চরচা প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে জনসমাবেশে বরণ করে নিয়েছে বিএনপি। ঢাকার উপকণ্ঠে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে তারেক রহমানের সংবর্ধনায় জনস্রোত ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচন সামনে রেখে এ জনস্রোত তার জন্য যেমন আশার, তেমনি চ্যালেঞ্জেরও বটে।
তারেক রহমান এমন একটা সময়ে ফিরলেন, যখন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর দুই মাস বাকি। ফলে তার উপস্থিতি বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছে। ব্রাসেলস থেকে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) বুধবার তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংস্থাটির বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বিষয়ক সিনিয়র কনসালট্যান্ট টমাস কিন তার লেখায় তারেক রহমানের ফেরা ও বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর এর প্রভাব নিজের পর্যবেক্ষণে তুলে ধরেছেন।
টমাস কিনের মতে, “গত জুনে নির্বাচনের রূপরেখা এবং সাংবিধানিক সংস্কারের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছান তারেক রহমান, যা মূলত তার ফেরার পথ প্রশস্ত করে।”
তারেক রহমান সম্পর্কে কিন লিখেছেন, “তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির এক প্রভাবশালী উত্তরসূরি। তিনি প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (যিনি ১৯৮১ সালে আততায়ীর হাতে নিহত হন) এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান। অসুস্থ খালেদা জিয়া এখনো বিএনপির নেতৃত্বে থাকলেও প্রায় এক দশক আগে লন্ডন থেকেই দলের মূল হাল ধরেন তারেক রহমান।”
তারেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে কিনের পর্যবেক্ষণ, “প্রবাস থেকেই তিনি দক্ষতার সাথে দল পরিচালনা করেছেন—যার অন্যতম উদাহরণ ছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দলের ভাঙন রোধ করা। মাঠপর্যায়ের কর্মীরাও তার প্রতি প্রচণ্ড অনুগত।”
তবে ১৭ বছর পর দেশে ফিরে তারেক রহমান রাজনীতির মাঠে যেসব সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারেন, সেটিও নিজের লেখায় তুলে ধরেছেন তিনি। তার মতে, “ভৌগোলিক দূরত্ব তাকে বাংলাদেশের সরাসরি সংঘাতময় রাজনীতির ঝক্কি থেকে এতদিন আড়ালে রেখেছিল। তার রাজনৈতিক জীবনের পরবর্তী ধাপের সফলতা নির্ভর করবে তিনি তরুণ ভোটারদের মন জয় করতে পারেন কি না, দলের পক্ষ থেকে তার রাজনৈতিক বার্তা কেমন হবে, সেটির ওপর। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনায়ন নিয়ে বিএনপি কোন্দলে জর্জরিত। নিজের দলকে ঐক্যবদ্ধ করাও তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে দেশের বর্তমান অস্থির সময় থেকে বেরিয়ে জাতিকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাতে পারবেন কিনা, তার ওপর তারেক রহমানের রাজনৈতিক সফলতা নির্ভর করবে অনেকটাই।”
বিএনপিকে নিয়ে তারেক রহমানের কিছু করণীয় নিয়ে টমাস কিন নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন আইসিজির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তার বিশ্লেষণটিতে, “তারেক রহমানের ফেরা বিএনপির জন্য বড় উদ্দীপনা হলেও ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে দলটির জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জে দৃশ্যমান। চাঁদাবাজি ও সহিংসতার অনেক অভিযোগ আছে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও এ নিয়ে ‘অপপ্রচার’আছে বলে মনে করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। তবে এর কারণেও এক সময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র জামায়াতে ইসলামীর প্রতি প্রথাগত রাজনীতিতে বীতশ্রদ্ধ তরুণ প্রজন্মের সমর্থন ক্রমশই বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে।”
কিন লিখেছেন, “বিএনপি এখনো জয়ের ব্যাপারে ফেবারিট হলেও, অল্প ব্যবধানে জয়কে বিএনপি সমর্থকেরা ভালো ফলাফল হিসেবে দেখবে না। বিএনপির জন্য এর বিপদটা হলো–এটি জামায়াতকে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেবে।”

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে জনসমাবেশে বরণ করে নিয়েছে বিএনপি। ঢাকার উপকণ্ঠে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে তারেক রহমানের সংবর্ধনায় জনস্রোত ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচন সামনে রেখে এ জনস্রোত তার জন্য যেমন আশার, তেমনি চ্যালেঞ্জেরও বটে।
তারেক রহমান এমন একটা সময়ে ফিরলেন, যখন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর দুই মাস বাকি। ফলে তার উপস্থিতি বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছে। ব্রাসেলস থেকে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) বুধবার তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংস্থাটির বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বিষয়ক সিনিয়র কনসালট্যান্ট টমাস কিন তার লেখায় তারেক রহমানের ফেরা ও বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর এর প্রভাব নিজের পর্যবেক্ষণে তুলে ধরেছেন।
টমাস কিনের মতে, “গত জুনে নির্বাচনের রূপরেখা এবং সাংবিধানিক সংস্কারের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছান তারেক রহমান, যা মূলত তার ফেরার পথ প্রশস্ত করে।”
তারেক রহমান সম্পর্কে কিন লিখেছেন, “তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির এক প্রভাবশালী উত্তরসূরি। তিনি প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (যিনি ১৯৮১ সালে আততায়ীর হাতে নিহত হন) এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান। অসুস্থ খালেদা জিয়া এখনো বিএনপির নেতৃত্বে থাকলেও প্রায় এক দশক আগে লন্ডন থেকেই দলের মূল হাল ধরেন তারেক রহমান।”
তারেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে কিনের পর্যবেক্ষণ, “প্রবাস থেকেই তিনি দক্ষতার সাথে দল পরিচালনা করেছেন—যার অন্যতম উদাহরণ ছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দলের ভাঙন রোধ করা। মাঠপর্যায়ের কর্মীরাও তার প্রতি প্রচণ্ড অনুগত।”
তবে ১৭ বছর পর দেশে ফিরে তারেক রহমান রাজনীতির মাঠে যেসব সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারেন, সেটিও নিজের লেখায় তুলে ধরেছেন তিনি। তার মতে, “ভৌগোলিক দূরত্ব তাকে বাংলাদেশের সরাসরি সংঘাতময় রাজনীতির ঝক্কি থেকে এতদিন আড়ালে রেখেছিল। তার রাজনৈতিক জীবনের পরবর্তী ধাপের সফলতা নির্ভর করবে তিনি তরুণ ভোটারদের মন জয় করতে পারেন কি না, দলের পক্ষ থেকে তার রাজনৈতিক বার্তা কেমন হবে, সেটির ওপর। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনায়ন নিয়ে বিএনপি কোন্দলে জর্জরিত। নিজের দলকে ঐক্যবদ্ধ করাও তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে দেশের বর্তমান অস্থির সময় থেকে বেরিয়ে জাতিকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাতে পারবেন কিনা, তার ওপর তারেক রহমানের রাজনৈতিক সফলতা নির্ভর করবে অনেকটাই।”
বিএনপিকে নিয়ে তারেক রহমানের কিছু করণীয় নিয়ে টমাস কিন নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন আইসিজির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তার বিশ্লেষণটিতে, “তারেক রহমানের ফেরা বিএনপির জন্য বড় উদ্দীপনা হলেও ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে দলটির জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জে দৃশ্যমান। চাঁদাবাজি ও সহিংসতার অনেক অভিযোগ আছে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও এ নিয়ে ‘অপপ্রচার’আছে বলে মনে করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। তবে এর কারণেও এক সময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র জামায়াতে ইসলামীর প্রতি প্রথাগত রাজনীতিতে বীতশ্রদ্ধ তরুণ প্রজন্মের সমর্থন ক্রমশই বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে।”
কিন লিখেছেন, “বিএনপি এখনো জয়ের ব্যাপারে ফেবারিট হলেও, অল্প ব্যবধানে জয়কে বিএনপি সমর্থকেরা ভালো ফলাফল হিসেবে দেখবে না। বিএনপির জন্য এর বিপদটা হলো–এটি জামায়াতকে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেবে।”