আওয়ামী লীগকে ভেঙে দিতে এই রায়: শেখ হাসিনা

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগকে ভেঙে দিতে এই রায়: শেখ হাসিনা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার রায়ের পর প্রকাশিত পাঁচ পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিস্ক্রিয় করে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি পন্থা হচ্ছে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সোমবার প্রাণদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালেরও একই সাজা হয়েছে। অভ্যুত্থানের সময় দায়িত্বে থাকা আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ায় তাকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, “এমন একটি ট্রাইব্যুনাল যেখানে ন্যায্যভাবে অভিযোগ যাচাই ও পরীক্ষা করা হয়, সেখানে অভিযোগকারীদের মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না।”

শেখ হাসিনা বলেন, “এই রায় অন্তর্বর্তিকালীন সরকারে থাকা ব্যক্তিদের নির্লজ্জতা ও খুনি মনোভাবের প্রতিফলন মাত্র। বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করতে এবং আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক ভাবে ভেঙে দিতে এই কাজ করা হয়েছে।”

শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন এই অভিযোগগুলো হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যেতে।

বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে আনা ট্রাইবুনালের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করছি। গত বছরের জুলাই-আগস্টে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, সে জন্য আমি শোকাহত। কিন্তু আমি কিংবা কোনও রাজনৈতিক নেতা কখনোই কোনো আন্দোলনকারীকে হত্যা করার নির্দেশ দিইনি। আমাকে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগই দেওয়া হয়নি। এমনকি, নিজের পছন্দমতো আইনজীবীও বাছার সুযোগ দেওয়া হয়নি আমাকে। এই ট্রাইবুনাল পক্ষপাতদুষ্ট।”

সম্পর্কিত