
গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর হয়।

“একটা ব্যবসায়িক গোষ্ঠী যাদের নিজস্ব পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেল রয়েছে ওই জায়গাতে যারা সুস্থ সাংবাদিকতা করতে চাচ্ছেন তারাও অপসাংবাদিকতার শিকার হচ্ছেন।”

“জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জনগণের যে সার্বভৌম ক্ষমতা সেটার একমাত্র বৈধতা মুহাম্মদ ইউনূসেরই আছে। সেটা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুর নাই। ফলে সাংবিধানিক আদেশ যেটা সংবিধান বহির্ভূত হিসেবে দেওয়া লাগবে সেটা কোনভাবেই প্রেসিডেন্ট চুপ্পু দিতে পারবে না।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের যদি প্রতীক না থাকে তাহলে তো আমাদের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। আর অন্য কোনো প্রতীক তো আমরা নেব না, সেটা আমরা বলেছি। আমরা বলেছি, শাপলা কেন আমরা পাব না তার আইনি, সাংবিধানিক ব্যাখ্যা আমাদের দিলে তখন আমরা অন্য প্রতীকের বিষয়ে বিবেচনা করব।”

আজ বুধবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে এনসিপি ও সন্ধ্যা ৬টায় জামায়াতের সঙ্গে সরকারপ্রধানের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস।

নাহিদের ভাষ্য, “তবে এই বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা মনে করি, জুলাই সনদে স্বাক্ষর কেবল আনুষ্ঠানিকতা-এতে অংশগ্রহণ করা না করায় তেমন পার্থক্য নেই। বরং জনগণের সামনে বিষয়গুলো স্পষ্ট না করে সনদ স্বাক্ষরের আয়োজন করা এক ধরনের ছলচাতুরী মনে হবে।”

আখতার আহমেদ জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ১৯ অক্টোবরের মধ্যে বিকল্প প্রতীক জানাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা বিকল্প না জানালে, কমিশন নিজ বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবে।

ভোটের প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ না পেলে নিবন্ধন এবং আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এনসিপি। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন ও কয়েকটি সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে রাজপথে নামার ঘোষণাও দিয়েছে দলটি।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “এনসিপির নিবন্ধন হলে শাপলার মাধ্যমেই হবে। শাপলা ছাড়া এনসিপি নিবন্ধন নেবে না। নিবন্ধন না হলে এনসিপি নির্বাচনেও যাবে না।”

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “এনসিপির নিবন্ধন হলে শাপলার মাধ্যমেই হবে। শাপলা ছাড়া এনসিপি নিবন্ধন নেবে না। নিবন্ধন না হলে এনসিপি নির্বাচনেও যাবে না।”