বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে।

নর্ডিক ডায়েট
উত্তর ইউরোপের দেশগুলো যেমন ডেনমার্ক, সুইডেন ও নরওয়ের খাদ্যাভ্যাসের ভিত্তিতে তৈরি এই ডায়েট। এতে থাকে স্থানীয় ও মৌসুমি খাবার- যেমন বেরি ফল, রাই ব্রেড, মাছ, সবজি ও ক্যানোলা অয়েল। নর্ডিক ডায়েট পরিবেশবান্ধবও, কারণ এতে প্রক্রিয়াজাত খাবারের ব্যবহার কম। এটি রক্তের শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক বলে প্রমাণিত।
ফ্লেক্সিটারিয়ান ডায়েট
‘ফ্লেক্সিবল ভেজিটারিয়ান’ যোগ করে হয় ফ্লেক্সিটারিয়ান ডায়েট।এটি একধরনের ‘সেমি-ভেজিটেরিয়ান’ ডায়েট, যেখানে মাংস খাওয়া পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয় না, বরং সীমিত করা হয়। খাদ্যতালিকায় থাকে সবজি, ফল, ডাল, বাদাম ও মাঝে মাঝে সামান্য পরিমাণে মাছ বা মাংস। এই ডায়েট ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, শক্তি বাড়ায় এবং একইসঙ্গে শরীরকে প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করে।

বিশ্বের এসব ডায়েটের মূল দর্শন একটাই- প্রাকৃতিক, ভারসাম্যপূর্ণ ও সহজ খাবার। কোনো ডায়েটই ম্যাজিক নয়। এটি একধরনের স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অংশ। তাই শরীরের প্রয়োজন বুঝে, স্থানীয় উপাদান ব্যবহার করে নিজের জন্য উপযুক্ত ডায়েট বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন