হাদি হত্যা: প্রধান আসামি পালাতে সহযোগিতাকারী দুজন ফের রিমান্ডে

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
হাদি হত্যা: প্রধান আসামি পালাতে সহযোগিতাকারী দুজন ফের রিমান্ডে
ওসমান হাদি। ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে ভারতে পালাতে সহযোগিতাকারী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমের দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের আবারও সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, ওসমান হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামিকে ভারতে অবৈধ পথে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে ফিলিপ নামের এক ব্যক্তি। সিবিউন ও সঞ্জয় ফিলিপের নেতৃত্বে কার্য পরিচালনা করে। ফিলিপের অবস্থান এবং সে ছাড়াও অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না এবং গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের পুনরায় ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে শুনানিতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে দুষ্কৃতিকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তার বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তার শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু, রেন্টকার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবির, ভারতে পালাতে সহযোগিতাকারী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।

এদের মধ্যে হুমায়ুন ও হাসি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ড শেষে নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অপর আসামিরা রিমান্ডে রয়েছে।

সম্পর্কিত