গুজব ছড়ানোর দায়িত্ব কি জিল্লুর নিয়েছেন, প্রশ্ন প্রেস সচিবের

চরচা ডেস্ক
চরচা ডেস্ক
গুজব ছড়ানোর দায়িত্ব কি জিল্লুর নিয়েছেন, প্রশ্ন প্রেস সচিবের

সংসদ নির্বাচন নিয়ে টিভি উপস্থাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিল্লুর রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, অপতথ্য সরবরাহকারীদের জায়গা জিল্লুর নিয়েছেন কি না?

সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জিল্লুর রহমান বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান সরকারের অধীনে তিনি কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না। যদি কোনো নির্বাচন হয়ও, সেটা একটি ‘ফার্সিকাল ইলেকশন’ অর্থাৎ প্রহসনমূলক নির্বাচন হবে।

তার এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক পোস্টে বলেন, “জিল্লুর রহমান বলছেন যে, তিনি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে দেখছেন না। কিন্তু আমরা দেখছি। বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন কয়েক দিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করবে।”

শফিকুল আরও বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত নয় সেই দাবি করা এক ধরনের বাড়াবাড়ি বা অতিরিক্ত প্রচারণা। কারণ বেশিরভাগ দলের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে এবং তারা প্রার্থীও ঘোষণা করেছে। তার মতে জুলাই সনদ একটি নতুন রাজনৈতিক ভিত্তি হিসবে গৃহীত হয়েছে এবং দেশের নাগরিক নির্বাচনের দিন গণভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

প্রেস সচিবের ফেসবুক পোস্ট
প্রেস সচিবের ফেসবুক পোস্ট

জিল্লুর রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তিনি কি বিশ্বাস করেন যে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত একটি দলকে বাদ দেওয়া নির্বাচনকে ‘বিশ্বাসযোগ্য নয় বা অংশগ্রহণমূলক নয়’ করে তোলে? কেউই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে ফিরে আসার জন্য গুরুত্ব সহকারে সমর্থন করছেন না। কোনো সভ্য জাতি গণহত্যা এবং তিনটি সাধারণ নির্বাচনসহ হাজার হাজার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্ত দলকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না।”

ফেসবুক পোস্টে প্রেস সচিব অভিযোগ করেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জিল্লুর রহমান একের পর এক ভিডিও মনোলগ প্রকাশ করে আসছেন। এর অনেকগুলোই জনসাধারণকে তথ্য দেওয়ার বদলে গুজব প্রচার করে। বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে উসকে দেয়। বহু বছর ধরে তিনি দেশের সবচেয়ে খারাপ অপতথ্য সরবরাহকারীদের-যেমন নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ও গোলাম মওলা রনির মতো ব্যক্তিদের জায়গা করে দিয়েছেন। এখন কি মনে হয় না, তিনিই যেন সেই ভূমিকাগুলোর কিছুটা নিজে পালন করতে শুরু করেছেন?”

তিনি বলেন, “এগুলো করতে তাদের কোন বাধা নেই। কারণ জনগণ বোকা নয়। তারা যাচাই-বাছাই করে বিচার করবে।”

সম্পর্কিত