এনসিপি নেতাকে গুলি, নেপথ্যে কি মাদক?

সামদানী হক নাজুম, ঢাকা
সামদানী হক নাজুম, ঢাকা
এনসিপি নেতাকে গুলি, নেপথ্যে কি মাদক?
মোতালেব শিকদার। ছবি: ফেসবুক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা মোতালেব শিকদারের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মাদক-সংশ্লিষ্ট বিরোধের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া মাদক এবং গুলির খোসাকে আলামত হিসেবে ধরে নিয়ে এমন ধারণা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

এনসিপি নেতা মোতালেব শিকদার শ্রমিক শক্তির খুলনা বিভাগীয় প্রধান ও এনসিপি শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক। আজ সোমবার দপুরে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার একটি বাসায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

বুলেটের আঘাতে মোতালেবের কানের পাশের চামড়া এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে গেছে। তবে তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।

র‍্যাবের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা চরচাকে জানান, দুপুরে একটি বাসায় গুলিবিদ্ধ হন এনসিপি নেতা। সে বাসাটি এক তরুণী ১ মাস আগে ভাড়া নেন। এ বাসায় নিয়মিত যাতাযাত করতেন এনসিপি নেতা মোতালেব। হামলার পর রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি নিজেই ওই বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে আশপাশের মানুষ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এদিকে ঘটনার পর সোনাডাঙ্গা এলাকার আল আকসা মসজিদের পাশের ওই বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে সেখানে ইয়াবা সেবনের আলামত মিলেছে। বাসাটি থেকে উদ্ধার হয় বেশ কয়েক পিস ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক। সেখান থেকে একটি বুলেটের খোসাও উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, এক মাস আগে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুই যুবক-যুবতী বাসাটি ভাড়া নেন। ঘটনার পরপরই তারা দুজন বাসা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান। এ বাসায় এনসিপি নেতা মোতালেব কেন নিয়মিত যাতায়াত করতেন, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

মোতালেবের ওপর হামলার সঙ্গে মাদক ও নারী-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের যোগ থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম চরচাকে বলেন, “হামলার শিকার এনসিপি নেতা এখন আশঙ্কামুক্ত। যে বাসায় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, সে বাসায় অভিযান চালিয়ে নানা ধরনের মাদক সেবনের আলামত মিলেছে। গুলির খোসাও উদ্ধার হয়েছে। এমন একটি জায়গায় এই এনসিপি নেতা কেন নিয়মিত যাতায়াত করতেন, সেটা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এই বাসায় যে দুই নারী-পুরুষ থাকতেন, তারা পলাতক। তাদের ধরার চেষ্টাও অব্যাহত আছে।”

সম্পর্কিত