সামদানী হক নাজুম, ঢাকা

নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আর মাত্র দুদিন পর দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাস জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন, ‘কবে ফিরছেন লিডার?’
কিন্তু নির্বাচনের অনিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তা শঙ্কায় ফেরা হয়নি তারেক রহমানের। তবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করেছেন তিনি। বুকিং দেওয়া হয়েছে ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ২০২০ ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাসের টিকিট।
এখন বলাই যায়, অবশেষে ফিরছেন তারেক রহমান।
সংবর্ধনার প্রস্তুতি
দীর্ঘ সময় দেশ এবং রাজনৈতিক কর্মীদের থেকে দূরে থাকায় এবং বিএনপির ভবিষ্যত রাজনীতি আনুষ্ঠনিকভাবে হস্তান্তর করতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বড় সংবর্ধনায় তারেককে সিক্ত করতে চায় দলটির নেতারা। পরবর্তীতে প্রতিবছরের ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করা হবে–সেই লক্ষ নিয়ে বিশাল শোডাউন করবে বিএনপি।
ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দলটি। ২৫ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি, যাতে চড়ে স্বপরিবারে ফিরবেন তারেক। বিমানবন্দরে দলীয় সিনিয়র নেতারা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তারেক রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবেন।
এরপর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে। আবার, আগে রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়ক এলাকার সমাবেশ শেষেও এভারকেয়ারে যেতে পারেন–এমন প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে শিডিউলে। পরিস্থিতি বিবেচনায় তারেক রহমানের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে এর যেকোনো একটি বাস্তবায়ন হবে।
তবে আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে তারেক রহমানের সংবর্ধনা কমিটির সদস্যসচিব রুহুল কবীর রিজভী জানান, “দেশে ফিরেই তারেক রহমান তার অসুস্থ্য মাকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন, হাসপাতালে যাওয়ার পথে ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন তিনি।”

তবে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে তারেকের যাত্রাপথে সড়কের দুপাশ জুড়ে অবস্থান নেবেন নেতা-কর্মীরা। বিশেষ বুলেটপ্রুফ গাড়িতে থেকেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাতাপথে যতটা সম্ভব হাত নেড়ে কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি। তার যাতায়াতের পুরোটা সময় থাকবে ভিআইপি প্রটোকলের আওতায়। এসময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে ৩০০ ফিটের সমাবেশস্থলে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তারেক রহমার দেশবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন, ভাষণ দেবেন নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে। এভারকেয়ারে খালেদা জিয়াকে দেখা, সমাবেশে যোগ দেয়ার পর তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা উঠবেন গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায়। তার দিনের পুরো যাত্রাপথে রাস্তার দুপাশে কর্মীদের অবস্থান করতে দলের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন ঢাকায় আনুমানিক ৫০ লাখ লোকের সমাগম হবে–এমনটা মনে করছেন সংবর্ধনা কমিটির সদস্যসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনায় মানুষের মহামিলন হবে। অর্ধ কোটির বেশি মানুষ হবে। তারেক রহমান সকল কর্মসূচি শেষ করে বাসায় ফেরা পর্যন্ত বিএনপি কর্মীরা রাস্তার দুপাশে অবস্থান করবেন।”
২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষ্যে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা কেমন হবে–তা সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আনিছুর রহমান চরচাকে বলেন, “সেদিন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কেমন হবে–তা নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা এখনো চলছে। আরও ১ দিন সময় আমাদের লাগবে। তবে এটুকু বলতে পারি, আমাদের সবদিক বিবেচনায় রেখেই কর্মপরিকল্পনা করতে হচ্ছে। বড় ইভেন্ট যেহেতু, প্রস্তুতিও বেশি থাকছে। পুরো পরিকল্পনা হয়ে গেলে সাধারণদের বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
তারেক রহমানের নিরাপত্তায় সরকার এবং বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিএসএফ পুনর্গঠন করা হয়েছে। তারেক রহমানের নিরাপত্তায় মূল দায়িত্ব পালন করবে সিএসএফের সদস্যরা। দলীয়ভাবেও দশ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা হচ্ছে, তারাও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।
দেশে ফিরে তারেক রহমান উঠবেন গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে। এর পাশেই ‘ফিরোজা’ নামের বাড়িটিতে থাকেন তার মা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৯৬ নম্বর বাড়ির সামনে ইতোমধ্যে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। সড়কের সামনে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর থেকেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা যাত্রী ব্যাতীত অন্য কেউ বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না।
পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকেও তারেক রহমানকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। বিমানবন্দর থেকে তার গন্তব্য পর্যন্ত কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “তারেক রহমানের দেশে নিরাপদ আগমন নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানের যাতায়াতে সরকারের পক্ষ থেকে মূল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রটেকশন বিভাগ। সার্বিক প্রস্তুতিতে তারা খুবই ব্যস্ত সময় পার কারছেন। পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতে একাধিক সংস্থাও কাজ করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান চরচাকে বলেন, “তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি। ঠিক কতজন সদস্য মাঠে কাজ করবে–তার তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ডিমপিরসহ সকল বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে, যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।”
এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তার বিষয়টি আমলে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকার গার্মেন্টস এবং কারখানা বন্ধ রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানায় ছুটি দিতে পরামর্শ দিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।

নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আর মাত্র দুদিন পর দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাস জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন, ‘কবে ফিরছেন লিডার?’
কিন্তু নির্বাচনের অনিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তা শঙ্কায় ফেরা হয়নি তারেক রহমানের। তবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করেছেন তিনি। বুকিং দেওয়া হয়েছে ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ২০২০ ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাসের টিকিট।
এখন বলাই যায়, অবশেষে ফিরছেন তারেক রহমান।
সংবর্ধনার প্রস্তুতি
দীর্ঘ সময় দেশ এবং রাজনৈতিক কর্মীদের থেকে দূরে থাকায় এবং বিএনপির ভবিষ্যত রাজনীতি আনুষ্ঠনিকভাবে হস্তান্তর করতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বড় সংবর্ধনায় তারেককে সিক্ত করতে চায় দলটির নেতারা। পরবর্তীতে প্রতিবছরের ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করা হবে–সেই লক্ষ নিয়ে বিশাল শোডাউন করবে বিএনপি।
ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দলটি। ২৫ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি, যাতে চড়ে স্বপরিবারে ফিরবেন তারেক। বিমানবন্দরে দলীয় সিনিয়র নেতারা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তারেক রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবেন।
এরপর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে। আবার, আগে রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়ক এলাকার সমাবেশ শেষেও এভারকেয়ারে যেতে পারেন–এমন প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে শিডিউলে। পরিস্থিতি বিবেচনায় তারেক রহমানের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে এর যেকোনো একটি বাস্তবায়ন হবে।
তবে আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে তারেক রহমানের সংবর্ধনা কমিটির সদস্যসচিব রুহুল কবীর রিজভী জানান, “দেশে ফিরেই তারেক রহমান তার অসুস্থ্য মাকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন, হাসপাতালে যাওয়ার পথে ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন তিনি।”

তবে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে তারেকের যাত্রাপথে সড়কের দুপাশ জুড়ে অবস্থান নেবেন নেতা-কর্মীরা। বিশেষ বুলেটপ্রুফ গাড়িতে থেকেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাতাপথে যতটা সম্ভব হাত নেড়ে কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি। তার যাতায়াতের পুরোটা সময় থাকবে ভিআইপি প্রটোকলের আওতায়। এসময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে ৩০০ ফিটের সমাবেশস্থলে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তারেক রহমার দেশবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন, ভাষণ দেবেন নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে। এভারকেয়ারে খালেদা জিয়াকে দেখা, সমাবেশে যোগ দেয়ার পর তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা উঠবেন গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায়। তার দিনের পুরো যাত্রাপথে রাস্তার দুপাশে কর্মীদের অবস্থান করতে দলের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন ঢাকায় আনুমানিক ৫০ লাখ লোকের সমাগম হবে–এমনটা মনে করছেন সংবর্ধনা কমিটির সদস্যসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনায় মানুষের মহামিলন হবে। অর্ধ কোটির বেশি মানুষ হবে। তারেক রহমান সকল কর্মসূচি শেষ করে বাসায় ফেরা পর্যন্ত বিএনপি কর্মীরা রাস্তার দুপাশে অবস্থান করবেন।”
২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষ্যে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা কেমন হবে–তা সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আনিছুর রহমান চরচাকে বলেন, “সেদিন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কেমন হবে–তা নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা এখনো চলছে। আরও ১ দিন সময় আমাদের লাগবে। তবে এটুকু বলতে পারি, আমাদের সবদিক বিবেচনায় রেখেই কর্মপরিকল্পনা করতে হচ্ছে। বড় ইভেন্ট যেহেতু, প্রস্তুতিও বেশি থাকছে। পুরো পরিকল্পনা হয়ে গেলে সাধারণদের বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
তারেক রহমানের নিরাপত্তায় সরকার এবং বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিএসএফ পুনর্গঠন করা হয়েছে। তারেক রহমানের নিরাপত্তায় মূল দায়িত্ব পালন করবে সিএসএফের সদস্যরা। দলীয়ভাবেও দশ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা হচ্ছে, তারাও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।
দেশে ফিরে তারেক রহমান উঠবেন গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে। এর পাশেই ‘ফিরোজা’ নামের বাড়িটিতে থাকেন তার মা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৯৬ নম্বর বাড়ির সামনে ইতোমধ্যে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। সড়কের সামনে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর থেকেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা যাত্রী ব্যাতীত অন্য কেউ বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না।
পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকেও তারেক রহমানকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। বিমানবন্দর থেকে তার গন্তব্য পর্যন্ত কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “তারেক রহমানের দেশে নিরাপদ আগমন নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানের যাতায়াতে সরকারের পক্ষ থেকে মূল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রটেকশন বিভাগ। সার্বিক প্রস্তুতিতে তারা খুবই ব্যস্ত সময় পার কারছেন। পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতে একাধিক সংস্থাও কাজ করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান চরচাকে বলেন, “তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি। ঠিক কতজন সদস্য মাঠে কাজ করবে–তার তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ডিমপিরসহ সকল বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে, যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।”
এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তার বিষয়টি আমলে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকার গার্মেন্টস এবং কারখানা বন্ধ রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানায় ছুটি দিতে পরামর্শ দিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।