জহির রায়হান কখন, কীভাবে হারিয়ে গিয়েছিলেন?

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
জহির রায়হান কখন, কীভাবে হারিয়ে গিয়েছিলেন?
জহির রায়হান। ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই সীমান্ত পেরিয়েছিলেন সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান। ততদিনে তিনি ঢাকাই চলচ্চিত্রে ‘কখনো আসেনি’, ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘সঙ্গম’, ‘বাহানা’, ‘জীবন থেকে নেওয়া’র মতো ছবি বানিয়ে ফেলেছেন। লিখে ফেলেছেন ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘বরফ গলা নদী’, ‘তৃষ্ণা’, ‘আর কতদিনে’র মতো উপন্যাস। ৩৫ বছরের জীবন, পুরোটাই কর্মময়। এই মানুষটিই মুক্তিযুদ্ধের পরপরই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছিলেন। তিনি যেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগতের এক অসমাপ্ত চিত্রনাট্য। কীভাবে, কোন প্রেক্ষাপটে নিখোঁজ হয়েছিলেন দেশবরেণ্য এই চিত্র পরিচালক?

ভারতের মাটিতে গিয়ে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন জহির রায়হান। মুক্তিযুদ্ধের রক্তক্ষয়ী সময়টাকে সেলুলয়েডের পর্দায় ধারণ করে রাখার কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলেন। তৈরি করেছিলেন ‘স্টপ জেনোসাইড’, ‘এ স্টেট ইজ বর্ন’–এর মতো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংসতা ও ভারতের মাটিতে বাঙালি শরণার্থী শিবিরে মানুষের মানবেতর জীবনের চিত্র জহির রায়হান তুলে ধরেছিলেন এ দুটি প্রামাণ্যচিত্রে। মুক্তিযুদ্ধের অমূল্য দলিলই এগুলো।

জহির রায়হান দেশে ফিরে পেলেন নিজের শোকগ্রস্ত পরিবার। বিজয়ের ঠিক আগ দিয়ে আলবদর বাহিনী তাদের ঢাকার কয়েতটুলীর বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল বড় ভাই, সাংবাদিক, সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সারকে। মুক্তিযুদ্ধ–ফেরত জহির রায়হানের মনে গভীর রেখাপাত করেছিল বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড। তিনি হতাশ হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সরকারের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে অদ্ভুত এক নির্লিপ্ততায়। তবে জহির রায়হান তো আর বসে থাকার মানুষ নন। তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্তে কয়েকজন বিশিষ্টজনকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন। জহির রায়হানের সঙ্গে সেই কমিটিতে ছিলেন—সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খান, অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব এহতেশাম হায়দার চৌধুরী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আইনজীবী ও রাজনীতিক ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদরা। কিন্তু তদন্ত শুরু হতে না হতেই তিনি হারিয়ে গেলেন!

মুক্তিযুদ্ধের পরপর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে চেয়েছিলেন জহির রায়হান। ছবি: সংগৃহীত
মুক্তিযুদ্ধের পরপর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে চেয়েছিলেন জহির রায়হান। ছবি: সংগৃহীত

শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার তার লেখা বই ‘মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে’–তে লিখেছেন, ’৩০ জানুয়ারি সকাল। একটা ফোন এলো। ফোনটা আমার ঘরে ছিল বলে আমি ধরলাম। জহির রায়হানকে চাইলো, মেজদাকে (জহির রায়হান) ডেকে দিলাম। কথা শেষ করে আমার পাশে এসে দাঁড়াল। তাকিয়ে দেখলাম ওনার মুখটা উজ্জল দেখাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম “‘কে ফোন করেছে?’ তার উত্তর, “ভাবী, বড়দার খোঁজ পাওয়া গেসে।” মিরপুরের ১২ নম্বরের একটি বাড়িতে বন্দি হয়ে আছে। আমি এখনই বের হব। বড়দাকে নিয়ে আসব।’ পান্না কায়সারের লেখা থেকে জানা যায়, জহির রায়হান সেদিন মিরপুরে একা যাননি, তার সঙ্গে ছিলেন ছোট দুই ভাই জাকারিয়া হাবিব, শাহরিয়ার কবিরসহ আরও দুই ঘনিষ্ঠজন। তারা জহির রায়হানের সঙ্গে মিরপুর থানা পর্যন্ত গিয়েছিলেন। কোনো কারণে বাকিরা ফিরে এসেছিলেন।

জহির রায়হান ওই ফোনটা পেয়েই কয়েতটুলীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আর ফিরে আসেননি। এ ব্যাপারে তদন্তও সেভাবে হয়নি। সেদিন পান্না কায়সার কার ফোন পেয়েছিলেন?

জহির রায়হানের অন্তর্ধান নিয়ে বহু বছর ধরে সেটিই (পান্না কায়সারের দেওয়া তথ্য) ছিল একমাত্র তথ্য। কিন্তু পরের অংশটি বহু বছর পর্যন্ত জানা যায়নি। জহির রায়হান কী আদৌ মিরপুর ১২ নম্বর সেকশন পর্যন্ত গিয়েছিলেন? গেলে তিনি কোথায় তাঁর বড় ভাই শহীদুল্লা কায়সারের খোঁজ করেছিলেন? তিনি গেলেন–ই বা কোথায়? কে তাকে হত্যা করেছিল?

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পন করে। মুক্ত হয় ঢাকা নগরী। কিন্তু ঢাকার অদূরে মিরপুর নামের উপশহরটি ছিল স্বাধীনতাবিরোধী বিহারিদের দখলে। কিছু পাকিস্তানি সেনাও পালিয়ে মিরপুর গিয়ে বিহারিদের কাছে আশ্রয় নিয়েছিল। মিরপুরের বিভিন্ন সেকশন ছিল অস্ত্রধারী বিহারি মিলিশিয়া ও রাজাকার, আল বদর সদস্যদের অভয়ারণ্য। মিরপুরের শিয়ালবাড়ি, পল্লবী এসব অঞ্চলের বাড়িগুলোকে তারা পরিণত করেছিল দুর্গে। মিরপুর এলাকায় মোতায়েন ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিহার রেজিমেন্টের কিছু ইউনিট।

জহির রায়হান পরিচালিত ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবির পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
জহির রায়হান পরিচালিত ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবির পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালের ২৯ জানুয়ারি মিরপুর এলাকাকে দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেখানে সেনা অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই অভিযানে সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেজর (পরবর্তীকালে মেজর জেনারেল ও সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল) মঈনুল হোসেন চৌধুরী, বীর বিক্রম। এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল অস্ত্র উদ্ধার ও বিহারি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার। এ লক্ষ্যে মিরপুর ১২ নম্বরের বিভিন্ন পয়েন্টে সৈন্য মোতায়েন করা হয়। ৩০ জানুয়ারি সকালে মঈনুল হোসেন চৌধুরীর উপস্থিতিতেই ১২ নম্বর সেকশনের বিভিন্ন বাড়ি থেকে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। তার সঙ্গে ছিলেন ক্যাপ্টেন জিএইচ মোর্শেদ খানসহ আরও কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা। ছিলেন পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। বিহারিরা সেই হামলায় ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রশস্ত্র, হ্যান্ড গ্রেনেড ও অন্যান্য মিলিটারি–গ্রেড অস্ত্র। প্রচণ্ড এই আক্রমণে সেনাবাহিনী ও তাদের সঙ্গে থাকা পুলিশের অনেকেই হতাহত হন। সেই ঘটনার সময়ই জহির রায়হানকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুরে।

জহির রায়হান মিরপুরে যাবার আগে ক্যাপ্টেন জিএইচ মোর্শেদ খানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে। মোর্শেদ খান যথাযথ নিরাপত্তা সতর্কতা নিয়ে তাকে মিরপুরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন সঙ্গে পুলিশ নিয়ে যেতে। পরে ক্যাপ্টেন মোর্শেদ অভিযানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

মেজর জেনারেল মঈনুল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মিরপুরে চালানো হয় অভিযান।
মেজর জেনারেল মঈনুল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মিরপুরে চালানো হয় অভিযান।

এ ব্যাপারে মঈনুল হোসেন চৌধুরী তাঁর ‘এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য: স্বাধীনতার প্রথম দশক’ বইয়ে লিখেছেন, “৩১ জানুয়ারি থেকে পত্র–পত্রিকায় সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হানের নিখোঁজ হওয়ার খবর বের হতে থাকে। কিছু লোক, সম্ভবত তাঁর নিকট আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব, মিরপুরে এসে তাঁর সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আমি তাঁকে নামে চিনতাম না বা তাঁর সম্পর্কে বিশেষ জানতাম না। এরই মধ্যে এক পুলিশ কর্মকর্তা, যাঁর নাম আজ মনে নেই, সেনানিবাসে দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি জহির রায়হানের ছবি নিয়ে আসেন। তিনি সৈন্যদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলার অনুমতি চান।”

সেই পুলিশ কর্মকর্তা সৈন্যদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। এরপর মঈনুল হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে আবারও দেখা করেন। তিনি মঈনুলকে বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে এবং আমাদের তদন্তে মনে হচ্ছে জহির রায়হান মিরপুরের গোলাগুলিতেই নিহত হয়েছেন।’

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে যেটির কথা মেজর জেনারেল মঈনুল হোসেন চৌধুরী তার বইয়ের ৩৪ পৃষ্ঠায় তুলে ধরেছেন, তাতে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তের সময় মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে মোতায়েন কয়েকজন সৈন্য জানান ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২, সকাল ৯টা/১০টার দিকে তারা হালকা–পাতলা গড়নের এক বেসামরিক ব্যক্তিতে মিরপুর সাড়ে ১১ ও ১২ নম্বর সেকশনের মধ্যবর্তী রাস্তায় একা একা হাঁটতে দেখেছিলেন তারা। জহির রায়হানের ছবি দেখার পর কয়েকজন সৈন্য জানায়, ওই ধরনের এক ব্যক্তিকে তারা দেখেছেন। ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর বিহারি সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। অতর্কিত সেই হামলায় ঘটনাস্থলেই সেনা সদস্যরা নিহত হন। জহির রায়হানও সেখানেই নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। ঠিক কোন জায়গায় তিনি নিহত হন, সেটি অবশ্য কেউই জানাতে পারেননি। সেদিন সেনাবাহিনীর ৪২ সদস্য নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ৩/৪টি। গুম করে দেওয়া সেনাসদস্যদের মৃতদেহের সঙ্গে জহির রায়হানের মৃতদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করেছেন জেনারেল মঈন।

জহির রায়হান নিখোঁজ হওয়ার খবর পত্রিকায়।
জহির রায়হান নিখোঁজ হওয়ার খবর পত্রিকায়।

তবে ১৯৯৯ সালে মিরপুরের ১২ নম্বর সেকশনের মুসলিম বাজার এলাকায় একটি মসজিদ তৈরি করার সময় মাটি খুড়তে গিয়ে একটি বধ্যভূমি আবিষ্কৃত হয়। সেখানে পাওয়া যায় মানুষের দেহাবশেষ, গুলিবিদ্ধ হার এমনকি করোটিও। সেটি যে ১৯৭১ সালের বধ্যভূমি ছিল সেটিও নিশ্চিত করেন বিশেষজ্ঞরা। এর পরপরই জহির রায়হান অন্তর্ধান রহস্যে আসে নতুন মোড়।

জহির রায়হানের ছেলে অনল রায়হান তার বাবার অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে একটি অনুসন্ধানী লেখা লিখেছিলেন। ‘পিতার অস্থির সন্ধানে’ নামের সেই লেখায় তিনি জানিয়েছেন, ৩০ জানুয়ারি মিরপুরে বিহারি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযান চলছিল। সেখানে ভারতীয় ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা জহির রায়হানকে দেখে খুব বিরক্ত হন। সেখানে কোনো বেসামরিক ব্যক্তির ঢোকার অনুমতি ছিল না। জহির রায়হান বাদে সঙ্গে বাকি যারা গিয়েছিলেন, সবাইকে চলে যেতে বলা হয়। দুজন সেনা সদস্য নিয়ে জহির রায়হান সেখানে ঢোকার অনুমতি পেয়েছিলেন। জহির রায়হানের সঙ্গে গাড়ি ছিল। তবে ঘটনার কয়েকদিন পর সেই গাড়িটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কাছে পাওয়া যায়।

১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভোরের কাগজ পত্রিকায় জহির রায়হানকে নিয়ে জুলফিকার হায়দার মানিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। ছবি: সংগৃহীত
১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভোরের কাগজ পত্রিকায় জহির রায়হানকে নিয়ে জুলফিকার হায়দার মানিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। ছবি: সংগৃহীত

১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে দৈনিক ভোরের কাগজে এ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখেন সাংবাদিক জুলফিকার হায়দার মানিক। তিনি মিরপুরে সেদিনের সেনা অভিযানে আহত এক সেনা সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তাঁর নাম নায়েক আমির হোসেন। সেদিন কয়েতটুলীর বাড়ি থেকে জহির রায়হান যে পোশাক পরে বের হয়েছিলেন, আমিরের বর্ণনার সঙ্গে তা মিলে যায়। জুলফিকার হায়দার মানিককে আমির বলেছিলেন, মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে সেদিন জহির রায়হানই ছিলেন একমাত্র বেসামরিক ব্যক্তি। আমির হোসেন বিহারিদের হামলার কথা বলেন, এবং তাতে বহু হতাহতের বর্ণনা দেন। ‘নিখোঁজ নন, গুলিতে নিহত হয়েছিলেন জহির রায়হান’ শীর্ষক জুলফিকার হায়দার মানিকের সেই প্রতিবেদনে আরেক সেনা সদস্য মোখলেসুর রহমানের কথা উল্লেখ আছে। তিনিও মিরপুরের বিহারিদের সেই আক্রমণের বর্ণনা দেন। একই সঙ্গে জানান, তিনি নাকি জহির রায়হানের মৃতদেহ দেখেছিলেন।

সম্পর্কিত