চরচা ডেস্ক

যদি বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্রকর্ম কোনটি? সবাই একবাক্যে বলবেন ‘মোনালিসা’। কি যে বিখ্যাত এই ছবি! আচ্ছা লিওনার্দো দা ভিঞ্চির এই ছবিটি এতো বিখ্যাত ও জনপ্রিয় হলো কীভাবে? অনেকে বলেন, এটি দা ভিঞ্চির একটি মাস্টার পিস, এমন ছবি আর হয় না, এই ছবিতে যে প্রতীক রয়েছে তা অতুলনীয়, মোনালিসার হাসিতে লুকিয়ে আছে রহস্য; অমুক-তমুক।
কিন্তু শুনে অবাক হবেন, ১৯১১ সালের আগে মোনালিসার কথা তেমন কেউ জানতই না। তার আগে প্যারিসে ল্যুভর মিউজিয়ামে এই ছবিটি শতশত ছবির সঙ্গে অনেকটা অযত্নে পড়েছিল। ১৯১১ সালে কী হলো? চুরি হলো। তারপর কি হুলুস্থুল পড়ে গেল? একদমই না। ল্যুভর কর্তৃপক্ষ চুরির দুইদিন পর জানতে পারে, মোনালিসা চুরি হয়েছে। বুঝুন, মোনালিসা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল!
মোনালিসাকে গুরুত্বপূর্ণ কে করল? মিডিয়া, মিডিয়া, মিডিয়া! এই চুরি নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে গল্প ছাপা শুরু করে পত্রিকাগুলো। মোনালিসা চুরিকে পুঁজি করে পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর অভিযানে নেমে পড়ে পত্রপত্রিকাগুলো। শিরোনাম হতে থাকে, ‘দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা পোরট্রেট চুরি হয়েছে।’ মিডিয়ায় মোনালিসাকে নিয়ে টানা প্রায় দুই বছর উথালপাথাল চলল। ১৯১৩ সালে মোনালিসা উদ্ধার হয়। ততদিনে মোনালিসা সেলিব্রেটি। তারপর মোনালিসাকে একনজর দেখতে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ল।
অনেকের কাছে মোনালিসা একটি সাধারণ পোরট্রেট। শোনা যায়, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি নাকি একজন ধনী ব্যবসায়ীর কথায় তার স্ত্রীর ছবিটি এঁকেছিলেন। লিওনার্দোর কাছেও কি মোনালিসা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল? তিনি তো একটি নোটবুক রেখে গেছেন। শিল্পকলার ইতিহাসে এটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শুনে অবাক হবেন, সেই নোকবুকের কোথাও তিনি মোনালিসার নামও নেননি!
‘মিয়ার-এক্সপোজার ইফেক্ট’-এর কথা শুনেছেন? এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক ধারণা, শুধু শুনতে শুনতে, পড়তে পড়তে, বারবার দেখে কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা ব্র্যান্ডের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হওয়াকে বুঝায়। গভীরভাবে জানা বা বুঝা এখানে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। আর এই অবস্থাটি তৈরি করে প্রধানত মিডিয়া। মোনালিসার ক্ষেত্রে তাই হয়েছ বলে অনেকে মনে করেন।
সূত্র : ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (এনপিআর), ব্রিটানিকা ও পিবিএস

যদি বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্রকর্ম কোনটি? সবাই একবাক্যে বলবেন ‘মোনালিসা’। কি যে বিখ্যাত এই ছবি! আচ্ছা লিওনার্দো দা ভিঞ্চির এই ছবিটি এতো বিখ্যাত ও জনপ্রিয় হলো কীভাবে? অনেকে বলেন, এটি দা ভিঞ্চির একটি মাস্টার পিস, এমন ছবি আর হয় না, এই ছবিতে যে প্রতীক রয়েছে তা অতুলনীয়, মোনালিসার হাসিতে লুকিয়ে আছে রহস্য; অমুক-তমুক।
কিন্তু শুনে অবাক হবেন, ১৯১১ সালের আগে মোনালিসার কথা তেমন কেউ জানতই না। তার আগে প্যারিসে ল্যুভর মিউজিয়ামে এই ছবিটি শতশত ছবির সঙ্গে অনেকটা অযত্নে পড়েছিল। ১৯১১ সালে কী হলো? চুরি হলো। তারপর কি হুলুস্থুল পড়ে গেল? একদমই না। ল্যুভর কর্তৃপক্ষ চুরির দুইদিন পর জানতে পারে, মোনালিসা চুরি হয়েছে। বুঝুন, মোনালিসা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল!
মোনালিসাকে গুরুত্বপূর্ণ কে করল? মিডিয়া, মিডিয়া, মিডিয়া! এই চুরি নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে গল্প ছাপা শুরু করে পত্রিকাগুলো। মোনালিসা চুরিকে পুঁজি করে পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর অভিযানে নেমে পড়ে পত্রপত্রিকাগুলো। শিরোনাম হতে থাকে, ‘দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা পোরট্রেট চুরি হয়েছে।’ মিডিয়ায় মোনালিসাকে নিয়ে টানা প্রায় দুই বছর উথালপাথাল চলল। ১৯১৩ সালে মোনালিসা উদ্ধার হয়। ততদিনে মোনালিসা সেলিব্রেটি। তারপর মোনালিসাকে একনজর দেখতে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ল।
অনেকের কাছে মোনালিসা একটি সাধারণ পোরট্রেট। শোনা যায়, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি নাকি একজন ধনী ব্যবসায়ীর কথায় তার স্ত্রীর ছবিটি এঁকেছিলেন। লিওনার্দোর কাছেও কি মোনালিসা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল? তিনি তো একটি নোটবুক রেখে গেছেন। শিল্পকলার ইতিহাসে এটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শুনে অবাক হবেন, সেই নোকবুকের কোথাও তিনি মোনালিসার নামও নেননি!
‘মিয়ার-এক্সপোজার ইফেক্ট’-এর কথা শুনেছেন? এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক ধারণা, শুধু শুনতে শুনতে, পড়তে পড়তে, বারবার দেখে কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা ব্র্যান্ডের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হওয়াকে বুঝায়। গভীরভাবে জানা বা বুঝা এখানে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। আর এই অবস্থাটি তৈরি করে প্রধানত মিডিয়া। মোনালিসার ক্ষেত্রে তাই হয়েছ বলে অনেকে মনে করেন।
সূত্র : ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (এনপিআর), ব্রিটানিকা ও পিবিএস