ফজলে রাব্বি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে গঠিত সমমনা আট দলের জোটে আসন সমঝোতা নিয়ে চলছে জটিল হিসাব-নিকাশ। এই জোট হচ্ছে না বলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও আট দলের একটি ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার জানা গেছে, তারা জামায়াতের সঙ্গে জোটে নাও থাকতে পারেন।
জানা যায়, আসন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হলেও এখনো একক প্রার্থী নির্ধারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট লিয়াজোঁ কমিটি।
চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের নেতৃত্বাধীন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন এবং মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস তুলনামূলকভাবে বেশি সংখ্যক আসনের দাবি জানানোয় এই জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। দাবি পূরণ না হলে বিকল্প জোট কিংবা আলাদা প্ল্যাটফর্মে নির্বাচনে যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছে দল দুটি।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া চরচাকে বলেন, ‘‘না না, থাকতেছি না–এমন কংক্রিট কোনো ডিসিশন হয় নাই। আলাপ আলোচনা চলতেছে আরকি, আসন ভাগাভাগির বিষয়ে। জোট থাকতে পারে, নাও থাকতে পারে। ভিন্ন সিদ্ধান্তও হতে পারে। এটা কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না।”
আসন ভাগাভাগির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে একটা সম্মানজনক স্থানে পৌঁছানো দরকার। আমরা হতাশ না এখনো। আমরা তো চাইতেছি, সেটা নিয়ে আলাপ–আলোচনা চলছে।”
জামায়াতের কাছে কতটি আসন চাওয়া হয়েছে–এ ব্যাপারে হারুনুর রশিদ বলেন, ‘‘আমাদের আসন চাওয়ার তালিকা তো একটা না, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের। কখনো গেছে ৯২ (আসন), কখনো গেছে ৪৫, কখনো গেছে ৩০। এটার আলোচনা চলছে।”
তবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ জোট ছাড়ার খবরকে গুজব বলে জানিয়েছেন। জোটের সব দল সম্মানজনক আসনে লড়ার সুযোগের বিষয়টা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই নেতা বলেন, জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। জোটে চিড় ধরলে সেজন্য বড় দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী দায়ী থাকবে বলেও মন্তব্য করেন এই নেতা।
অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতসহ আট ইসলামি দলের যে মোর্চা তৈরি হয়েছে, এর মধ্যে জামায়াত প্রার্থী দিতে চায়। অন্যদিকে এনিসিপি নতুন করে জোটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আলোচনার শুরুতেই ৫০টি আসন নিয়ে দেন দরবার শুরু করেছে। আর জামায়াত একাই ২০০ আসনে প্রার্থী দিতে চায়।
দীর্ঘদিন ধরেই জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাগপা ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি আসন সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার উদ্যোগ চালিয়ে আসছে। ইসলামী দলগুলোর ভোট একত্রিত করে সরকার গঠনের লক্ষ্য থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই উদ্যোগ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
এদিকে চলমান এই জটিলতার মধ্যেই আলোচনায় এসেছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিতে দলটি অন্তত ৫০টি আসনের প্রত্যাশা করছে বলে জানা গেছে। শেষ পর্যন্ত তারা ৩০টিতে নামতে পারে। এনসিপি যুক্ত হলে অন্যান্য দলকেও আরও ছাড় দিতে হবে, যা সমঝোতা প্রক্রিয়াকে আরও কঠিন করে তুলছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে গঠিত সমমনা আট দলের জোটে আসন সমঝোতা নিয়ে চলছে জটিল হিসাব-নিকাশ। এই জোট হচ্ছে না বলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও আট দলের একটি ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার জানা গেছে, তারা জামায়াতের সঙ্গে জোটে নাও থাকতে পারেন।
জানা যায়, আসন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হলেও এখনো একক প্রার্থী নির্ধারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট লিয়াজোঁ কমিটি।
চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের নেতৃত্বাধীন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন এবং মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস তুলনামূলকভাবে বেশি সংখ্যক আসনের দাবি জানানোয় এই জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। দাবি পূরণ না হলে বিকল্প জোট কিংবা আলাদা প্ল্যাটফর্মে নির্বাচনে যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছে দল দুটি।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া চরচাকে বলেন, ‘‘না না, থাকতেছি না–এমন কংক্রিট কোনো ডিসিশন হয় নাই। আলাপ আলোচনা চলতেছে আরকি, আসন ভাগাভাগির বিষয়ে। জোট থাকতে পারে, নাও থাকতে পারে। ভিন্ন সিদ্ধান্তও হতে পারে। এটা কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না।”
আসন ভাগাভাগির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে একটা সম্মানজনক স্থানে পৌঁছানো দরকার। আমরা হতাশ না এখনো। আমরা তো চাইতেছি, সেটা নিয়ে আলাপ–আলোচনা চলছে।”
জামায়াতের কাছে কতটি আসন চাওয়া হয়েছে–এ ব্যাপারে হারুনুর রশিদ বলেন, ‘‘আমাদের আসন চাওয়ার তালিকা তো একটা না, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের। কখনো গেছে ৯২ (আসন), কখনো গেছে ৪৫, কখনো গেছে ৩০। এটার আলোচনা চলছে।”
তবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ জোট ছাড়ার খবরকে গুজব বলে জানিয়েছেন। জোটের সব দল সম্মানজনক আসনে লড়ার সুযোগের বিষয়টা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই নেতা বলেন, জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। জোটে চিড় ধরলে সেজন্য বড় দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী দায়ী থাকবে বলেও মন্তব্য করেন এই নেতা।
অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতসহ আট ইসলামি দলের যে মোর্চা তৈরি হয়েছে, এর মধ্যে জামায়াত প্রার্থী দিতে চায়। অন্যদিকে এনিসিপি নতুন করে জোটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আলোচনার শুরুতেই ৫০টি আসন নিয়ে দেন দরবার শুরু করেছে। আর জামায়াত একাই ২০০ আসনে প্রার্থী দিতে চায়।
দীর্ঘদিন ধরেই জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাগপা ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি আসন সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার উদ্যোগ চালিয়ে আসছে। ইসলামী দলগুলোর ভোট একত্রিত করে সরকার গঠনের লক্ষ্য থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই উদ্যোগ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
এদিকে চলমান এই জটিলতার মধ্যেই আলোচনায় এসেছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিতে দলটি অন্তত ৫০টি আসনের প্রত্যাশা করছে বলে জানা গেছে। শেষ পর্যন্ত তারা ৩০টিতে নামতে পারে। এনসিপি যুক্ত হলে অন্যান্য দলকেও আরও ছাড় দিতে হবে, যা সমঝোতা প্রক্রিয়াকে আরও কঠিন করে তুলছে।