চরচা প্রতিবেদক

নির্বাচনকালীন সহিংসতা রোধে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার এবং রিটেইনার (গানম্যান) নিয়োগের সুযোগ দিতে নীতিমালা জারি করেছে সরকার। সাধারণ নীতিমালায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার আয়কর দেওয়ার যে বাধ্যবাধকতার রয়েছে, এই বিশেষ ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।
সরকার বলছে, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আইনের শাসন নিশ্চিতে এই নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
আজ সোমবার এ নীতিমালা জারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিন দিন আগে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা হয়। এরপর জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধা, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেই ধারাবাহিকতায় এই নীতিমালার জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা নিশ্চিত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগে সরকার এই নীতিমালা জারি করেছে।
নীতিমালার আওতায় ‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ অর্থ, সরকার স্বীকৃত বর্তমান বা সাবেক উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং ‘পদপ্রার্থী’ অর্থ, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী এটা পাবেন।
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সরকার স্বীকৃত রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে হবে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থা) কর্তৃক যাচাইকৃত নিরাপত্তাঝুঁকি থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা থাকতে হবে এবং অস্ত্র সংরক্ষণের নিরাপদ ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিদ্যমান আইনে
এই নীতিমালার আওতায় অনুমোদিত লাইসেন্সের মেয়াদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার তারিখ থেকে পরের ১৫ দিন হবে। ওই সময়ের পর লাইসেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে। নীতিমালার অন্যান্য শর্ত পূরণ হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সাময়িক লাইসেন্সকে সাধারণ লাইসেন্সে রূপান্তর করতে পারবে।
কোনো রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা নির্বাচনের প্রার্থী লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য হলে এবং তিনি আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে অসমর্থ হলে বা অনিচ্ছুক হলে বৈধ লাইসেন্সসহ আগ্নেয়াস্ত্র আছে, তা পরিচালনায় সক্ষম এবং কোনো রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পদপ্রার্থীর রিটেইনার হতে ইচ্ছুক এমন কোনো ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ রিটেইনার নিয়োগ করতে পারবেন। সেজন্য লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
রিটেইনার বা গানম্যানের বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে। বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে। অপরাধমুক্ত থাকার রেকর্ড ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে। সরকারি হাসপাতাল থেকে পাওয়া ফিটনেস সনদ থাকতে হবে।
রিটেইনারকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, সশস্ত্রবাহিনী বা পুলিশের সদস্যরা এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। লাইসেন্সের মেয়াদ শেষে রিটেইনারের মেয়াদও শেষ হবে।

নির্বাচনকালীন সহিংসতা রোধে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার এবং রিটেইনার (গানম্যান) নিয়োগের সুযোগ দিতে নীতিমালা জারি করেছে সরকার। সাধারণ নীতিমালায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার আয়কর দেওয়ার যে বাধ্যবাধকতার রয়েছে, এই বিশেষ ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।
সরকার বলছে, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আইনের শাসন নিশ্চিতে এই নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
আজ সোমবার এ নীতিমালা জারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিন দিন আগে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা হয়। এরপর জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধা, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেই ধারাবাহিকতায় এই নীতিমালার জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা নিশ্চিত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগে সরকার এই নীতিমালা জারি করেছে।
নীতিমালার আওতায় ‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ অর্থ, সরকার স্বীকৃত বর্তমান বা সাবেক উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং ‘পদপ্রার্থী’ অর্থ, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী এটা পাবেন।
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সরকার স্বীকৃত রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে হবে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থা) কর্তৃক যাচাইকৃত নিরাপত্তাঝুঁকি থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা থাকতে হবে এবং অস্ত্র সংরক্ষণের নিরাপদ ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিদ্যমান আইনে
এই নীতিমালার আওতায় অনুমোদিত লাইসেন্সের মেয়াদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার তারিখ থেকে পরের ১৫ দিন হবে। ওই সময়ের পর লাইসেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে। নীতিমালার অন্যান্য শর্ত পূরণ হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সাময়িক লাইসেন্সকে সাধারণ লাইসেন্সে রূপান্তর করতে পারবে।
কোনো রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা নির্বাচনের প্রার্থী লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য হলে এবং তিনি আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে অসমর্থ হলে বা অনিচ্ছুক হলে বৈধ লাইসেন্সসহ আগ্নেয়াস্ত্র আছে, তা পরিচালনায় সক্ষম এবং কোনো রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পদপ্রার্থীর রিটেইনার হতে ইচ্ছুক এমন কোনো ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ রিটেইনার নিয়োগ করতে পারবেন। সেজন্য লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
রিটেইনার বা গানম্যানের বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে। বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে। অপরাধমুক্ত থাকার রেকর্ড ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে। সরকারি হাসপাতাল থেকে পাওয়া ফিটনেস সনদ থাকতে হবে।
রিটেইনারকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, সশস্ত্রবাহিনী বা পুলিশের সদস্যরা এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। লাইসেন্সের মেয়াদ শেষে রিটেইনারের মেয়াদও শেষ হবে।