চরচা প্রতিবেদক

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ ঘটনার পেছনে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।
আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশটির আয়োজন করা হয় হাদি ও এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং এর দ্রুত বিচারের দাবিতে।
এ সময় রিজভী বলেন, ‘‘আজকে পুলিশ কমিশনার বলছে, যে হত্যাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে, জামায়াত-শিবিরের লোক। এটি বিএনপির কোনো লোকের বিবৃতি নয়। এটা যারা স্বীকৃত তদন্তকারী সংস্থা এবং রাষ্ট্রের আইনের দায়িত্বে রয়েছেন, তারা বলছেন।’’
তবে হাদির ওপর হামলাকারী নিয়ে পুলিশ কমিশনার সর্বশেষ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে কোনো দলের নাম উল্লেখ করা হয়নি। রাজারবাগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় দেওয়া বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, ‘‘আমরা প্রাইম সাসপেক্টকে খুঁজতেছি। হোপফুলি আমরা হিট করতে পারব। আমরা জনগণের সহযোগিতা চাইছি।’’
এ ছাড়া ডিএমপি বলছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর ন্যক্কারজনক হামলা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে উদ্বৃত করে কে বা কারা অসৎ উদ্দেশে একটি ফটোকার্ড তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরির ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। সর্বসাধারণকে এসব গুজব ও মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, হামলার ঘটনার মাত্র এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যেখানে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ইঙ্গিত করে আপত্তিকর ও মানহানিকর মন্তব্য করা হয়। এটি একটি গভীর উদ্দেশ্যমূলক ষড়যন্ত্র।
রিজভী প্রশ্ন তুলে বলেন, ঘটনার এত অল্প সময়ের মধ্যে যদি ফেসবুকে দোষী নির্ধারণ করে ফেলা হয়, তাহলে তদন্তের প্রয়োজন কোথায়? এটি কি ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাইনি’ ধরনের অবস্থা নয়?
একটি সংগঠিত মহল সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায় চাপাতে এই হামলার নকশা তৈরি করেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এই মাস্টারপ্ল্যান এখন ধীরে ধীরে দিনের আলোতে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। জনগণ বুঝে গেছে, প্রশাসনও বুঝে গেছে—কারা এই ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের নায়ক।
এদিকে এই বক্তব্যের জন্য রিজভীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘‘আওয়ামী প্রোপাগাণ্ডা সেল কর্তৃক প্রচারিত এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী শরীফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীর সাথে আমাকে জড়িয়ে অপতথ্য ছড়িয়েছেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাকে নিয়ে আজকে বিএনপির সমাবেশে জনাব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যে ভুয়া ছবি নির্ভর যে মিথ্যা অভিযোগ (আমার সাথে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন দাবিতে) তুলেছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভী নিজেকে অপতথ্য ছড়ানোর অপরাধ থেকে দায়মুক্ত করার আহবান জানাচ্ছি।’’

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ ঘটনার পেছনে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।
আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশটির আয়োজন করা হয় হাদি ও এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং এর দ্রুত বিচারের দাবিতে।
এ সময় রিজভী বলেন, ‘‘আজকে পুলিশ কমিশনার বলছে, যে হত্যাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে, জামায়াত-শিবিরের লোক। এটি বিএনপির কোনো লোকের বিবৃতি নয়। এটা যারা স্বীকৃত তদন্তকারী সংস্থা এবং রাষ্ট্রের আইনের দায়িত্বে রয়েছেন, তারা বলছেন।’’
তবে হাদির ওপর হামলাকারী নিয়ে পুলিশ কমিশনার সর্বশেষ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে কোনো দলের নাম উল্লেখ করা হয়নি। রাজারবাগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় দেওয়া বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, ‘‘আমরা প্রাইম সাসপেক্টকে খুঁজতেছি। হোপফুলি আমরা হিট করতে পারব। আমরা জনগণের সহযোগিতা চাইছি।’’
এ ছাড়া ডিএমপি বলছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর ন্যক্কারজনক হামলা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে উদ্বৃত করে কে বা কারা অসৎ উদ্দেশে একটি ফটোকার্ড তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরির ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। সর্বসাধারণকে এসব গুজব ও মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, হামলার ঘটনার মাত্র এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যেখানে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ইঙ্গিত করে আপত্তিকর ও মানহানিকর মন্তব্য করা হয়। এটি একটি গভীর উদ্দেশ্যমূলক ষড়যন্ত্র।
রিজভী প্রশ্ন তুলে বলেন, ঘটনার এত অল্প সময়ের মধ্যে যদি ফেসবুকে দোষী নির্ধারণ করে ফেলা হয়, তাহলে তদন্তের প্রয়োজন কোথায়? এটি কি ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাইনি’ ধরনের অবস্থা নয়?
একটি সংগঠিত মহল সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায় চাপাতে এই হামলার নকশা তৈরি করেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এই মাস্টারপ্ল্যান এখন ধীরে ধীরে দিনের আলোতে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। জনগণ বুঝে গেছে, প্রশাসনও বুঝে গেছে—কারা এই ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের নায়ক।
এদিকে এই বক্তব্যের জন্য রিজভীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘‘আওয়ামী প্রোপাগাণ্ডা সেল কর্তৃক প্রচারিত এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী শরীফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীর সাথে আমাকে জড়িয়ে অপতথ্য ছড়িয়েছেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাকে নিয়ে আজকে বিএনপির সমাবেশে জনাব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যে ভুয়া ছবি নির্ভর যে মিথ্যা অভিযোগ (আমার সাথে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন দাবিতে) তুলেছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভী নিজেকে অপতথ্য ছড়ানোর অপরাধ থেকে দায়মুক্ত করার আহবান জানাচ্ছি।’’