চরচা ডেস্ক

আধুনিক জীবনযাত্রায় অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং পরিবেশ দূষণের ফলে নারীদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিরিয়ডের অনিয়ম, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস), থাইরয়েডের সমস্যা কিংবা মেনোপজ পরবর্তী জটিলতা, সবকিছুর মূলেই রয়েছে হরমোনের কারসাজি। এই সমস্যার সমাধানে ইদানীং পুষ্টিবিদরা ওষুধের চেয়ে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন। আর এই তালিকায় সমাধান হিসেবে উঠে এসেছে নতুন ওয়েলনেস ট্রেন্ড ‘সিড সাইক্লিং’ (Seed Cycling)।
বীজ কেন কার্যকর?
বর্তমানে স্বাস্থ্যসচেতনদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় তিল, সূর্যমুখী, কুমড়ো, তিসির বীজ। এসব বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন-ই ও লিগনানস। লিগনানস হলো এক ধরনের প্রাকৃতিক ফাইটো-ইস্ট্রোজেন যা শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বেশি থাকলে তা কমাতে সাহায্য করে এবং কম থাকলে তা পূরণ করতে কাজ করে।
সিড সাইক্লিং (Seed Cycling) কী?
নারীদের মাসিক চক্রের দুটি প্রধান পর্যায় থাকে-ফলিকুলার ফেজ এবং লুটিয়াল ফেজ। এই দুই ধাপে নির্দিষ্ট কিছু বীজ খেলে হরমোনের সঠিক নিঃসরণ ঘটে।
প্রথম ধাপ: ফলিকুলার ফেজ (১ম দিন থেকে ১৪তম দিন)
মাসিকের প্রথম দিন থেকে ডিম্বস্ফুটন পর্যন্ত শরীরকে পর্যাপ্ত ইস্ট্রোজেন তৈরি করতে হয়। এই সময়ে কুমড়োর বীজ এবং তিসি বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তিসি বীজে থাকা লিগনানস ইস্ট্রোজেনকে নিয়ন্ত্রণ করে। কুমড়োর বীজ এটি জিংক সমৃদ্ধ। এটি প্রজেস্টেরন হরমোন তৈরির প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করে এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
দ্বিতীয় ধাপ: লুটিয়াল ফেজ (১৫তম দিন থেকে ২৮তম দিন)
ডিম্বস্ফুটনের পর থেকে পরবর্তী মাসিকের আগ পর্যন্ত প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া জরুরি। এই সময়ে সূর্যমুখীর বীজ এবং তিল জাদুকরী ভূমিকা পালন করে।
সূর্যমুখীর বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই এবং সেলেনিয়াম থাকে। লিভারকে ডিটক্স করতে এবং প্রজেস্টেরন উৎপাদনে সহায়তা করে।

তিলে থাকা ক্যালসিয়াম ও লিগনানস ইস্ট্রোজেনের মাত্রা খুব বেশি বাড়তে দেয় না, যা পিএমএস (PMS) বা মাসিকের আগের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
বীজের আরও কিছু উপকারিতা
শুধু সিড সাইক্লিং নয়, সাধারণ খাদ্যতালিকায় নিয়মিত বীজ রাখলে আরও কিছু সুবিধা পাওয়া যায়:
মেটাবলিজম বৃদ্ধি
চিয়া সিড এবং শিয়া বীজে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
মানসিক প্রশান্তি
এখানে উল্লেখিত সব ধরণের বীজে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। এটি স্ট্রেস হরমোন 'কর্টিসল' কমিয়ে মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নে
বীজে বিদ্যমান ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড হরমোনাল ব্রণের সমস্যা দূর করে ত্বককে ভেতর থেকে সতেজ রাখে।
যেভাবে খাবেন
বীজগুলো কাঁচা বা হালকা টেলে নিয়ে গুঁড়ো করে খাওয়া সবচেয়ে কার্যকর। প্রতিদিন ১-২ টেবিল চামচ বীজ সালাদ, দই, স্মুদি বা ওটমিলের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখা জরুরি, যেকোনো প্রাকৃতিক প্রতিকার কাজ করতে অন্তত ৩-৪ মাস সময় নেয়। তাই ধৈর্য ধরে নিয়মিত এটি চালিয়ে যেতে হবে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন, মেডিকেল নিউজ

আধুনিক জীবনযাত্রায় অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং পরিবেশ দূষণের ফলে নারীদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিরিয়ডের অনিয়ম, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস), থাইরয়েডের সমস্যা কিংবা মেনোপজ পরবর্তী জটিলতা, সবকিছুর মূলেই রয়েছে হরমোনের কারসাজি। এই সমস্যার সমাধানে ইদানীং পুষ্টিবিদরা ওষুধের চেয়ে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন। আর এই তালিকায় সমাধান হিসেবে উঠে এসেছে নতুন ওয়েলনেস ট্রেন্ড ‘সিড সাইক্লিং’ (Seed Cycling)।
বীজ কেন কার্যকর?
বর্তমানে স্বাস্থ্যসচেতনদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় তিল, সূর্যমুখী, কুমড়ো, তিসির বীজ। এসব বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন-ই ও লিগনানস। লিগনানস হলো এক ধরনের প্রাকৃতিক ফাইটো-ইস্ট্রোজেন যা শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বেশি থাকলে তা কমাতে সাহায্য করে এবং কম থাকলে তা পূরণ করতে কাজ করে।
সিড সাইক্লিং (Seed Cycling) কী?
নারীদের মাসিক চক্রের দুটি প্রধান পর্যায় থাকে-ফলিকুলার ফেজ এবং লুটিয়াল ফেজ। এই দুই ধাপে নির্দিষ্ট কিছু বীজ খেলে হরমোনের সঠিক নিঃসরণ ঘটে।
প্রথম ধাপ: ফলিকুলার ফেজ (১ম দিন থেকে ১৪তম দিন)
মাসিকের প্রথম দিন থেকে ডিম্বস্ফুটন পর্যন্ত শরীরকে পর্যাপ্ত ইস্ট্রোজেন তৈরি করতে হয়। এই সময়ে কুমড়োর বীজ এবং তিসি বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তিসি বীজে থাকা লিগনানস ইস্ট্রোজেনকে নিয়ন্ত্রণ করে। কুমড়োর বীজ এটি জিংক সমৃদ্ধ। এটি প্রজেস্টেরন হরমোন তৈরির প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করে এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
দ্বিতীয় ধাপ: লুটিয়াল ফেজ (১৫তম দিন থেকে ২৮তম দিন)
ডিম্বস্ফুটনের পর থেকে পরবর্তী মাসিকের আগ পর্যন্ত প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া জরুরি। এই সময়ে সূর্যমুখীর বীজ এবং তিল জাদুকরী ভূমিকা পালন করে।
সূর্যমুখীর বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই এবং সেলেনিয়াম থাকে। লিভারকে ডিটক্স করতে এবং প্রজেস্টেরন উৎপাদনে সহায়তা করে।

তিলে থাকা ক্যালসিয়াম ও লিগনানস ইস্ট্রোজেনের মাত্রা খুব বেশি বাড়তে দেয় না, যা পিএমএস (PMS) বা মাসিকের আগের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
বীজের আরও কিছু উপকারিতা
শুধু সিড সাইক্লিং নয়, সাধারণ খাদ্যতালিকায় নিয়মিত বীজ রাখলে আরও কিছু সুবিধা পাওয়া যায়:
মেটাবলিজম বৃদ্ধি
চিয়া সিড এবং শিয়া বীজে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
মানসিক প্রশান্তি
এখানে উল্লেখিত সব ধরণের বীজে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। এটি স্ট্রেস হরমোন 'কর্টিসল' কমিয়ে মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নে
বীজে বিদ্যমান ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড হরমোনাল ব্রণের সমস্যা দূর করে ত্বককে ভেতর থেকে সতেজ রাখে।
যেভাবে খাবেন
বীজগুলো কাঁচা বা হালকা টেলে নিয়ে গুঁড়ো করে খাওয়া সবচেয়ে কার্যকর। প্রতিদিন ১-২ টেবিল চামচ বীজ সালাদ, দই, স্মুদি বা ওটমিলের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখা জরুরি, যেকোনো প্রাকৃতিক প্রতিকার কাজ করতে অন্তত ৩-৪ মাস সময় নেয়। তাই ধৈর্য ধরে নিয়মিত এটি চালিয়ে যেতে হবে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন, মেডিকেল নিউজ