বুদ্ধিজীবী হত্যায় যুক্ত ছিল ভারত: ববি শিক্ষক

বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল প্রতিনিধি
বুদ্ধিজীবী হত্যায় যুক্ত ছিল ভারত: ববি শিক্ষক
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাফিজ আশরাফুল হক। ছবি: চরচা

শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে ভারতের সংশ্লিষ্টতার দাবি করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক।

গতকাল রোববার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা মিলনায়তনে আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন কোস্টাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক হাফিজ আশরাফুল হক।

একাত্তর সালে বিজয়ের প্রাক্কালে বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রসঙ্গে আশরাফুল হক বলেন, “১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।”
রোববার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেইটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, একাত্তরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ‘ভারতীয় সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ’।

একই দিনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরও একই ধরনের বক্তব্যের খবর পাওয় গেল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শামীম উদ্দিন খানও একই দিনে এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমার প্রশ্ন যে সময় আমি দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করছি, জীবিত থাকব নাকি মৃত থাকব, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি; সেই সময়ে পাকিস্তানের যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে এটা আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।”

ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে হাফিজ আশরাফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “বুদ্ধিজীবী হত্যার বিষয়ে আরও অনুসন্ধান ও পর্যালোচনা প্রয়োজন। পাকিস্তানি বাহিনী তখন নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে আত্মসমর্পণের মাত্র দুই দিন আগে এমন পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারত না। ওই সময় ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। তারা মেধাবীরা বেঁচে থাকুক এটা চাইছিল না।”

হাফিজ আশরাফুল হক আরও বলেন, “বাংলাদেশে যদি এক দুই তিন পিস প্রোপার ইন্টেলেকচুয়াল বুদ্ধিজীবী থেকে থাকে, ওসমান হাদি তাদের ভিতর একজন। সমাজে এরা বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত না যেমন সক্রেটিস ও ছিল না।”

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. তৌফিক আলম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ধীমান কুমার রায়, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সানজিয়া সুলতানাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত